মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার ৪০টি লাভজনক ব্যবসায়িক আইডিয়া

বর্তমানে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা আরম্ভ করার অনেক উপায় রয়েছে। মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসা এখন কোন কল্পনা নয়, বাস্তবে পরিণত করা সম্ভব। মেয়েরা এখন ঘরে গৃহিনীর কাজের পাশাপাশি নিজের দক্ষতা দিয়ে উপার্জনের পথ তৈরি করে নিতে পারেন।

মহিলাদের-জন্য-ঘরে-বসে-ব্যবসা
অনেক নারী ঘরে বসেই স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং সৃজনশীলতার বিকাশের কারণে মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসার সুযোগ এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ। আজকের পোস্টে মহিলাদের ঘরে বসে কিছু লাভজনক ব্যবসা করার উপায় সমূহ আলোচনা করা হবে।

সূচিপত্রঃ মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা 

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে অনেক নারীরা ঘরে বসেই নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সফল হয়েছেন। তারা অল্প পুজি নিয়ে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার পরিকল্পনা করে চলেছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষের অনেক অসাধ্য কাজ এখন হাতের মুঠোই চলে এসেছে। 

ডিজিটাল যুগে মেয়েরা ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। সংসারের দায়িত্ব সামলে এখন নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করলেই ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। মেয়েরা ঘরে বসে বা ঘরের বাইরে কাজ করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা ও আয় বৃদ্ধির কার্যকারী টেকনিক

ঘরের বাইরে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট ফুড কার্ট নিয়ে ব্যবসা করতে পারে এছাড়াও ঘরের মধ্যে অনলাইনে কাপড়, কসমেটিক্স সহ অনেক ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। তবে এর জন্য ইচ্ছা শক্তি ধৈর্য এবং কিছু অর্থের প্রয়োজন। যারা নিজেকে একজন উদ্যোক্তা কিংবা কর্মজীবী নারী হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৪০টি উপায় 

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় গুলো জানা থাকলে অবসর সময়ে ঘরের কাজের পাশাপাশি ইচ্ছামত ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন। বাড়িতে থেকে ব্যবসা করলে পরিবেশ নিজের মতো করে তৈরি করে নেয়া যায়। এতে সময়ও বাঁচে এবং ঝুঁকি কম থাকে পারিবারিক দায়িত্ববোধেরও কমতি হয় না। চলুন নারীদের ঘরে বসে ব্যবসা করার উপায় সমূহ আলোচনা করি। 

