২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি - ঈদুল ফিতরের ছুটি ২০২৫

সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি
- ২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি
- ঈদুল ফিতরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
- ঈদুল ফিতরের ফজিলত ও গুরুত্ব
- ঈদুল ফিতরের সুন্নাহ ও আমল
- ২০২৫ সালের রমজানের ছুটি কতদিন
- ২০২৫ সালের মার্চ মাসের দিবস সমূহ
- ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে দিবস সমূহ
- ২০২৫ সালে ঈদুল আযহার ছুটি
- ২০২৫ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটি সাধারণ (FAQ) প্রশ্নোত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ ২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি
২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি
২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি কবে থেকে অনুষ্ঠিত হবে, কত দিন ছুটি থাকবে এই ছুটি নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের কৌতুহল থাকে। কারণ ছাত্র-ছাত্রী এবং চাকরিজীবী তাদের গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনগুলো কিভাবে কাটাবে, কাদের সাথে কাটাবে, কি কি প্ল্যান করবে এ নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা থাকে। আর ঈদুল ফিতর মুসলিম জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
কারণ এই দিনে পরিবারসহ, আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ এর এক ধরনের সুযোগ থাকে। মনের ভিতরে অনেক প্ল্যানিং থাকে তাই ছুটি সম্পর্কে আপনাদের সকল তথ্য আজকের পোস্টে দেয়া হল। ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরের ছুটি ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। মোট ৫ দিন তবে এর মধ্যে একদিন শুক্রবার হাওয়ায় ছুটি বাড়িয়ে ৬ দিন হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের ছুটির তালিকা দেওয়া হল।
তারিখ | দিন | ছুটির নাম |
---|---|---|
২৯ মার্চ | শনিবার | ঈদুল ফিতর |
৩০ মার্চ | রবিবার | ঈদুল ফিতর |
৩১ মার্চ | সোমবার | ঈদুল ফিতর |
১ এপ্রিল | মঙ্গলবার | ঈদুল ফিতর |
২ এপ্রিল | বুধবার | ঈদুল ফিতর |
ঈদুল ফিতরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
ঈদুল ফিতর মূলত ইসলাম ধর্মের দুইটি ধর্মীয় প্রধান উৎসবের মধ্যে একটি। রমজান মাস শেষ হওয়ার পরে শাওয়াল মাসের প্রথমে এই ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা করে আল্লাহতালা এই দিনটিকে উদযাপন হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছেন। ঈদ অর্থ আনন্দ বা উৎসব এবং ফিতর অর্থ ভাঙ্গা বা ইফতার।
ইসলাম ধর্মে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা মুসলমানদের জন্য দুটি ধর্মীয় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পরে ঈদুল ফিতর এর আনন্দ উদযাপিত হয়। এই ঈদুল ভিতরের ২ মাস ১০ দিন পরে ঈদুল আজহা প্রত্যেক মুসলমান পালন করতে হয়। ঈদুল ফিতরের কিছু ঐতিহ্য পালন করতে হয়। যেমন খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সুন্দরভাবে গোসল করা।
আরো পড়ুনঃ
নতুন পোশাক পরিধান করা। ছেলেদের সুন্দর সুগন্ধি অথবা আতর ব্যবহার করা। চোখে সুরমা দেওয়া। এবং সুরমা ছেলেমেয়ে উভয়েই সুরমা ব্যবহার করতে পারবে। তবে সুগন্ধি মেয়েদের জন্য নিষিদ্ধ। ঈদগাহয়ে কিংবা মসজিদে জামাতের সহিত ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার সালাত আদায় করা। পরিবার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা ইত্যাদি।
ঈদুল ফিতরের ফজিলত ও গুরুত্ব
ঈদুল ফিতরের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। ঈদুল ফিতর শুধু আনন্দ উৎসবের দিন নয় এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ ধরনের পুরস্কার এবং নিয়ামত। এই দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত এবং গুরুত্ব রয়েছে যেগুলো সকল মুমিন মুসলমানের জানা উচিত। এর ফজিলত ও গুরুত্ব গুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

