টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম - টাফনিল বেশি খেলে কি হয়

ঔষধ খাওয়ার সময় সঠিক নিয়ম মেনে না খাওয়ার কারণে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয় না এবং বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম জানা থাকলে এ ধরনের সমস্যাগুলো খুব সহজেই এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। 
টাফনিল-২০০-খাওয়ার-নিয়ম
অনেকেই টাফনিল খাবার নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না তাই আজকের পোস্টে আপনাদের সুবিধার জন্য টাফনিল বেশি খেলে কি হয়, এটি কোন রোগের ঔষধ এবং এটি কখন, কিভাবে ও সতর্কতা মেনে খেতে হয় এ বিষয়ে আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম 

টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম 

টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম জানার আগে টাফনিল কি এই বিষয়টা জানা জরুরী। টাফনিল ২০০ এক বিশেষ ধরনের ঔষধ যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হয়। এটি এক ধরনের ব্যাথা নাশক ঔষধ যা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হয়। এটি খাওয়ার নিয়ম মূলত নির্ভর করে রোগের পরিমাণের ওপর। 

মাথা ব্যথা বিভিন্ন প্রদাহ ইত্যাদির সমস্যার সমাধানের কারণে টাফনিল ২০০ এই ওষুধটি বিশেষভাবে পরিচিত। কারণ বিশেষ করে চিকিৎসকরা মাইগ্রেনের  ব্যথার জন্য এই ওষুধটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাদের প্রথম মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদের তীব্র ব্যথার উপশম কমানোর জন্য টাফনিল ২০০ মিলিগ্রাম এই ওষুধটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

মাইগ্রেনের ব্যথা যদি ১ থেকে ২ ঘন্টা পর পর পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে টাফনিল ২০০ মিলিগ্রাম ঔষধ  সেবন করতে হয়। নিজে থেকে ডোজ পরিবর্তন করে খাওয়া উচিত নয়। খাওয়ার পরে এই ওষুধটি খাওয়া উত্তম। ওষুধটি খাওয়ার পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে কারণ শরীরে ডিহাইড্রেশন থাকলে ওষুধের কার্যকারিতা গ্রহণযোগ্য হবে না। 

আরো পড়ুনঃ

সম্পূর্ণ ডোজ পূরণ করে না খেলে এই মাথা ব্যথা পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওষুধটি সেবন করা উচিত। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ সেবন করলে এর কার্যকারিতা বেড়ে যায়। তবে যাদের ব্যথা মাধ্যম তাদের ১০০ মিলিগ্রাম ওষুধ সেবন করা উচিত। কারণ যেহেতু এটি ব্যাথা নাশক ওষুধ তাই প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। 

ব্যাথা নাশক ওষুধ অতিরিক্ত সেবন করলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে কিডনি ড্যামেজ, হার্টের দুর্বলতা ইত্যাদি নানান সমস্যা সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই টাফনিল ২০০ এ ওষুধটি অবশ্যই যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা কিংবা বিভিন্ন ব্যথা আছে তারা অবশ্যই গ্যারান্টেড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।

টাফনিল ২০০ এর কাজ কি  

টাফনিল ২০০ এর কাজ হচ্ছে ব্যথা নাশক (painkiller) ও প্রদাহ এক ধরনের বিশেষ ঔষধ। এটি নন-স্টেরয়ডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগ (NSAID) এর অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ মাথা ব্যথা, পিঠের ব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, ঋতু চক্রের ব্যথা, ইত্যাদিতে এটি ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় অপারেশনের পর/সার্জারির পর ব্যথা কমানোর জন্য এটি ব্যাথা নাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রদাহ বা ফোলা কমানোর জন্য এটি খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের বাতের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা বা ফোলা ভাব ইত্যাদি কমানোর জন্য টাফনিল ২০০ ব্যবহার করা হয়। দেহের বিভিন্ন সমস্যা, ব্যথা কিংবা পোস্ট অপারেটিভ ব্যথা কমানোর জন্য এটি কার্যকরী। অনেক ক্ষেত্রে এটি শরীরের অতিরিক্ত জ্বর কমাতে সাহায্য করে। 

টাফনিল বেশি খেলে কি হয় 

টাফনিল বেশি খেলে কি হয় এ ব্যাপারে যদি আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। টাফনিল ঔষধটি বাথরুমে ঢুকেছে। যদি নির্দিষ্ট মাত্রায় না খেয়ে অতিরিক্ত গ্রহণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটি শরীরের বিদ্রুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত টাফনিল খাওয়ার ফলে কি কি সমস্যা হয় চলুন দেখে নেয়া যাক। 

  • পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া অথবা পেট ব্যাথা হতে পারে। 
  • হজমের সমস্যা হওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হয়। মাথা ঘোড়া ও দুর্বলতা। 
  • শরীরে রক্তচাপ কমে যাই যার ফলে, মাথা ঝিমঝিম করতে পারে। 
  • লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। দীর্ঘ সময় খাওয়ার ফলে এবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
  • অতিরিক্ত সেবনের ফলে কিডনির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কিডনি ড্যামেজের হার বাড়িয়ে দেয়।
  • বেশি খাওয়ার ফলে অনেকের শরীরে র‍্যাশ বা চুলকানি হতে পারে।
  • দীর্ঘ সময়ই খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে সেন্সলেস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • অতিমাত্রায় সেবন করার ফলে হৃদস্পন্দনের গতি দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। 
  • বেশি খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। 

টাফনিল ওষুধ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন: টাফনিল ২০০ এর ডোজ কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? 