  1. বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা পাশে হলুদ, আদা, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ ইত্যাদি চাষ করে বাড়ির পাশাপাশি বিক্রি করে আয় করতে পারে।
  2.  ফুল চাষ করে প্রতি মৌসুমে ভালো আয় করা যায়। গোলাপ, গাদা, রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুল চাষ করে ভালো আয় করা যায়। 
  3. এছাড়া মধু চাষ করে ইনকাম করা সম্ভব। বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় মৌচাষ করে মধু সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রয় করা যায়।
  4. গৃহশজ্জা সামগ্রী তৈরি যেমন জানালা দরজার পর্দা, রানার, টেবিল ক্লথ তৈরি করে বিক্রয় করা। 
  5. নকশি কাঁথা তৈরি করে সেগুলো বাড়িতে বসে ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে বিক্রয় করে ব্যবসা শুরু করা যায়।
  6. হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ করে আয় করা সম্ভব। যদি খুব ভালবাসতে শিল্প জানেন তাহলে সেটি আপনার আশেপাশের অন্যান্য মহিলাদের শিখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 
  7. হস্তশিল্প গুলোর মধ্যে নকশী ব্যাগ বা চটের তৈরি ব্যাগ বাড়িতে তৈরি করে সেগুলো বিক্রয় করে আয়ের উৎস করে নিতে পারেন। 
  8. ঘরোয়া সাবান তৈরি করে সেগুলো পাইকারি কিংবা খুচরা বাড়িতে বসে বিক্রয় করে আয়ের উপায় খুঁজে নিতে পারেন।
  9. এছাড়া অনেক মেয়েরা এখন কুশি কাজ করছে যেগুলো জামা, ওড়না, ঘরের কুশন, চাদর তৈরি করে সেগুলোতে কুশি কাজ করে বিক্রয় করছেন। 
  10. ঘরে বসে মেয়েরা সরিষা কিংবা গম এর ব্যবসা করতে পারেন। কারণ বর্তমানে সরিষার তেলের প্রচুর চাহিদা, এছাড়া শহর অঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ গমের আটা খেতে পছন্দ করেন। তাই আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সরিষা এবং গম কিনে সেগুলো ভাঙিয়ে তেল এবং আটা বিক্রি করতে পারেন আর এগুলো ঘরে বসেই করা সম্ভব।
  11. অনেকে আছেন যারা চিত্রাংকন করতে পছন্দ করেন। চিত্র এক বিক্রি  করা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট তৈরি করে সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন। ঘর সাজানোর এই ওয়ালমেট গুলোর প্রচুর চাহিদা। 
  12. এছাড়া আপনি সেলাই মেশিনের কাজ শিখে বাড়িতে বসে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করে সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন।
  13. এছাড়া ব্লক বাটিকের কাজ শিখে সেগুলো ঘরে বসেই তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। কম দামে এক কালারের কাপড় কিনে সেগুলোতে ব্লক প্রিন্ট করে আয় করার উপায় খুঁজে নিতে পারেন। 
  14. এছাড়া এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষ হ্যান্ড মেড জুয়েলারি গুলো পড়তে পছন্দ করে এ ধরনের হ্যান্ড মেড গয়না গুলো বিক্রি করতে পারেন।
  15. এছাড়া বর্তমানে এমব্রয়ডারির মেশিন পাওয়া যায়। এবং সে মেশিনগুলোতে এমব্রয়ডারি কাজ খুব সহজেই করে নিজের আয়ের উপায় খুঁজে নিতে পারেন। 
  16. এছাড়া মেয়েরা যেহেতু রান্না করতে পছন্দ করে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের আচার নিজ হাতে তৈরি করে সেগুলো পাইকারি কিংবা খুচরা অনলাইনে বা ঘরে বসে বিক্রি করতে পারেন। 
  17. এছাড়া ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের মসলা যেমন ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, জিরা, মেথি ইত্যাদি এ সকল কিছু গুড়া করে বিভিন্ন ওজনের প্যাকেটিং করে বিক্রি করতে পারেন।
  18. যারা রান্না করতে পছন্দ করেন কিবা খুব সুন্দর রান্না করতে পারেন তারা হুম কিচেন সার্ভিস তৈরি করতে পারেন। 
  19. অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কুকিজ কেক বানাতে পারেন তারা বাড়িতে বসেই এ ধরনের কাজগুলো করে সেগুলো অনলাইনে অথবা অফলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
  20. ঘরে তৈরি করে চটপটি ফুচকা হোম ডেলিভারি দিতে পারেন। এটি এক ধরনের ইনকামের উপায়। 
  21. এছাড়া বিভিন্ন ধরনের নার্সারি গাছ টবে করে তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। ফলের, ফুলের নার্সারি তৈরি করতে পারেন।