আরো পড়ুনঃ
ফিতরা আদায়ের আত্মশুদ্ধিঃ রমজান মাসের একটি বড় নেয়ামত হচ্ছে ফিতরা আদায় করা। ফিতরা মূলত এই দীর্ঘ এক মাস রোজা অর্থাৎ শরীরের যাকাত আদায় করে ফিতরা আদায় করতে হয়। নির্দিষ্ট একটা পরিমাণ টাকা কিংবা চাল, গম গরীব দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া ফিতরা বলে থাকে।
সামাজিক সংহতি বৃদ্ধিঃ ঈদুল ফিতরের দিন ধনী গরিব সকলেই একসঙ্গে ঈদগাহে কিংবা মসজিদে জামাতের সহিত সালাত আদায় করা এবং আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া তাদেরকে পানাহার করানো সামাজিক সংহতি এবং ভাতৃত্ব দুটোই পালন করতে হয়।
ঈদুল ফিতরের সুন্নাহ ও আমল
ঈদুল ফিতরের সুন্নাহ ও আমল প্রত্যেক মুসলমানের জানা এবং সেই সুন্নাহ ও আমলসমূহ পালন করা একান্ত কর্তব্য। নবীজি (সাঃ) ঈদুল ফিতরের কিছু সুন্নাহ এবং আমাদের কথা বলে গেছেন। আর সেই সুন্নাহ এবং আমলগুলো একটি মুসলমান যদি পালন করে তাহলে সে অনেক সোয়াবের অধিকারী হবে। সুন্নাহ এবং আমল গুলো কি কি আলোচনা করা যাক।
- রমজান মাস শেষ করার পরে শাওয়াল মাসের প্রথম দিনে ঈদুল ফিতরের দিন আরম্ভ হয়। এই দিনে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
- এবং ফজরের সালাত আদায় করার আগে অথবা পরে ভালোভাবে সুন্দর করে গোসল করতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি কিংবা আতর ব্যবহার করতে হবে।
- এবং চোখে সুরমা দিতে হবে আমাদের নবীজি দিতেন।
- ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের আগে অর্থাৎ ঈদগাহ বা ময়দানে নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে খেজুর কিংবা মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবার খেতে হবে।
- নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে যেতে হবে।
- পায়ে হেঁটে ঈদগাহ যেতে হবে, তবে সম্ভব হলে। গাড়িতে যেতে পারেন তবে পায়ে হেঁটে গেলে সোয়াব বেশি।
- নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে পরিবার পরিজনদের সালাম দিয়ে যেতে হবে।
- এবং সালাত আদায়ের পরেও পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন সকলকে সালাম দিতে হবে।
- নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে।
২০২৫ সালের রমজানের ছুটি কতদিন
২০২৫ সালের রমজান মাসের ছুটি কতদিন এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। প্রায় প্রত্যেক বছরই রমজান মাসে ছুটি রাখা হয়। কারণ পুরা ৩০ দিন পানাহার না করে রোজা রাখা এর সাথে কর্মক্ষেত্রে কাজ করা জনগণের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। তাই সকল বিবেচনা করে রমজান মাসে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা দিয়ে থাকে।
তবে রমজান মাসে কত দিন ছুটি থাকে এ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। এই পবিত্র মাহে রমজানে দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস এবং জামাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতর সহ মোট ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ২৮ কর্ম দিবস। অর্থাৎ ২ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে।
২০২৫ সালের মার্চ মাসের দিবস সমূহ
২০২৫ সালের মার্চ মাসের দিবস সমূহ জানা উচিত। কারণ এই মাঘ মাসে ছুটি রয়েছে যেগুলো অনেকেই জানে না তাই মার্চ মাসের দিবস সহ ছুটির তালিকা দেওয়া হল।
তারিখ | দিন | ছুটির নাম | ঐচ্ছিক ছুটি |
---|---|---|---|
৫ মার্চ | বুধবার | ভস্ম বুধবার | |
১৪ মার্চ | শুক্রবার | দোলযাত্রা | |
২৬ মার্চ | বুধবার | স্বাধীনতা দিবস | |
২৭ মার্চ | বৃহস্পতিবার | শব-ই-কদর | হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব |
২৮ মার্চ | শুক্রবার | জুমাতুল বিদা | |
২৯ মার্চ | শনিবার | ঈদুল ফিতর | |
৩০ মার্চ | রবিবার | ঈদুল ফিতর | |
৩১ মার্চ | সোমবার | ঈদুল ফিতর |
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের দিবস সমূহ
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের দিবস সমূহ নিয়ে আজকের পোস্টে কিছু আলোচনা করা হলো। কারণ ২০২৫ সালের মার্চ এবং এপ্রিল এই দুই মাস রমজান এবং ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রত্যেক মুসলিম এবং বাংলাদেশের জনগণের এই দিনগুলো সম্পর্কে জানা উচিত।