উত্তর: এটি রোগের বয়স ওজন শারীরিক অবস্থা অসুস্থতার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসক নির্ধারণ করেন। 

প্রশ্ন: টাফনিল খাওয়ার একটি ডোজ মিস হলে কি করব? 

উত্তর: মিস হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবেন তবে পরবর্তী ডোজের সময় হয়ে গেলে অতিরিক্ত ডোজ নেবেন না। 

প্রশ্ন: এই ঔষধ কি গ্যাস্টিকের সমস্যা বাড়াতে পারে? 

উত্তর: হ্যাঁ, এটি গ্যাস্টিকের বা আলসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

প্রশ্ন: শিশুদের জন্য টাফনিল নিরাপদ কি?

উত্তর: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের জন্য এটি দেওয়া উচিত নয়। 

প্রশ্ন: এটি কি ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? 

উত্তর: অনেক ক্ষেত্রে এই ঔষধ ঘুমের সমস্যা বা শরীরের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। 

টাফনিল ২০০ এর কার্যকারিতা ও ব্যবহার  

টাফনিল ২০০ এর কার্যকারিতা ও ব্যবহার জানা থাকলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সহযোগিতা করবে। টাফনিল ২০০ যেহেতু একটি ব্যাথা নাশক ঔষধ তাই এর কার্যকরী আন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথার উপশম করতে সাহায্য করে। হাত-পা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং দাঁতের ব্যথা পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে।

টাফনিল-২০০-এর-কার্যকারিতা-ও-ব্যবহার

বর্তমানে টাফনিল এই ওষুধটির কার্যকারিতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এই ঔষধ এর কার্যকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানে। জয়েন্টের ও মাংসপেশীর ব্যথা, মাসিকের ব্যথা, বাতের ব্যথা দূর করে। এছাড়া বিভিন্ন সংক্রমণ জনিত জ্বর কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে এর কার্যকারিতা জানলে হবে না, এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা উচিত।  

আরো পড়ুনঃ 

যদিও টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, এটি সাধারণত দিনে দুইবার খেতে হয়। বিশেষ করে ২৪ ঘন্টায় দুইবার ১২ ঘণ্টা পর পর। এবং এই ওষুধটি খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। তবে ব্যথার পরিমাণ অনুযায়ী ডোজ গ্রহন করা উচিত ভাল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী।

 টাফনিল কি কিডনির ক্ষতি করতে পারে 

টাফনিল কি কিডনির ক্ষতি করতে পারে এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনে জাগ্রত হয়। তবে সতর্কতামূলক ভাবে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি, যদি প্রয়োজনে অতিরিক্ত দীর্ঘমেয়াদি বা উচ্চ মাত্রায় টাফনিল ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই কিডনির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিডনি নষ্ট হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া। 

অনেকে আছেন যারা অল্পতেই ব্যাথা নাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এ ধরনের অভ্যাস যারা তৈরি করে ফেলেছেন তাদের ভবিষ্যতে অনেক শারীরিক সমস্যাই ভুগতে হবে। অতিরিক্ত টাফনিল খাওয়ার ফলে এটি কিডনির অক্সিজেনের ঘাটতি কমিয়ে দেয়, ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ধীরে ধীরে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। কিডনির সমস্যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের বয়স ৬০ এর উপরে তাদের এ ধরনের ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের আগে থেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা অতিরিক্ত ব্যাথা নাশক থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন। এবং দীর্ঘমেয়াদি কোন ধরনের ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন। 

টাফনিল ২০০ খাওয়ার সতর্কতা 

টাফনিল ২০০ খাওয়ার সতর্কতা ও গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অনুসরণ করলে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। যেকোনো ঔষধ সতর্কতা মেনে খেলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়। টাফনিল ২০০ খাওয়ার কি কি সতর্কতা অবলম্বন করলে আমরা নিজেকে সুস্থ রাখতে পারব সে ব্যাপারে তুলে ধরা যাক। 

