থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায়

সূচিপত্রঃ থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায়
- থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায়
- থানা কা ফেসপ্যাক কি
- থানাকা ফেসপ্যাক কিভাবে কাজ করে
- তারকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
- থানাকা ফেসপ্যাক এর উপকারিতা
- থানাকা ফেসপ্যাক এর উপাদান সমূহ
- থানাকা ফেসপ্যাক এর দাম কত
- থানাকা ফেসপ্যাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- থানাকা ফেসপ্যাক নিয়ে FAQ
- শেষ বক্তব্যঃ থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায়
থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায়
থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, অবশ্যই আসল নকল থানাকা ফেসপ্যাক চেনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক ত্বক আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ চেহারায় বেশি প্রাধান্য দেয়। এমন কোন প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না যা ত্বকের ক্ষতি করে। তবে বাজারে অনেক নকল থানাকা ফেসপ্যাক প্রচলিত রয়েছে যেগুলো দেখে আসল পণ্য চেনা বড়ই কঠিন।
- আসল থানা কা ফেসপ্যাক দেখতে হালকা হলুদাভ কিছুটা বাদামি কালারের মত। কিন্তু অতিরিক্ত কালার দেয়া থাকলে মনে করবেন সেটি নকল। নকল প্রডাক্ট এর মধ্যে কালার মেশানো থাকে যেগুলো দেখতে একটু গাঢ় রংয়ের।
- যদি আসল থানাকা ফেসপ্যাক হয় তাহলে তার গন্ধ খুব বেশি হবে না হালকা বেলে মাটির মত সুগন্ধি থাকবে। যদিও ফেসপ্যাক এর মধ্যে কিছু কেমিক্যাল মেশানো থাকে। অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত ফেসপ্যাক নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- এছাড়া প্রত্যেক ফেসপ্যাক এর প্যাকেটের উপরে বারকোড স্ক্যানার থাকে সে বারকোড স্ক্যানার, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ, ভালোভাবে চেক করে তারপরে প্রোডাক্ট কিনবেন। স্ক্যান করার পর যদি তাদের ওয়েবসাইটে সরাসরি প্রবেশ করা যায় তাহলে বুঝবেন সেটি আসল।
- থানা কা ফেসপ্যাক কেনার আগে অবশ্যই এর রিভিউ গুলো ভালোভাবে চেক করে তারপরে নেবেন। এছাড়া এটি একটি মিয়ানমারের প্রোডাক্ট তাই মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত কিনা এ ব্যাপারে ভালোভাবে জেনে নেবেন।
- আসল থানাকা ফেসপ্যাক হাতের আঙ্গুলে নিয়ে দুই আঙ্গুল দিয়ে নেড়ে বুঝতে পারবেন অনেক মসৃণ এবং সুন্দর নরম হয় নিলেই গলে যাবে। নকল প্রোডাক্টগুলো আঙ্গুল দিয়ে নাড়ার পর দেখবেন অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানাদার হয়ে থাকে যেগুলো সহজে গলতে চায় না।
থানাকা ফেসপ্যাক কি
থানাকা ফেসপ্যাক কি এটা কিভাবে ব্যবহার করে এ ব্যাপারে জানা না থাকলে এটি ব্যবহার করাও সম্ভব নয়। তাই চলুন থানাকা ফেসপ্যাক সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক। থানাকা ফেসপ্যাক মূলত এক ধরনের রূপচর্চা করা করা প্রাকৃতিক উপাদান। তবে এটি বাংলাদেশের প্রোডাক্ট নয় এটি মিয়ানমারের একটি প্রোডাক্ট।
থানাকা আসলে একটি গাছ, যেই গাছের ছাল থেকে তৈরি করা হয় এই প্যাকটি আর এই গাছটি মিয়ানমারে জন্মে। দক্ষিণ-পূর্ব-এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে এর প্রচলন বহু বছর ধরে সেখানকার স্থানীয় মেয়েরা এ থানাকা ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করে তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। প্রত্যেকটা মেয়ে তার রূপচর্চা করতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের যেমন অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো দিয়ে বাংলাদেশী মেয়েরা রূপচর্চা করে।
আরো পড়ুনঃ