তারিখ | দিন | ছুটির নাম | ঐচ্ছিক ছুটি |
---|---|---|---|
১ এপ্রিল | মঙ্গলবার | ঈদুল ফিতর | |
২ এপ্রিল | বুধবার | ঈদুল ফিতর | দোলযাত্রা |
৩ এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ঈদ-উল-ফিতরের তৃতীয় দিন | |
১৩ এপ্রিল | রবিবার | চৈত্র সংক্রান্তি | |
১৭ এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | পুণ্য বৃহস্পতিবার | |
১৮ এপ্রিল | শুক্রবার | পুণ্য শুক্রবার | |
১৯ এপ্রিল | শনিবার | পুণ্য শনিবার | |
২০ এপ্রিল | রবিবার | ইস্টার সানডে |
২০২৫ সালের ঈদুল আজহার ছুটি

ঈদুল আযহার ছুটি ৫ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ১০ জুন জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত। অর্থাৎ ৭ জুন শনিবার ঈদুল আযহা বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আযহা আরবি দ্বিতীয় মাস জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পালন করা হয়। আর এই মাসেই মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা মক্কায় হজের উদ্দেশ্যে যান। আর ঈদুল আযহার দিনে মুসলিমরা মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করে কোরবানি করে থাকেন।
২০২৫ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটি সাধারণ (FAQ) প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: বাংলাদেশে ২০২৫ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটি কতদিন?
উত্তর: বাংলাদেশে ২০২৫ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটি ৫ দিন। তবে একদিন শুক্রবার থাকাই মোট ছয় দিন।
প্রশ্ন: ঈদের ছুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দুই থেকে তিন দিন দেওয়া হয়। ছুটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: ঈদের নামাজ ফরজ, ওয়াজিব নাকি সুন্নত?
উত্তর: প্রত্যেক ঈদের নামাজ ওয়াজিব।
প্রশ্ন: ঈদের আগের রাতে কি আমল করা উচিত?
উত্তর: ঈদের আগের রাতে অনেক আমল রয়েছে তার মধ্যে কিছু আমল হল তাহাজ্জুত নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা, বেশি বেশি দোয়া ও জিকির করা উত্তম।
প্রশ্ন: ফিতরা কখন দিতে হয়?
উত্তর: ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা দেওয়া উত্তম।
প্রশ্ন: ২০২৫ সালের ফিতরার পরিমাণ কত নির্ধারণ করা হয়েছে?
উত্তর: ফিতরা মূলত নির্ভর করে খাদ্যের দামের উপর। তাই আনুমানিক ৭০-১০০ টাকা এর চাইতে বেশি হতে পারে।
প্রশ্ন:সরকারি ছুটি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া যাবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, অনেকে বাৎসরিক ছুটির সাথে ব্যক্তিগত ভাবে অতিরিক্ত ছুটি বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন: ঈদের ছুটিতে ব্যাংক খোলা থাকবে কি?
উত্তর: ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে, তবে ঈদের প্রধান তিনদিন বন্ধ থাকে।
প্রশ্ন: ঈদের ছুটিতে অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং চালু থাকবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদ, রকেট ও অন্যান্য অনলাইন ব্যাংকিং সেবা গুলো চালু থাকবে। তবে কিছু লেনদেন সীমিত আকার হতে পারে।
প্রশ্ন: ঈদের সময় বাসর ট্রেনের টিকিট কিভাবে পাওয়া যাবে?
উত্তর: অনলাইনে (Shohoz, e-ticket railway apps) বা সরাসরি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট বুকিং করা যেতে পারে।
শেষ মন্তব্যঃ ২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি
উপরোক্ত সকল আলোচনায় আমরা ঈদুল ফিতর সম্পর্কে এবং ২০২৫ সালের রোজার ঈদের ছুটি সম্পর্কে এবং ঈদুল ফিতরের ফজিলত আমল ইত্যাদি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা ঈদুল ফিতরের ছুটি সম্পর্কে এবং ঈদুল ফিতরের আরো আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় আপনাদের জানার আগ্রহ ছিল তাই আপনাদের সুবিধার্থে সকল কিছু আজকের পোস্টে আলোচনা করা হলো।
202511