নবীজির বিড়ালের নাম - ইসলামিক বিড়ালের নাম অর্থসহ

নবীজির বিড়ালের নাম কি ছিল এ ব্যাপারে অনেকেই জানেন আবার অনেকে জানেন না। নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিড়াল খুব পছন্দ করতেন। কারণ বিড়াল খুব শান্ত একটা প্রাণী এবং নবীজির বিছানায় এবং কাপড়ে শুয়ে থাকতো বিড়াল।
নবীজির-বিড়ালের-নামবিড়াল খুব ছোট্ট একটা প্রাণী এবং আমাদের নবীজি (সাঃ) ছিলেন খুবই উদার মন-মানসিকতার। আল্লাহর সৃষ্টির যে কোন জীবের প্রতি তার ছিল অগাধ ভালোবাসা এবং দয়া। তাই আজকের পোস্টে নবীজির বিড়ালের নাম সহ বিড়ালের বিভিন্ন ইসলামিক নাম, বিড়াল পোষা নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা করব। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ নবীজির বিড়ালের নাম  

নবীজির বিড়ালের নাম কি

নবীজির বিড়ালের নাম কি এটা জানা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। কারণ আমরা নবীজির উম্মত হিসেবে নবীজির সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জানা একান্ত জরুরী। এছাড়া নবীজি পশু পাখির বিষয়ে কেমন মন-মানসিকতার ছিলেন এ বিষয়ে জানা থাকলে সকলে তার নিজের অবস্থান থেকে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা এবং শিক্ষা লাভ করতে পারবেন। 

নবীজির পোষা প্রাণীদের মধ্যে বিড়াল ছিল একটি অন্যতম একটি প্রাণী। নবীজি বিড়াল পোষা ভালবাসতেন। তবে কুকুর পুষতে নিষেধ করেছেন। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া কুকুর পোষা যাবেনা। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে নবীজির বিড়ালের নাম ছিল 'মুয়েজ্জা'। মুয়েজ্জা শব্দের অর্থ প্রিয় বা সম্মানিত। মুয়েজ্জা নামটি স্নেহ ও সহানুভূতির সাথে বিশেষভাবে জড়িত। 

বিড়ালের আরবি শব্দ কি 

বিড়ালের আরবি শব্দ কি এ ব্যাপারে প্রায় বেশিরভাগ মানুষের অজানা। বিড়াল খুবই পালিত একটি প্রাণী কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে একে কিভাবে দেখা হয় এ ব্যাপারে জানা থাকলে বিড়াল লালন পালনে সকলের সুবিধা হয়। তবে বিড়ালের আরবি শব্দ হচ্ছে "কুইট"। আর ছোট ছোট বিড়াল ছানাকে আরবিতে বলা হয় হুরায়রা। বিড়াল ছোট্ট এবং খুবই আদরের একটি প্রাণী। 

ইসলামে দৃষ্টিকোণ থেকে বিড়ালকে পবিত্র বলা হয়েছে। অনেকে কালো বিড়াল দেখে ভয় পাই। কিন্তু বিড়াল যেকোনো ধরনের হোক বিড়াল খারাপ কিছু না। নবীজির যুগে মসজিদে বিড়াল চলাফেরা করতো এবং সে জায়গাতে সালাত আদায় করতেন। বিড়াল সম্পর্কে সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতেন। বিড়ালের গায়ে নাপাক কিছু লেগে না থাকলে বিড়াল নিয়ে ঘুমালে কোন সমস্যা নাই। 

কোন খাবারে যদি বিড়ালের লালা পড়ে তাহলে সে খাবার খাওয়া যাবে, তবে লক্ষ্য রাখতে বিড়ালটা রোগাক্রান্ত নাকি সুস্থ। এছাড়া বিড়ালের লোম খাবারে গেলে পেট খারাপ হতে পারে। যতই নাপাক না হোক তারপরও সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। কারণ অনেক বিড়াল নাপাক থাকে কিংবা এলার্জি থাকতে পারে।

নবীজির বিড়ালের ইতিহাস

নবীজির বিড়ালের ইতিহাস সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। বিড়াল শান্তশিষ্ট গৃহপালিত একটি প্রাণী। বিড়াল পছন্দ করে না এরকম মানুষ নাই। কারণ ইসলামে বিভিন্ন জায়গায় বর্ণিত আছে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিড়াল পছন্দ করতেন। তিনি বিড়াল অনেক ভালবাসতেন। নবীজির জীবন কাহিনী পড়লে বোঝা যাবে পশু পাখির প্রতি কতটা সদয় এবং সহানুভূতিশীল ছিলেন। 

নবীজির জীবন দশায় একটি বিড়াল ছিল যার নাম ছিল মুয়েজ্জা। নবীজি একদিন সালাত আদায় করার জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন, এ সময়ে তিনি দেখতে পান একটি বিড়াল তার পোশাকের উপর শুয়ে ঘুমিয়ে আছে। তিনি ঘুমন্ত বিড়ালটাকে সরিয়েও দেননি কিংবা আঘাত ও করেনি। নবীজির পোশাকের যে অংশে বিড়ালটা শুয়েছিল সে অংশটুকু রেখে বাকি অংশ কেটে নিয়ে পরিধান করে সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওনা দেন।

আরো পড়ুন

এ দেখেই বোঝা যায় তিনি কতটা সদয় এবং নরম মনের মানুষ ছিলেন। তিনি সামান্য একটি প্রাণী বিড়াল কে ঘুম থেকে তুলে ডিস্টার্ব করেন নি। বরঞ্চ তার ঘুমের যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য তিনি ছেড়া অংশ পড়েই সালাতে গেছেন। কিন্তু অনেকের বাড়িতেই বিড়াল কিছু খাবার খেয়ে ফেললে তাকে মারার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। তবে হাদিসে আছে বিড়ালের এঠো খাওয়া হালাল।

অর্থাৎ বিড়াল খাবারের যে অংশটুকু খেয়েছে সে অংশটুকু ফেলে দিয়ে বাকি অংশ খাওয়া যাবে। তাই বিড়ালকে পবিত্র প্রাণী বলা যেতে পারে। এছাড়া মক্কা মদিনায় গেলে দেখতে পাবেন মসজিদে হারামে ভেতরে অনেক বিড়াল ঘোরাফেরা করে এবং সেখানকার লোকজন তাদের খাবারও খেতে দেয়, অনেক যত্ন সহকারে। এবং ঘরে ঘরে সেখানে বিড়াল লালন-পালন করে। 

নবীজি বিড়ালের বাবা বলেছেন কাকে 

নবীজি বিড়ালের বাবা বলেছেন কাকে এ ব্যাপারে জানা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ আমাদের নবীজি কেমন মন মানসিকতা ছিলেন পশু পাখির ব্যাপারে এবং তাদের প্রতি কতটা সহানুভূতিশীল ও সদয় ছিলেন জানা দরকার তাই না? এছাড়া নবীজি একজন সাহাবীকে বিড়ালের বাবা বলে ডাকতেন তিনি হলেন আবু হুরায়রা (রা:)। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বিড়াল পালতেন। 

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আসল নাম আব্দুর রহমান ইবনে সাখর আদ দাওসি। তিনি ছোট ছোট বিড়ালের বাচ্চার প্রতি অনেক স্নেহশীল ছিলেন। তাকে প্রায় ছোট ছোট বিড়াল পালন করতে দেখা যেত। বিড়ালের প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখে নবীজি তাকে বিড়ালের বাবা অর্থাৎ আবু হুরায়রা নাম দিয়েছিলেন। 
নবীজির-বিড়ালের-নামআবু হুরাইরা (রা:) ছিলেন নবীজির কাছে থেকে সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। তিনি নবীজিকে দিন প্রচারে অনেক সাহায্য করেছেন এবং নবীজির সাথে অনেক সময় কাটিয়েছেন। নবীজি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে বিড়ালের প্রতি দয়াশীল এবং সহানুভূতি দেখেই আবু হুরায়রা নাম দিয়েছিলেন। 

