মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ ও বাংলায় লিরিক্স
মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা এই উক্তিটির অর্থ, কাদের উদ্দেশ্যে বলা হয় এবং এর পেছনে কি ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা রয়েছে এসব তুলে ধরার চেষ্টা করব।
সূচিপত্রঃ মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ
- মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ
- মুঝে কুফা ওয়ালো অর্থ ও ইসলামিক প্রেক্ষাপট
- মুঝে কুফা ওয়ালো বাক্যটির তাৎপর্য কি
- কারবালার প্রেক্ষাপট কি ছিল
- মুঝে কুফা ওয়ালো উক্তিটি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
- কারবালার যুদ্ধ ও শাহাদাত
- কারবালার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও প্রভাব
- মুঝে কুফা বলো মানবতার জন্য বার্তা
- বাক্যটি সম্পর্কে তা আরো কিছু (FAQ) প্রশ্নোত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ
মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ
মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ অবশ্যই আপনাদের জানাবো তবে এই বাক্যটি আসলে উর্দু ভাষার একটি শব্দ। শব্দ ভিত্তিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দাড়ায় মুঝে=আমাকে, কুফা ওয়ালো=কুফার বাসিন্দারা/কুফা বাসীগণ। বাংলা অর্থ হে কুফা বাসিগণ বা আমাকে বল হে কুফাবাসী। এটি একটি ইসলামিক গজল যা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বেশি শোনা যায়। এ গজলটা সম্পূর্ণ বাংলা অর্থ দেওয়া হল।
১। মুঝে কুফা ওয়ালো, মুসাফির না সামঝো,
হে কুফাবাসী,আমাকে অলস পথিক মনেকরো না ,
২। মে আয়া নেহি হু, বুলায়া গায়া হু।
আমি নিজে থেকে আসিনি, আমাকে ডেকে আনা হয়েছে।
৩। কে মেহেমা বানাকার, ছাতায়া গায়া হু,
আমাকে মেহমান বানিয়ে, কষ্ট দেওয়া হয়েছে,
৪। মে রো-ইয়া নেহি হু, রুলায়া গায়া হু।
আমি স্বেচ্ছায় কাঁদিনি, আমাকে কাঁদানো হয়েছে।
৫। খোদা জানে কেসি, হে ইয়ে মেজবানি,
আল্লাহ-ই জানেন, এ কেমন আতিথেয়তা,
৬। বাহাত্তর পি-য়াসু, কাহে বান্দ পানি।
যেখানে ৭২ জন পিয়াসুর, পানি বন্ধ রাখা হয়েছে।
৭। মুকাদ্দার মে হ্যায় হাউজে কাওসার কা পিনা,
নিয়ত ছিল হাউজে কাউসারের পানি পান করা,
৮। মে পিয়াসা নেহি হু, পিলায়া গায়া হু।
আমি পিপাসিত নই, আমাকে তৃষ্ণার্ত বানানো হয়েছে।
৯। ঝুকা থা জো সারবার,গাহে খোদা মে,
যে শির/মাথা আল্লাহর দরবারে নত হয়েছিল,
১০। ওয়াহি ছের কালাম হো গায়া কারবালা মে।
ঐ শির কারবালার প্রান্তরে কর্তন গেলো।
১১। শাহাদাত কি মঞ্জিল কো পায়া হ্যায় মেনে,
আমি তো শাহাদাতের মর্যাদা পেয়ে গেলাম,
১২। মে মুরদা নেহি হু,জিলায়া গায়া হু।
আমি মৃত নই, আমাকে এক সম্মানীত জীবন দান করা হয়েছে।
"মুঝে কুফা ওয়ালো" এই ইসলামিক সঙ্গীত এর লেখক হলেন আল্লামা ইকবাল। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় কবির মর্যাদায়। আল্লামা ইকবাল এই নামে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল ছিল যার নাম ছিল ইকবাল হল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ইকবাল হল পরিবর্তন করে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক নামকরণ করা হয়।
মুঝে কুফা ওয়ালো অর্থ ও ইসলামিক প্রেক্ষাপট
বর্তমানে মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ ইসলামিক প্রেক্ষাপট হল এর মাধ্যমে কারবালার ঘটনা কে ফুটিয়ে তুলেছেন। সংক্ষেপে করতে বলতে গেলে ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তায়ালা ছিলেন রাসুল (সাঃ) এর দৌহিত্র এবং সত্যের পথে একজন বিশ্বস্ত নেতা ছিলেন। কুফা একটি জায়গার নাম এই কুফাবাসী বিভিন্ন ফন্দি করে চিঠি পাঠিয়ে ইমাম হুসাইনকে আহবান করেন ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
ইমাম হোসাইন যেহেতু সৎ এবং সত্যের পথে নেতা ছিলেন তাই তিনি তাদের কথা বিশ্বাস করে সপরিবারে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরে ইমাম হোসেন বুঝতে পারলেন তার সাথে ফন্দি করা হয়েছে কুফাবাসীরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ইয়াজিদের পক্ষ নিয়েছেন এবং কারবালার প্রান্তরে ইমাম হুসাইন (রা:) নির্মমভাবে হত্যা করেছেন।
আরো পড়ুন
ইসলামিক ইতিহাসে এটি ছিল একটি মর্মান্তিক ঘটনা এবং কালো অধ্যায়। ইমাম হুসাইনের এই মৃত্যু তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেছেন। এ মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত উক্তিটি কারবালার পরে ইমাম হোসেনের বোন হযরত জয়নব (রাঃ) অথবা কোন একজন সদস্য কুফার জনগণকে উদ্দেশ্য করে উচ্চারণ করেছিলেন।
মুঝে কুফা ওয়ালো একটি ইতিহাস, আবেগ ও একটি শিক্ষা। কারণ এর বাংলা অর্থ দিকে দেখলেই বোঝা যায় এটি কতটা ঘৃণিত এবং কষ্টে বাক্যটি উচ্চারণ করা হয়েছিল এটি স্মরণ করিয়ে দেয় সত্যের পথ কঠিন হলেও তাতে অটল থাকতে হয়, বিশ্বাসঘাতকতা যতই সহজ হোক তা চিরকাল ঘৃণিত।
মুঝে কুফা ওয়ালো বাক্যটির তাৎপর্য কি
মুঝে কুফা ওয়ালো এই ছোট উর্দু বিশ্লেষণ করলে একটি ইসলামিক ইতিহাস গভীর আবেগ আর মর্মান্তিক প্রতারণার প্রতি ছবি ফুটে ওঠে। চলুন এর তাৎপর্য গুলো বিভিন্ন দিক দিয়ে বিশ্লেষণ করা যাক। উক্তিটি মূলত আবেগময় অভিযোগ ও ব্যথার প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। এখানে লেখক মূলত কুফাবাসীদের প্রতি অ্যাপ আক্ষেপ পূর্ণ প্রশ্ন করে।
উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে আবেগ নিয়ে বলা হয়েছে যে 'তোমরাই তো আমন্ত্রণ জানিয়েছিলে এখন কেন চুপ করে আছো এই বাক্যের মাধ্যমে একজন নির্যাতিতের হৃদয়বিদারক চিৎকার প্রতিধ্বনিত হয়'। উক্তিটি মূলত কারবালার ঘটনার সঙ্গে অতপ্রত ভাবে জড়িত। ইমাম হোসাইন কুফা বাসিরা আমন্ত্রণ করেছিলেন।
ফুফার আমন্ত্রণে ইমাম হোসাইন সেখানে গিয়েছিলেন সত্যের বার্তা নিয়ে কিন্তু সেখানকার মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করে তাকে ইয়াজীদের হাতে তুলে দেয়। এ বাক্যে সে ঐতিহাসিক প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের চিরস্মরণীয় করে তুলে ধরেছেন। উক্তিটি প্রত্যেকটি মানুষের কাছে জোর গলায় এবং চিৎকার করে শুধু শব্দ উচ্চারণ করেছিল তা নয়, এটি ছিল ইতিহাসের দিকে আঙ্গুল তুলে একটি জবাবদিহির আহ্বান।
কারবালার প্রেক্ষাপট কি ছিল
কারবালার প্রেক্ষাপট কি ছিল অনেকেই হয়তো জানেন না। এটি ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে কারবালার প্রেক্ষাপট বা ট্রাজেডি ছিল বেদনাদায়ক, হৃদয়বিদারক ও শিক্ষা মূলক ঘটনা। কারবালা ইরাকের একটি ঐতিহাসিক স্থানের নাম। ৬১ হিজরী সালে, মহরম মাসে ইরাকের কারবালা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক ঘটনা প্রতিফলিত হয় ইসলামের ইতিহাসে।
এই ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (র.) একজন শ্রেষ্ঠ ন্যায় পরায়ণ সাহসী ও সত্যবাদী নেতা যিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় জুলুম ও মুনাফেকি কার্যকলাপ কখনও সহ্য করতেন না। তিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবনের স্বর্গ করেছিলেন।
নবীজির ওফাতের পর খেলাফতের ধারা চলতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান খেলাফতকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এবং তার ছেলে ইয়াজিদকে নিজের উত্তরসূরি ঘোষণা দেন। ইয়াজিদ ছিল ইসলামী নীতির পরিপন্থী এবং একজন অত্যাচারী জঘন্য ইসলামবিরোধী শাসক হিসেবে পরিচিত ছিল।
আরো পড়ুন
একমাত্র ইমাম হোসাইন ছিলেন যিনি ইয়াজিদের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকৃতি জানান। যার জন্য ইরাকের কুফা নগরীর মুসলিমরা ইয়াজিদের স্বৈরাচারী এবং রাজনৈতিক দুঃশাসনে অতিষ্ট হয়ে ইমাম হোসেনকে শত শত চিঠি পাঠান তাকে আমন্ত্রণ জানান। তারা তাকে এভাবে আমন্ত্রণ জানান যে'আপনি আসুন আমরা আপনার সঙ্গে থাকব আপনার মাধ্যমে ইসলাম রক্ষা করব'।
কিন্তু যখন ইমাম হোসাইন কুফায় যান তখন সেখানকার লোকেরা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। যখন ইমাম হোসেন কুফায় পৌঁছান তখন ইয়াজিদের গভর্নর ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিহাদ জনগণকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে করে দেয়। এবং কুফাবাসীরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ফেলে এবং ইমাম হোসেনকে কারবালার প্রান্তরে আটকে রাখে।
মুঝে কুফা ওয়ালো উক্তিটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: মুঝে কুফা ওয়ালো মানে কি?
উত্তর: মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ "হে কুফার মানুষজন আমাকে বল/উত্তর দাও"।
প্রশ্ন: এ বাক্যটি কে বলেছেন?
উত্তর: এটি বলা হয়েছিল সম্ভবত হযরত জয়নাব (রাঃ) এর মুখে কারবালার ঘটনা পর।
প্রশ্ন: "মুঝে কুফা ওয়ালো"কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে?
উত্তর: কারবালার ট্রাজেডি সময়ের পরবর্তী সময়ে কুফাবাসীদের উদ্দেশ্যে।
প্রশ্ন: এ বাক্য কেন এত আবেগপূর্ণ?
উত্তর: এটি একটি প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার জবাবদিহি।
প্রশ্ন: কারা ছিলেন কুফা ওয়ালারা
উত্তর: কুফা শহরের মুসলমানরা যারা হুসাইন (রা:) সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কারবালার যুদ্ধ ও শাহাদাত
কারবালার যুদ্ধ ও শাহাদাত বরণ হয়েছিল ১০ই মহরম 61 হিজরী ইতিহাসের সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিন। কারবালায় ইমাম হোসেন সহ তার বাহাত্তর জন সহচর ছিলেন। এবং সকলকে পানি পর্যন্ত পান করতে দেওয়া হয়নি নির্মম অত্যাচার করেছিলেন ৭২ হাজারের উপরে। তাইতো ইসলামিক সঙ্গীতের মধ্যে বলা হয়েছে।
"খোদা জানে কেসি, হে ইয়ে মেজবানি ৭২ পিয়াসু কাহে বান্দ পানি।'অর্থাৎ আল্লাহই জানে, কেমন এই আতিথেয়তা ৭২ জন পিপাসু মানুষের পানি বন্ধ করে দিয়েছে। ইমাম হোসেনের সাথে থাকা ৭২ জন সহচর তারাও ইয়াজিদের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিন্তু পরবর্তীতে একে একে সবাই মৃত্যুবরণ করেন এবং শহীদ হন।
সবাইকে মেরে ফেলার পরে সর্বশেষে ইমাম হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। যেহেতু সেখানে সপরিবারে গিয়েছিলেন তাই ইমাম হোসেনের ৬ মাস বয়সী শিশু আলী আজগর কেউ পানি চাওয়ার অপরাধে তীর দিয়ে হত্যা করেন। ইসলামের ইতিহাসের পাতায় এটি একটি মর্মান্তিক মৃত্যু যা প্রত্যেক মুসলমানের অন্তর কাঁপিয়ে দেয়।
কারবালার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও প্রভাব
কারবালার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও প্রভাব হল কারবালার প্রান্তরে সংগঠিত ইতিহাসে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ট্রাজেডি শুধু শোক ও অশ্রু নয়, এটি এক মহান শিক্ষা মানবতার জন্য স্থায়ী এক বার্তা ও আদর্শ। চলুন কারবালার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
তিনি প্রমাণ করেছেন নারীরা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হতে পারে। কারবালার এই ঘটনা শুধু মুসলিমদের নয় বরং পুরো মানবজাতির জন্য এক শিক্ষা, অন্যায় মিথ্যার বিপক্ষে লড়াই করে মানুষের অন্তরে অনুপ্রেরণা জাগানো। এজন্য কারবালাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য গজল কবিতা নাটক ও বক্তৃতা তৈরি হয়েছে যেগুলো আবেগ শিক্ষা ঐতিহাসিক ধারক প্রবাহ।
মুঝে কুফা বোলো গজলটিতে বলা হয়েছে কারবালায় ৭২ জন হেরেও জয়ী আর হাজারো শূন্য নিয়েও ইয়াজিদ ছিল পরাজিত। কারণ যে মাথা আল্লাহর কাছে ঝুঁকে সে মাথা কারবালায় কর্তন করা হয়েছিল, তারপরও তিনি শহীদের মর্যাদা পেয়েছেন। এটি আল্লাহর একটি নিয়ামত এবং উপহার পরকালের জন্য।
মুঝে কুফা ওয়ালো মানবতার জন্য বার্তা
মুঝে কুফা ওয়ালো মানবতার জন্য বার্তা বহন করে উক্ত বাক্যটি। এই বাক্য আজও আমাদের শেখায় প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। যারা সত্যকে ডাকে কিন্তু টাকার পরে তাদের পাশে থাকতে পারে না সাহস করতে পারে না তারা মূলত নির্বোধ। কারণ ইমাম হুসাইনকে ইসলামের বার্তা বহন করার জন্য কুফা বাসীরা ডেকে তার পাশে থাকতে পারেননি।
তারা নীরব থেকেছে, যার মানে অন্যায়ের পক্ষে থাকা। কাজেই কেবল মুখে ঈমান থাকা নয়, কাজে ঈমান দেখাতে হয়। বর্তমানে মুঝে কুফা ওয়ালো শুধুমাত্র একটি গজল এর লাইন নয় এটি অনেক ক্ষেত্রে আধুনিক মুসলিম সমাজের নিষ্ঠুরতা ও নীরবতার সমালোচনার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ দিয়ে বোঝানো হয়েছে একটি হৃদয় ভাঙ্গা প্রশ্ন একটি ইতিহাসের রক্তাক্ত ক্ষতের জায়গা এবং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সতর্ক বার্তা- যে সত্যকে ডাক দিয়ে তার পাশে না দাঁড়ানো এক ধরনের জুলুম। সেজন্য তো গজলে বলা হয়েছে 'কে মেহেমা বানাকার ছাতায়া গায়া হু'= অর্থাৎ আমাকে মেহমান বানিয়ে কষ্ট দেওয়া হয়েছে।
বাক্যটি সম্পর্কিত আরো কিছু (FAQ) প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কুফা বাসীরা কেন বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল?
উত্তর: ইয়াজিদের ভয়ে ও রাজনৈতিক চাপে।
প্রশ্ন: মুঝে কুফা ওয়ালো বাক্যটি কোন ভাষায় প্রচলিত?
উত্তর: উর্দু ভাষায়।
প্রশ্ন: এ বাক্য দিয়ে কাদের প্রতি ইঙ্গিত করে?
উত্তর: সেসব লোকদের যারা সত্যের ডাক দিয়ে পাশে দাঁড়ায় না।
প্রশ্ন: আজকের মুসলিম সমাজ কি কুফা ওয়ালাদের মত আচরণ করছে?
উত্তর: অনেক সময় চুপ থেকে অন্যায় সহ্য করে।
প্রশ্ন: ইমাম হোসাইন কুফায় কেন এসেছিলেন?
উত্তর: কুফা বাসীর আহবানে সারা দিয়ে ইসলামের সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য।
শেষ মন্তব্যঃ মুঝে কুফা ওয়ালো বাংলা অর্থ
গুরুত্ব পূর্ণ সকল আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায় যে মুঝে কুফা বলো বাংলা অর্থ এবং সম্পূর্ণ ইসলামিক সংগীতটি বাংলা অর্থসহ বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। মূলত মুঝে কুফা ওয়ালো এই শব্দটি দিয়ে গভীর আবেগ, ইতিহাস এবং মনুষ্যত্বকে জাগানোর কথায় উল্লেখ করা হয়েছে কারবালার যুদ্ধের ঘটনার দ্বারা। কারণ মূলত এই গজলটি কারবালার যুদ্ধের পর ইমাম হুসাইন (র.) শহীদ হওয়ার পরে উক্ত বাক্য গুলো আলোচিত করা হয়েছে।
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url