  • খালি পেটে টাফনিল ২০০ খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। খালি পেটে খেলে বুক জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে, এই জন্য খাবারের পর কিংবা দুধের সাথে গ্রহণ করতে পারেন। 
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করা শরীরের বিপদজনক। অতিরিক্ত ডোজ সেবন করলে লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ গ্রহন করুন। 
  • দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার এড়িয়ে চলাই যথাযথ। কারণ দীর্ঘদিন সেবনের ফলে হার্ট, লিভার, কিডনি ইত্যাদির বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তবে ভালো নিউরোলজিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করতে পারেন।
  • গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি সর্তকতা অনুযায়ী সেবন করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গর্ভাবস্থায় কখনোই ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
  • উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ ভুগছেন এ ধরনের ব্যক্তিদের অবশ্যই উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। 
  • লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার কারণ ব্যাথা নাশক ঔষধ, এজন্য এ ধরনের রোগীদের ডাক্তারকে জানিয়ে ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।
  • তবে যারা রক্ত পাতলা করার ঔষধ সেবন করেন তাদের এ ধরনের ঔষধ খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। 
  • টাফনিল গ্রহণ করার সময় অবশ্যই অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তবে শুধুমাত্র পানি খেতে পারেন। 
  • তবে শিশুদের জন্য টাফনিল ২০০ কোন ভাবেই নিরাপদ নয়। বিশেষ করে ১২ বছরের নিচে যে সকল শিশু রয়েছে তাদের জন্য। তবে কোন কারণবশত খাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

টাফনিল ২০০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া   

টাফনিল ২০০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যাপক। কারণ এ ধরনের ব্যাথা নাশক ওষুধগুলোর বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যেগুলো সাধারণ মানুষের জানা না থাকার ফলে দৈনন্দিন চলার পথে অনেক শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। কারণ অতিরিক্ত এই ঔষধ গুলো খাওয়ার ফলে শরীরের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে যেটা মানুষের ধারণার বাইরে।

আর এই ধরনের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো জানা থাকলে অনেকেই সাবধানতা অর্জন করতে পারবেন। তাই সকলকে সচেতন করার জন্য এই টাফনিল ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • বুক জ্বালাপোড়া করা 
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়া 
  • মাথা ঘোরা 
  • বমি বমি ভাব হওয়া 
  • বমি হওয়া 
  • ডায়রিয়া 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য 
  • ত্বকে এলার্জি 
  • ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি 
  • ঘুম ঘুম ভাব 
  • পেটে ব্যথা হয় 
  • ভোঁ  কানে শব্দ হওয়া 
  • খাওয়ায় কমে যায় 
  • খিচুনি হওয়া 
  • ক্লান্তি অনুভব হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
  • শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে। 

উপরে আলোচনা সাপেক্ষে যে সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো আলোচনা করা হলো আশা করি এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনারা প্রতিনিয়ত ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। তবে অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে জানা গেছে ঔষধ পরিমানে যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। তাই যেকোনো ধরনের ব্যাথা নাশক এবং পেইনকিলার খাওয়ার আগে চিকিৎসকের  পরামর্শ নিবেন।

টাফনিল ২০০ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে (FAQ) প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: টাফনিল ২০০ খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি?

উত্তর: টাফনিল ২০০ খাবার খাওয়ার পরে খাওয়া উচিত। বিশেষ করে এক গ্লাস ভর্তি পানি অথবা দুধের সাথে খেলে সবচাইতে ভালো হয়। খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

প্রশ্ন: এটি খাওয়ার পর কতক্ষণ পর্যন্ত কাজ করে? 

উত্তর: এটি খাওয়ার ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে কাজ করতে শুরু করে এবং ৮-১২ ঘন্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। 

প্রশ্ন: প্যারাসিটামলের সাথে টাফনিল ২০০ খাওয়া যাবে কি? 

উত্তর: হ্যাঁ, কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো হয়।

প্রশ্ন: টাফনিল ২০০ এর বিকল্প কি কি আছে?

উত্তর: ডাইক্লোফেনাক, নিমেসুলাইড, আইবুপ্রফেন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রশ্ন: টাফনিল ২০০ কত দিন ব্যবহার করা নিরাপদ?

উত্তর: এটি ৫-৭ দিনের বেশি ব্যবহার না করায় ভালো।

শেষ মন্তব্যঃ টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম 

উপরিউক্ত সকল আলোচনায় আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন টাফনিল ২০০ একটি কার্যকরী ব্যাথা নাশক ঔষধ, যেটি প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা আবশ্যক। কারণ অতিরিক্ত সেবন এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার ফলে এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। কারণ সকল প্রকার ব্যাথা নাশক ঔষধ অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আশা করি টাফনিল ২০০ খাওয়ার নিয়ম এবং টাফনিল বেশি খেলে কি কি ক্ষতি হয় এ নিয়ে ধারণা পেয়েছেন। তাই এ ধরনের সচেতনতামূলক এবং সুস্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্টগুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্পর্কে সচেতনতা লাভ করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন