ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় অনেক পরিবার এবং রোগীদের জন্য এ ধরনের প্রশ্ন শোনা যায় । ডায়ালাইসিস করা কখন জরুরি এটি বোঝার পাশাপাশি কিভাবে কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়, প্রতিদিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ জানা জরুরী।
সূচিপত্রঃ ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
- ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
- ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
- ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় সমূহ
- কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
- ক্রিয়েটিনিন ও ডায়ালাইসিস সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
- ক্রিয়েটিনিন ১.৪ ১.৫ ১.৩ মানে
- রক্তে ক্রিয়েটিনিন কত হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়
- ডায়ালাইসিস কতদিন পর পর করতে হয়
- ডায়ালাইসিস করতে কত টাকা লাগে
- ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কিত আরো কিছু সাধারণ প্রশ্ন উত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় এটা জানার আগে জানতে হবে ক্রিয়েটিনিন কি এটা জানা দরকার। ক্রিয়েটিনিন হলো শরীরের পেশি বিপাকক্রিয়ার একটি উপজাত, যা কিডনি দ্বারা ছেকে প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু ক্রিয়েটিনিনের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।
ডায়ালাইসিস করার আগে কিডনির সকল টেস্ট করে অর্থাৎ রোগীর শারীরিক অবস্থা, উপসর্গ এবং অন্যান্য কিডনি পারিপার্শ্বিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা হল
পুরুষের জন্য: ০.৭-১.৩ mg/dl অর্থাৎ মিলিগ্রাম/ প্রতি ডেসিলিটার।
নারীদের জন্য: ০.৬-১.১ mg/dl অর্থাৎ মিলিগ্রাম/প্রতি ডেসিলিটার।
শিশুদের জন্য: ০.২-১.০mg/dl অর্থাৎ মিলিগ্রাম/প্রতি ডেসিলিটার।
ডায়ালিসিস করার প্রয়োজনীয়তা তখন হয় যখন কিডনি ৮৫ থেকে ৯০% পর্যন্ত অকেজো হয়ে যায় অর্থাৎ যখন ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৫-৭ mg/dl বা তার চেয়ে বেশি হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে অনেক ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৩-৪ mg/dl হলেও ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে।
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ রয়েছে যেগুলোর ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানেন না। কারণ ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন উপসর্গ বা লক্ষণ গুলো জেনে নেয়া যাক।
আরো পড়ুন
- শারীরিক দুর্বলতা, শরীরের টক্সিন ঠিক মতো বের হয় না অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হয়।
- সারাদিন শরীর নিস্তেজ এবং দুর্বল হয়ে থাকে।
- অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে কমে যেতে পারে।
- প্রস্রাবের রং গাড়ো হলুদ দাগ হয়ে যায়।
- প্রস্রাবে ফেনা অথবা বুদবুদ দেখা দিতে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সাথে রক্ত দেখা যায়।
- অনেক ক্ষেত্রে শরীরে পানি জমা এবং হাত, পা, চোখ মুখ, ফুলে যেতে পারে।
- কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না, অনেক সময় বেড়ে যায়, অনেক সময় কমে যায়।
- শরীরে বেশি টক্সিন জমে গেলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
- বমি বমি ভাব এবং যে দেখা দেয়।
- অনেকের দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে।
- কিডনির স্বাভাবিক ভাবে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস এর ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারলে হার্ট দুর্বল বা ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকে।
উপরোক্ত সকল লক্ষণগুলো ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে দেখা দেয়। তাই এ ধরনের লক্ষণগুলো যদি কারো শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় সমূহ
ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় সমূহ গুলোর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এছাড়া স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সংকেত দেয়। তবে কিছু সাবধানতা এবং পদ্ধতি অবলম্বন করলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমানো সম্ভব যদি কিডনির খুব বড় সমস্যা না হয়।
আরো পড়ুন
- পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে কারণ পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে দিনে কমপক্ষে আট নয় গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে অতিরিক্ত পানি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।
- প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ করুন কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরে ক্রিয়েটিনিন বাড়াতে পারে। গরু খাসির মাংসের বেশি প্রোটিন রয়েছে তাই এসব খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
- খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি শাকসবজি এবং আঁশযুক্ত ফল বা সবজি রাখা উচিত। আশযুক্ত ফল বলতে আপেল, বেল, পেয়ারা, গাজর, বিটরুট এছাড়া শাকসবজির মধ্যে বাঁধাকপি, লাউ, শশা ইত্যাদি।
- অতিরিক্ত লবণ কম খেতে হবে কারণ কিডনির জন্য লবণ ক্ষতিকর। এ ছাড়া লবণ ক্রিয়েটিনিন বাড়াতে পারে।
- অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পরিহার করার চেষ্টা করুন বিশেষ করে চা কফি ড্রিঙ্কস সকল কিছু কিডনির ক্ষতি করে এবং ক্রিয়েটিনিন বাড়ায়।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন। কারণ অতিরিক্ত ওজন কিডনির উপর চাপ পড়ে যা ক্রিয়েটিনিন বাড়াতে পারে।
- এন্টিবায়োটিক ব্যথা নাশক ঔষধ বেশি খেলে কিডনির ক্ষতি হয় এবং ক্রিয়েটিনিন বাড়ায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই এন্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।
- ও দেখতে মানুষের চাপ কমানোর চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত চাপ কিডনির উপর প্রভাব ফেলে।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো হয় এ ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষই জানে না। কারণ কিডনি যেহেতু আমাদের শরীরের ভেতরের একটি অঙ্গ সেহেতু কিডনিতে সমস্যা হলে সহজে বোঝা সম্ভব হয় না। এজন্য মাঝে মাঝে কিডনি চেক করা উচিত। কিডনির কার্যক্ষমতা বোঝার জন্য সাধারণত GFR(Glomerular filtration rate) ব্যবহার করা হয় যা কিডনির পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
- GFR ৯০ বা তার বেশি হলে স্বাভাবিক কিডনি কার্যক্ষমতা।
- GFR ৬০-৮৯ হলে হালকা কিনে সমস্যা।
- GFR ৩০-৫৯ হলে মাঝারি পর্যায়ের কিডনি রোগ।
- GFR ১৫-২৯ হলে গুরুতর কিডনি সমস্যা।
- GFR ১৫ এরকম কিডনি সম্পূর্ণ ড্যামেজ।
ক্রিয়েটিনিন ও ডায়ালিসিস সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন: ডায়ালাইসিস কি ক্রিয়েটিনিন কমাতে সাহায্য করে?
উত্তর: হ্যাঁ, ডায়ালাইসিস রক্ত থেকে অতিরিক্ত বজ্র ও টক্সিন অপসারণ করে ফলে ফলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমে যায়।
প্রশ্ন: কিডনির বিকলতা ছাড়া কি ক্রিয়েটিনিন বাড়তে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, ডিহাইড্রেশন, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, ঔষধ ও বেশি ব্যায়াম করার কারণে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বাড়তে পারে।
প্রশ্ন: ক্রিয়েটিনিন ১০mg/dl হলে কি অবস্থা হয়?
উত্তর: এটি গুরুতার কিডনির বিকলতা নির্দেশ করে। এবং ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন: ডায়ালাইসিস কতদিন চালিয়ে যেতে হয়?
উত্তর: এটা কিডনির অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্ন: ডায়ালিসিস কি সম্পূর্ণ নিরাময় দেয়?
উত্তর: না, এটি কিডনির কাজকে সহায়তা করে কিন্তু কিডনি ভালো করতে পারে না।
ক্রিয়েটিনিন ১.৪ ১.৫ ১.৩ মানে
ক্রিয়েটিনিন ১.৪ ১.৫ ১.৩ মানে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা সামান্য হ্রাস করে এবং শারীরিক অবস্থার কিছুটা ক্ষতির ইঙ্গিত বহন করে। তবে এ ধরনের পয়েন্ট বিপদজনক কিনা এটি নির্ভর করবে ব্যক্তির বয়স লিঙ্গ চিকিৎসার ইতিহাস এবং অন্যান্য ফলাফলের উপর।
- যেহেতু পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন ০.৭ থেকে ১.৩ mg/dl স্বাভাবিক। তাই উপরোক্ত পয়েন্টগুলো একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য কিছুটা বিপদজনক।
- অন্যথায় পূর্ণবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন ০.৬ থেকে ১.১ mg/dl স্বাভাবিক তাই উপরের পয়েন্ট গুলো কিছুটা বিপদের ইঙ্গিত দেয়।
- এবং শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ক্রিয়েটিনিন 0.2 থেকে ১. ০ mg/dl তাই উপরোক্ত পয়েন্টগুলো অবশ্যই বিপদজনক হতে পারে।
ক্রিয়েটিনিন ১.৩ থেকে ১.৫ mg/dl যদি হয় তবে কিডনির চাপের ইঙ্গিত বহন করে। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে পানি কম খাওয়ার কারণ উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে হতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে লবণ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। GFR টেস্ট করা জরুরী কিডনির কার্যক্ষমতা বুঝার জন্য।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন কত হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়
রক্তে ক্রিয়েটিনিন কত হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায় এ ব্যাপারে চলুন আপনাদের আরো কিছু তথ্য সুন্দর ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করি। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির কার্যক্ষমতা হারাতে পারে বা কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কিডনি টেস্ট করার পরে অনেকেই রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারেন না তাই আপনাদের সুবিধার্থে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা উল্লেখ করব।
৫-৬ mg/dl পয়েন্ট দেখালে গুরুতর কিডনির সমস্যা এবং চিকিৎসার প্রয়োজন বলা যায়। ৭-১০+mg/dl কিডনির পয়েন্ট দেখা দিলে কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ এবং ডায়ালাইসিস বা কিডনির প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ধরা হয়। তাহলে আপনারা হয়তো উপরে উক্ত আলোচনা বুঝতে পেরেছেন কিডনির পয়েন্ট ১৫ mg/dl দেখা দিলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।
ডায়ালাইসিস কতদিন পর পর করতে হয়
ডায়ালাইসিস কতদিন পর পর করতে হয় যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের এ ধরনের প্রশ্ন হতে পারে তাই না? এজন্য আপনাদের সুবিধায় চলুন নিতে আলোচনা করা যাক ডায়ালাইসিস সম্পর্কে।
ডায়ালাইসিস করার সময়সূচী নির্ধারণ করা হয় কিডনির কার্যক্ষমতা শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শের উপর নির্ভর করে। যদি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৫ mg/dl হয় বা এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে অবশ্যই নেফ্রলজিস্টের বা কিডনির বিশেষজ্ঞ দের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজনীয়তা হলে নিতে হবে।
ডায়ালাইসিস সাধারণত দুই ধরনের হয় হেমোডায়ালাইসিস ও পারিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস। হেম হেমোডায়ালাইসিস সাধারণত সপ্তাহে ২-৩ থেকে করতে হয়। ৩ থেকে ৫ ঘন্টা ধরে ডায়ালাইসিস করতে হয়। তবে GFR এর মাত্রা ১০ থেকে ১৫ এর নিচে নেমে গেলে হিমোডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে।
পারিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস এটি প্রতিদিন অথবা দিনে কয়েকবার করার প্রয়োজন হতে পারে। রোগী নিজেই এ ধরনের ডায়ালাইসিস করতে পারেন। প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট পর্যন্ত এই ডায়ালাইসিস করতে হয়। তবে রোগীর কিডনির অবস্থা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে। এই ডায়ালাইসিস করলে নিয়মিত পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে এবং এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বহন করে।
ডায়ালাইসিস করতে কত টাকা লাগে
ডায়ালাইসিস করতে কত টাকা লাগে এটি নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে করছেন এবং আপনার কিডনির অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। কারণ সরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করলে খরচ কিছুটা কম এবং বেসরকারিতে খরচ একটু বেশি। সরকারিতে সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করার জন্য রোগীকে ৫৬৩ টাকা ফি দিতে হয়।
তবে খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে বিশেষ করে রোগী ভেদে ৬৬৯০ টাকা থেকে শুরু করে ২,১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।তবে ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় এ ব্যাপারে কিছুটা ধারণা পেলেও ভালোভাবে কিডনি চেকআপ করিয়ে তারপরে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কিত আরো কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কিডনি প্রতিস্থাপনের পর কি ডায়ালাইসিস বন্ধ করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি কিডনি প্রতিস্থাপন সফল হয়, তবে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় না।
প্রশ্ন: ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য কি খাওয়া উচিত?
উত্তর: কম প্রোটিনযুক্ত খাবার, প্রচুর শাকসবজি, ফল, কম লবণযুক্ত খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্ন: কোন খাবার ক্রিয়েটিনিন বাড়ায়?
উত্তর: গরু খাসির মাংস, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, বেশি লবণ, ফাস্টফুড, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ইত্যাদি।
প্রশ্ন: ডায়ালাইসিস ব্যক্তিত্ব কিডনি ফেইলর কি ভালো হতে পারে?
উত্তর: যদি কিডনির সম্পন্ন ড্যামেজ না হয় তবে কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ ও ডায়েটের মাধ্যমে উন্নতি হতে পারে।
প্রশ্ন: ক্রিয়েটিনিন কম থাকলে কি সমস্যা হয়?
উত্তর: খুব কম ক্রিয়েটিনিন থাকলে বেশি দুর্বলতা বা অপুষ্টির সংকেত দিতে পারে।
শেষ মন্তব্যঃ ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
ক্রিয়েটিনিনের মাত্রার উপর নির্ভর করে কেবলমাত্র ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন হয় না। ক্রিয়েটিনিন ৫ থেকে ৭ বা তার বেশি হলে প্রয়োজন হতে পারে। তবে ডায়ালাইসিস এড়াতে সঠিক খাদ্য অভ্যাস ঔষুধ এবং পর্যাপ্ত পানি নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিডনিকে নীরব ঘাতক রোগ বলা হয়।
কারণ এর ৮০% ড্যামেজ হওয়ার পরে লক্ষণ বোঝা যায় তাই মাঝে মাঝেই কিডনি চেক করা উচিত। আসলে কি উপরোক্ত সকল আলোচনায় ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় এ ব্যাপারে ধারণা পেয়েছেন। তাই যাদের ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেতে থাকে, তারা অবশ্যই দ্রুত নেফ্রলজিস্ট এর পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
202511
গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url