এরকম থানাকা ফেসপ্যাক একটি প্রোডাক্ট যা মিয়ানমার সহ এখন গোটা বিশ্বে এর ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীরা এ থানাকা ফেসপ্যাক মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন দেশে ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। এ ফেসপ্যাক গুড়া এবং পেস্ট আকারেও পাওয়া যায়। যেহেতু এটি গাছ থেকে তৈরি তাই এটি অতি প্রাকৃতিক একটি উপাদান।
থানাকা ফেসপ্যাক কিভাবে কাজ করে
থানা কা ফেসপ্যাক কিভাবে কাজ করে? এর কার্যকারিতা গুলো কি কি? এ সকল বিষয়ে জানা থাকলে এটি ব্যবহারে খুবই সুবিধা হবে। এ থানাকা ফেসপ্যাক এর কাজ কি আপনারা পড়লে উপলব্ধি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ
বাইরে চলাফেরা করার ফলে অনেক সময় রোদ্রে যেতে হয় সেই রোদে যাওয়ার ফলে ত্বকের অনেক কালো কালো দাগ হয় এবং ত্বক জ্বলে যায়। সূর্যের ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এই ফেসপ্যাক কার্যকরী। নিয়মিত এই ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের গভীর থেকে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সতেজ, সুন্দর রাখে।
থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম জানা না থাকলে এটি ব্যবহার করতে সমস্যা হবে। যেহেতু এটা বাইরের একটি প্রোডাক্ট তাই বাংলাদেশে ব্যবহার বিধি অনেকেই জানেনা। থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায় জানার পরে চলুন কিভাবে থানাকা ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করা যায় আলোচনা করা যাক।
এ ফেসপ্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করার আগে ত্বক অবশ্যই কোন ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। ত্বক পরিষ্কার করে ব্যবহার করলে এ ফেসপ্যাকটি খুব ভালো কাজ করে। ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা যুক্ত থাকলে এই প্যাকটি ব্যবহার করে কোন ফায়দা হয় না। এই থানাকা ফেসপ্যাক পাউডার এবং পেস্ট হিসেবে পাওয়া যায়।
থানাকা পাউডার ত্বকে ব্যবহারের আগে পাউডার টি আপনার ত্বকের পরিমাণ মতো নিয়ে হালকা পরিষ্কার পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিবেন। পানির পরিবর্তে কয়েক ফোটা গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। পেস্টটি অনেক পাতলা বা অতিরিক্ত ঘন হওয়া যাবে না ত্বকে ভালোভাবে লেগে যায় সে রকম বানিয়ে নিতে হবে।
এরপর মুখের ত্বকে এবং গলায় ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে লেয়ার করে লাগিয়ে দিন। ২০-২৫ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি অথবা ভালো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এটি ত্বকে লাগানোর পরে কথা কম বলার চেষ্টা করবেন। এবং হাসাহাসি একদমই যাবেনা। কারণ অতিরিক্ত কথা বলার ফলে প্যাকটি শুকিয়ে ত্বক টানটান হয়ে ফেটে যেতে পারে।
এছাড়া আপনি যদি পেস্ট করা থানাকা ফেসপ্যাক ক্রয় করে থাকেন তাহলে সেই জেল ফেসপ্যাকটি ত্বকে আলতো করে মেসেজ করে লাগিয়ে দিবেন। তবে অতিরিক্ত ত্বকে ঘষাঘষি চেষ্টা করবেন না। ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। সবচাইতে ভালো হবে এই থানাকা প্যাকটি রাতে ব্যবহার করা। এবং দিনে অবশ্যই ভালো একটা সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।
থানাকা ফেসপ্যাক এর উপকারিতা
থানা কা ফেসপ্যাক এর উপকারিতা এর পুষ্টিগুণ এর কার্যকারিতা অনেক। এ ফেসপ্যাক দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া লোকজন বিশেষ করে মেয়েরা কিংবা মহিলারা ব্যবহার করে। কারণ তারা ত্বকের যত্ন নিতে খুব ভালোবাসে। প্রত্যেকটা মেয়ে মুখের ত্বকের যত্ন নিতে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে পছন্দ করে। আর থানাকা ফেসপ্যাক যেহেতু একটি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি ফেসপ্যাক তাই এর চাহিদা অনেক।
- থানাকা ফেসপ্যাকের অনেক উপকারী গুণ রয়েছে। কারণ এটি একটি জনপ্রিয় থানাকা গাছের ছাল থেকে তৈরি হয়ে থাকে। ত্বকের অতিরিক্ত কালো দাগ, ব্রণের দাগ দূর করতে এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী।
- এছাড়া সান বার্ন এর কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় ত্বকের জায়গা জায়গা কালো দাগ হয়ে যায় যা দেখতে খুবই বিশ্রী লাগে। এ ধরনের দাগ দূর করার জন্য এ থানাকা ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহার করলে ত্বকের খুবই উপকার হবে, ত্বকের সব ধরনের দাগ দূর করবে।
- অনেকের মুখের ত্বকে লাল তিল, কালো তিল বের হয় যেগুলো অতিরিক্ত হওয়ার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে সে সকল তিল গুলো রিমুভ করার জন্য এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করতে পারেন।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাকটি খুবই উপকারী অতিরিক্ত তেল মুখের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে তাই অতিরিক্ত তেল কমানোর জন্য এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
- ত্বকের ভেতরে অনেক মরা চামড়া থাকে যেগুলো ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে। অনেক ফর্সা ত্বক কালো করে ফেলে। এ ধরনের সমস্যা থেকে, মরা কোষগুলো দূর করতে, নতুন কোষ গঠনে, ত্বক উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর করতে এই ফেসপ্যাকটি খুবই উপকারী।
- এই প্যাকটি অনেক প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি তাই যাদের ত্বক খুবই পাতলা কিংবা অল্পতেই ব্রণ বা পিম্পল বের হয় এ ধরনের ত্বকে ও ব্যবহার করতে পারবেন।
- যাদের ত্বক অনেক রুক্ষ, শুষ্ক এবং একটুতেই জ্বালাপোড়া করে এ ধরনের ত্বকে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন এবং ব্যবহার করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং শুষ্কতা কমে যাবে।
- অনেক ত্বকে একজিমা এবং রাশ বের হয় সে সকল সমস্যা দূর করতে এই প্রাকৃতিক ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
- অনেকের ত্বক এতটাই নরম যে হালকা একটা মশা কামড় দিল দাগ হয়ে যায় এবং লালচে দেখায় মশার কামড়ের দাগ দূর করার ক্ষেত্রেও এই থানাকা ফেসপ্যাকটি খুবই কার্যকরী উপকার করে।
- শীতকালে ত্বকের নিয়মিত যত্নের অভাবে ত্বক ফেটে যায় এবং শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যায় এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন এবং নিজেই এর উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
থানাকা ফেসপ্যাক এর উপাদান সমূহ
থানা কা ফেসপ্যাক এর উপাদান সমূহ জানা থাকলে আপনি এটি ব্যবহার করতে সুবিধা হবে। মুখের ত্বক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আর শরীরের সকল অঙ্গের চাইতে ত্বক বেশি আকর্ষণীয়। তাই ত্বক সুন্দর রাখার জন্য নিয়মিত রূপচর্চা করা প্রয়োজন। এটাও জানা প্রয়োজন আপনি কি ধরনের প্রোডাক্ট দিয়ে আপনার রূপচর্চা করছেন সেটি আপনার ত্বকের জন্য কার্যকরী কিনা?

এছাড়া আরো কিছু উপাদান রয়েছে সেগুলো হলো মধু লেবুর রস যা ত্বকের গভীর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের কোমলতা, উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। তাই এই থানা ফেসপ্যাকটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি তাই আপনারা খুব সহজে এটি তাকে লাগিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।
থানাকা ফেসপ্যাক এর দাম কত
থানা কা ফেসপ্যাক এর দাম কত জানতে চাইলে আপনার পরিচিত কোন শপিংমলে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন। থানা কা ফেসপ্যাক এর দাম জানা থাকলে আপনি বেশি দামে কেনা থেকে সচেতন থাকবেন। তবে এই ফেসপ্যাক এর দাম পণ্যের পরিমাণ এবং ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে। এছাড়া মার্কেটে ক্রয় করলে দাম একরকম হয় এবং অনলাইনে ক্রয় করলে দাম একটু তুলনামূলক বেশি পড়ে।
অনেক ধরনের থানাকা ফেসপ্যাক পাওয়া যায় তার মধ্যে শ্বেপিনান শিনমাটাউং থানাকা ফেসপ্যাক ১৪০ গ্রামের দাম ৩৫০ টাকা। এবং নরমাল থানাকা ফেসপ্যাক ১৪০ গ্রাম ৩০০-৩৫০ টাকা। চন্দন ধামাকা ফেসপ্যাক ২০০ গ্রাম ৫০০ টাকা। এছাড়াও ব্র্যান্ড, ওজন, কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম কম বেশি হতে পারে।