  22. এছাড়া গবাদি পশু পালন করে সেগুলো বিক্রয় করতে পারেন। যেমন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি বাড়িতে খামার তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।
  23. এছাড়া রান্নার ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব কিংবা ফেসবুক পেজ খুলে সেগুলোতে আপলোড দিয়ে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। 
  24. অনেক আছেন যারা ডিজাইন করতে পছন্দ করেন। তারা মেহেদি ডিজাইন সার্ভিস বাসায় সার্ভিস কিংবা অর্ডার নিয়ে কাজ করতে পারেন।
  25. যারা একটু পড়াশোনা পছন্দ করেন তারা বাড়িতে বসে থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে পড়াতে কিংবা ডে কেয়ার স্কুল খুলতে পারেন। 
  26. বর্তমানে সবচেয়ে ট্রেন্দিং ব্যবসার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা অন্যতম। কারণ মেয়েরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে কাপড় ক্রয় করে থাকেন। চাইলে আপনি কাপড়ের ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। 
  27. কসমেটিক্স বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। ঘরে বসে কসমেটিক বিক্রি যেমন ফেসবুকের লাইভ করে অথবা অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে বিক্রি করতে পারেন। 
  28. ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ যেমন ব্যাগ, হিজাব, চুরি ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন ঘরে বসে অনলাইনে কিংবা অফলাইনে। 
  29. পার্লারের ব্যবসা বর্তমানে মেয়েদের ট্রেন্ডিং ব্যবসা। পার্লারের ব্যবসা করে অনেক আয় করা যায়। চাইলে বাড়িতে আপনি একটি পার্লার খুলে ব্যবসা করতে পারেন। 
  30. ফ্রিল্যান্সিং মেয়েদের জন্য অন্যতম একটি আয়ের উৎস। ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন, লেখা, ডাটা এন্ট্রি কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো শিখে ঘরে বসে করে আয় করতে পারেন।
  31. অনলাইনে টিউশন বিশেষ করে বাসা থেকে zoom কিংবা google meet এর মাধ্যমে স্টুডেন্ট পরিয়ে আয়ের উপায় খুঁজে নিতে পারেন। মেয়েদের জন্য এ ধরনের ব্যবসা গুলো খুবই গ্রহণযোগ্য। 
  32. আরেকটি অন্যতম মেয়েদের জন্য উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং অর্থাৎ ব্লগ, আর্টিকেল, স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি লিখে ঘরে বসেই ব্যবসা কিংবা আয় করা সম্ভব।
  33. এছাড়া youtube চ্যানেল খুলে মেয়েরা এখন ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিউটি টিপস, রান্নার vlog ভিডিও বানিয়ে ছাড়ছেন এবং সেখান থেকে ইনকাম করতে পারছেন।
  34. মেয়েরা এখন রিসেলিং করে ইনকাম করছে। অর্থাৎ অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন পাওয়া যায় এটি এক ধরনের অন্যতম আয়ের উপায়।
  35. এছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি তৈরি করে ইনকাম করা যায়। অনেক কোম্পানি আছে যারা এ ধরনের কাজগুলো করিয়ে নিয়ে পেমেন্ট দিয়ে থাকে।
  36. এছাড়া অনেকেই আছেন যারা মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিও এডিটিং করে দেয়ার কাজ করে থাকেন এবং তার বিনিময়ে টাকা ইনকাম হয়, এটি মেয়েদের এক ধরনের অন্যতম ইনকামের উপায়।
  37. এছাড়া ফটোগ্রাফার বা ছবি তোলা এবং অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। 
  38. মেয়েরা ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করতে। অর্থাৎ ঘরে বসে থেকে অন্যের পেজ বা চ্যানেলের পরিচালনা করা অন্যতম একটি ব্যবসার উপায়। 
  39. মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্যবসা করতে পারেন। অন্য কোন কোম্পানির পণ্য নিজের ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব ওয়েবসাইটে প্রচার করা এবং সেখান থেকে কমিশন সংগ্রহ করা এটি একটি অন্যতম আয়ের উপায়।
  40. ড্রপ শিপিং করে মেয়েরা রিক্স ফ্রী এবং লাভজনক ঘরে বসে আয়ের উৎস করে নিতে পারে। ড্রপ শিপিং ব্যবসা মূলত কোন কোম্পানির পণ্য নিজের নামে অনলাইনে বিক্রি করেন যখন কেউ অর্ডার করে তখন সেই কোম্পানি সরাসরি কাস্টমারকে পণ্য পাঠিয়ে দেয় অর্থাৎ নিজের কাছে স্টক রাখতে হয় না ডেলিভারি দিতেও হয় না, প্যাকিং করতে হয় না।

মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করার পূর্ব প্রস্তুতি 

মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করার পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কারণ আপনার পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া কখনোই নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন না। পরিকল্পনা ছাড়া কোন ব্যবসা শুরু করলে সেটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া নিজের ধৈর্য এবং মন স্থির রাখতে হবে যে আপনার দ্বারা সম্ভব ব্যবসা করা। 

নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে দাবী করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে দক্ষতা গ্রহণ, আগ্রহ এবং ধৈর্য ধরতে হবে। এরপর নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে আপনি কি করতে ভালবাসেন কোন ধরনের কাজ আপনার জন্য সুবিধা হবে। আপনি যে কাজে নিজেকে পারদর্শী মনে করবেন সেটা থেকে শুরু করার চেষ্টা করবেন। 

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা ও আয় বৃদ্ধির কার্যকারী টেকনিক

যেমন আপনি মনে করতে পারেন আপনার জন্য রান্না সেলাই ডিজাইন পড়ানো ইত্যাদি এগুলোর মধ্যে কোন একটা আপনার বেশি পছন্দ। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। কোন বিষয়ে আপনি একটু বেশি দক্ষ সেই বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করবেন। 

মেয়েদের ব্যবসা শুরু করার মানসিক প্রস্তুতি 

মেয়েদের ব্যবসা শুরু করার মানুষের প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে আপনি কখনোই ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন না। ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন থাকলেও আপনি কম বিনিয়োগ করে ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করবেন। 

প্রথমত আপনি ব্যবসা ৫ থেকে ১০ জন কাস্টমারের জন্য পণ্য তৈরি করুন কিংবা ক্রয় করুন। এরপর ধীরে ধীরে আপনি সারা পেলে ব্যবসা বড় করার চেষ্টা করুন। তবে আপনাকে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে ভুল হলে হতাশ হওয়া চলবে না। কারণ যতই ভুল করবেন ততই শিখবেন হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। তবে ব্যবসা শুরু করার আগে বাজার রিসার্চ করুন। 

কারণ যে ধরনের পণ্য নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সে ধরনের পণ্যর বাজার চাহিদা কেমন, প্রতিযোগিতা কারা করে, দাম কেমন হতে পারে, কাস্টমার কারা হবে, মেয়েরা, নাকি শিক্ষার্থী, নাকি মা বা মহিলারা। সে অনুযায়ী পণ্য বা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক গ্রুপ ইউটিউব লোকাল মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখতে পারেন।

মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসা সাধারণ প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: মহিলাদের ঘরে বসে ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায়? 

উত্তর: ছোট পরিসরে পণ্য বা সেবা নির্ধারণ করে বাজার রিচার্স করে, অনলাইন পেজ খুলে শুরু করা যায়।

প্রশ্ন: ঘরে বসে মহিলারা কোন ব্যবসা 

গুলো করতে পারেন? 

উত্তর: ঘরে বসে মহিলারা হোম ফুড, হিজাব বিক্রি, কসমেটিক্স, অনলাইন কোচিং, ফ্রিল্যান্সিং, বিউটি সার্ভিস ইত্যাদি করতে পারেন।

প্রশ্ন: ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করার জন্য কত টাকা পুঁজি দরকার? 

উত্তর: ২০০০-১০০০০ টাকার মধ্যেই অনেক ব্যবসা শুরু করা যায়। 

প্রশ্ন: অনলাইন ছাড়া কি ঘরে বসে ব্যবসা করা সম্ভব? 

উত্তর: হ্যাঁ, প্রতিবেশী বা পরিচিতদের মাঝে অনলাইনে বিক্রি শুরু করা যায়। 

প্রশ্ন: মহিলারা ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন কি? 

উত্তর: অবশ্যই, এটি ঘরে বসেই মালামাল না রেখেই ব্যবসা চালানো যায়।

ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক খরচ কত 

ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক খরচ কত এ ব্যাপারে জানা দরকার। তবে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বিভিন্ন ধরনের খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণটাই নিজের উপর। আপনার পুঁজি কত এবং কত টাকা দিয়ে আরম্ভ করতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী আপনার ব্যবসার ধারণ পছন্দ করতে হবে। চলুন কিছু ব্যবসা শুরুর সম্ভাব্য খরচ আলোচনা করি। 

মহিলাদের-জন্য-ঘরে-বসে-ব্যবসা
প্রথমত বলব যদি খাবারের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে 2000 থেকে 5000 টাকা দিয়ে শুরু করা যাবে। এবং ড্রেস অর্থাৎ পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সর্বনিম্ন ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকার মধ্যে করা সম্ভব। এছাড়া কসমেটিকের ব্যবসা আরম্ভ করতে চাইলে ৮০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে করা যায়। টিউশন শুরু করতে কোন পয়সার প্রয়োজন হয় না। 

ড্রপ শিপিং বা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে প্রথমত আপনাকে কোন একটা ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বনিম্ন ৩০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা খরচ করে কোন একটা স্কিল ডেভেলপ করে আরম্ভ করতে পারবেন। এছাড়া ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা ০-২০০০ টাকা খরচ করে শুরু করতে পারেন।

মহিলাদের ঘরে ব্যবসা কোন খাতে কেমন আয় হয় 

মহিলাদের ঘরে ব্যবসা কোন খাতে কেমন আয় হয় এ এ বিষয়ে জানা থাকলে একজন মহিলা বা নারী ব্যবসা আরম্ভ করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। কারণ সবাই চাই কম খরচে সহজ ভাবে নিরাপদে আই করতে। চলুন আপনাদের সুবিধার্থে মহিলাদের কোন কাজ গুলোতে কেমন আয় করা এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা তুলে ধরা হলো। 

হোমমেড ফুড ডেলিভারি করে মাসে১০০০০-৩০০০০ পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এছাড়া পোশাক এর ব্যবসা করলে বিশেষ করে হিজাব কিংবা থ্রি পিস এ ধরনের ব্যবসায় মাসে ৮০০০ হাজার থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। কসমেটিকসের ব্যবসা করে মাসে ১০০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইন টিউশন করে মাসে ৫০০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব।

ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার প্রথম ধাপ কি 

ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার প্রথম ধাপ হলো ব্যবসার আইডিয়া নির্ধারণ এবং মার্কেট রিসার্চ করা। একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এ ধরনের পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ সঠিক ধারণা ছাড়া ব্যবসা শুরু করলে সফল হওয়া কঠিন।  ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করে ব্যবসার লক্ষ্য টাকার পরিমাণ মার্কেটিং পরিকল্পনা ব্যবসার কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। 

বলতে একক মালিকানা প্রাইভেট কোম্পানি নাকি পার্টনারশিপ এটি নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী। ব্যবসা শুরু করার আগে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কেমন আয় হবে, খরচ কেমন হবে, আর কত টাকায় বিনিয়োগ করার প্রয়োজন ইত্যাদি। ব্যবসার বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে যদি ছোট ব্যবসা হয় তাহলে ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। 

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা সম্পর্কিত (FAQ) প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন: কোন পণ্য গুলোর চাহিদা বেশি 

উত্তর: হিজাব, রান্না করা খাবার, স্কিন কেয়ার, শাড়ি, বাচ্চাদের পোশাক ইত্যাদি।

প্রশ্ন: বিউটি সার্ভিস দিয়ে আয় করার উপায় কি? 

উত্তর: আপনি যদি ভালো মেকআপ করতে পারেন, মেহেদী, হেয়ার স্টাইল, ফেসিয়াল ইত্যাদি সেবা প্রদান করতে পারেন এটি অনলাইনে প্রচার করে আয় করতে পারেন।

প্রশ্ন: ই-বুক লেখা ও বিক্রি কিভাবে শুরু করব? 

উত্তর: নিজের লেখা বই একটি ডিজিটাল ফরমেট পিডিএফ হিসেবে তৈরি করে ওয়েবসাইট বা amazon kindle এ বিক্রি করতে পারেন। 

প্রশ্ন: ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পেজ খুলে কিভাবে আয় করতে পারি? 

উত্তর: ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পেজ খুলে পণ্য বিক্রি, রিভিউ, লাইভ সেলিং ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করা যায়।

প্রশ্ন:  অনলাইন কোচিং বা টিউশন কিভাবে শুরু করা যায়?

উত্তর: একটি বিষয় নির্বাচিত করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোর্ট তৈরি করুন এবং সোশ্যাল মিডিয়া অথবা অনলাইন প্লাটফর্ম প্রচার করুন। 

শেষ মন্তব্যঃ মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা

উপরিউক্ত সকল আলোচনার সাপেক্ষে বলা যায় যে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করা এখন আর অসাধ্য কিছু নয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ইচ্ছা শক্তি ও ধৈর্য থাকলে খুব সহজেই পরিবার কিংবা সংসার সামলানোর পাশাপাশি ঘরে বসেই যে কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায়। পরিশ্রম এবং ধৈর্য ছাড়া কখনোই কোনো কাজে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। তাই যারা ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করতে চান উপরের কোন একটি উপায় বেছে নিতে পারেন ধন্যবাদ।

202511

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url