থানাকা ফেসপ্যাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
থানাকা ফেসপ্যাক প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হলেও অনেকের ত্বকে এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সর্বপ্রথম এটি ব্যবহারের আগে হাতে কিংবা কানের পেছনে লাগিয়ে টেস্ট করা উচিত। এছাড়া কারো ত্বকে আগে থেকেই ক্ষত থাকলে সেখানে এটি লাগালে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
যাদের অতিরিক্ত অ্যাজমা কিংবা ঠান্ডার সমস্যা আছে তাদের এটি ব্যবহার ফলে ত্বক চুলকাতে পারে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও শুষ্ক সে ক্ষেত্রে এটি ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা করতে পারে। তবে এটি ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত কোন সমস্যা হলে এবং জ্বালাপোড়া করলে ত্বকে বেশি বেশি পানি ব্যবহার করুন।
ত্বকে ব্যবহারের পরে ত্বক বেশি শুষ্ক ভাব মনে হলে ভালো ব্র্যান্ডের ময়শ্চারাইজার লাগাতে পারেন। প্রথম ব্যবহারের ফলে ত্বকে কিছু ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এছাড়া ফেসপ্যাক যদি ভালোভাবে যাচাই করে না নিতে পারেন নকল প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
থানাকা ফেসপ্যাক নিয়ে FAQ
১প্রশ্ন: ধামাকা ফেসপ্যাক কি?
উত্তর: থানা কা ফেসপ্যাক মিয়ানমারের একটি প্রাকৃতিক ত্বকের যত্নে থানাকা গাছের ছাল দিয়ে তৈরি এক ধরনের ফেসপ্যাক।
২প্রশ্ন: থানা কা ফেসপ্যাক ত্বক কি উজ্জ্বল করে?
উত্তর: হ্যাঁ, এটি ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সতেজ করতে সাহায্য করে।
৩প্রশ্ন: থানা কা ফেসপ্যাক কয় দিন ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর: ধামাকা ফেসপ্যাক সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করা উচিত।
৪ প্রশ্ন: থানাকা ফেসপ্যাক কি রাতে ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, থানা কা ফেসপ্যাক রাতে ব্যবহার করা যাবে তবে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে ফেলতে হবে।
৫ প্রশ্ন: থানা কা ফেসপ্যাক মেকআপের আগে কি ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, এটি মেকআপের আগে ব্যবহার করে পরিষ্কার তেলমুক্ত করে নিলে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
৬ প্রশ্ন: থানা কা ফেসপ্যাক কোথায় পাওয়া যায়
উত্তর: থানা কাফের বিভিন্ন কসমেটিকসের দোকানে কিংবা অনলাইনে অর্ডার করে পাওয়া যায়।
৭ প্রশ্ন: থানা কা ফেসপ্যাক এর দাম কত?
উত্তর: থানা কা ফেসপ্যাক এর দাম ব্র্যান্ড এবং পণ্যের পরিমাণ অনুযায়ী হয়ে থাকে তবে ২০০-১০০০ টাকা এর চাইতে বেশি হতে পারে।
৮ প্রশ্ন: ১৪০ গ্রাম থানা কা ফেসপ্যাক এর দাম কত?
উত্তর: ১৪০ গ্রাম থানা কা ফেসপ্যাক এর দাম আনুমানিক ৩৫০ টাকা।
৯ প্রশ্ন: কোন ধরনের তাকে থানাকা ফেসপ্যাক উপযুক্ত?
উত্তর: তৈলাক্ত, শুষ্ক এবং সংবেদনশীল বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য এটি উপযোগী।
১০ প্রশ্ন: ব্রণ দূর করতে থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর হ্যাঁ, ফেসপ্যাক এর মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান রয়েছে যার ফলে এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
শেষ বক্তব্যঃ থানাকা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায়
অবশেষে সকল আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে থানাকা ফেসপ্যাক খুবই উপকারী একটি উপাদান যা ত্বকের গভীরে থেকে পরিষ্কার এবং ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ, সতেজ, নরম করতে সাহায্য করে। থানাকা ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে অবশ্যই পরিচিত কোন ভালো দোকান বা পরিচিত কোন লোকজনের সাথে জেনে তারপরে থানা কা ফেসপ্যাক আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে ক্রয় করবেন।
202511