আরো পড়ুন

 নবীজি তার অন্যান্য সাহাবীদের ও পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতিশীল হতে উৎসাহিত করতেন। নবীজি আবু হুরায়রা রাঃ কে বিড়ালের বাবা বলে ডাকলে তিনি কখনো মন খারাপ করতেন না, বরঞ্চ আনন্দ পেতেন। নবীজি সকল পশু পাখির প্রতি সহানুভূতিশীল এবং ভালোবাসা তার সাহাবীদের অনুপ্রাণিত করতেন।

ছেলে বিড়ালের ইসলামিক নাম ও অর্থ

বিড়ালের ইসলামিক নাম বলতে সেরকম কোনো নাম পাওয়া যায় না তবে। মানুষ মূলত বিড়ালের নাম মানুষের নামের মত রাখতে পারেন। কারণ হাদিসে এরকম কোন বর্ণিত হয়নি যে বিড়ালের আলাদাভাবে কোন ইসলামিক নাম আছে আপনি যেভাবে ইচ্ছা থাকে সেভাবে ডাকতে পারেন তবে ভালো কয়েকটি নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। 

  • জাফর (Jafar)--প্রবাহিত নদী, ছোট নদী 
  • সালিম (Salim)--নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ
  • মুসা (Musa)--জল থেকে উদ্ধারকৃত 
  • আমির (amir)--নেতা 
  • জাকারিয়া (jakaria)--আল্লাহ স্মরণকারী 
  • হামজা (Hamza)--বীর, সিংহ 
  • ফাইজা (fiza)--বিজয়ী, সফল 
  • তাজ (Taj)--মুকুট, রাজকীয় মর্যাদা 
  • বাসির (basheer)--সুসংবাদ বাহক 
  • রশিদ (Rashid)--পথপ্রদর্শক, প্রজ্ঞাবান 
  • কাশিম kasim)--বিতরণকারী, দাতা 
  • ইমরান (Imran)--উন্নত, মুসা নবীর পরিবারের নাম 
  • মাজিদ (Majid)--গৌরবময়, মহান 
  • আদনান (Adnan)--চিরস্থায়ী, স্বর্গে বসবাসকারী 
  • আরাফাত (Arafat)--জ্ঞান, একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান 
  • নুহ (nuh) --শান্ত 
  • রাহিম (Rahim)--দয়ালু, দয়া পরবস 
  • সামির (Sameer)--বন্ধুত্বপূর্ণ

মেয়ে বিড়ালের ইসলামিক নাম অর্থসহ 

মেয়ে বিড়ালের ইসলামিক নাম অর্থসহ অনেকেই জানার আগ্রহ করেছেন। তবে এটা জানা ভালো, বিড়ালের ইসলামিক নাম সেরকমভাবে উল্লেখ করা নাই। মেয়েদের নামের মতই বিড়ালের নাম রাখা যেতে পারে চলুন সুন্দর সুন্দর নাম গুলো দেখে নেয়া যাক।

  • মুইজ্জা (Muyejja)--সম্মানিত, 
  • জামিলা (Jamila)--সুন্দরী 
  • লায়লা (Laila)--রাতের সৌন্দর্য, রাত 
  • মীরা (Mera)--রাজকুমারী, সমুদ্রের উজ্জ্বলতা 
  • আরিফা (arifa)--জ্ঞানী, বুদ্ধিমতী 
  • জুমানা (jamana)--মুক্তা 
  • ফারাহ্ (Farah)--আনন্দ, সুখ 
  • ওয়াফা (wafa)--বিশ্বস্ততা, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
  • নূর (Noor)--আলো, উজ্জল 
  • সাফা (safa)--বিশুদ্ধতা, পবিত্রতা
  • যাহারা (Zahara)--উজ্জল, দীপ্তিময়, ফুল
  • রুমাইসা (rumesha)--স্বর্গের ফুল 
  • তাহিরা (tahira)--পবিত্র 
  • ফাতেমা (Fatima)--মহান, সম্মানিত 
  • আয়েশা (Ayesha)--প্রাণবন্ত
  • সামিরা (sameera)--সঙ্গী, বলার দক্ষতা সম্পন্ন, গল্প শোনান 
  • সাজিয়া (Shazia)--শান্ত, কোমল 
  • নাজমা- (najma)-তারা, স্টার 
  • নাসিমা (nasima)--কোমল বাতাস, শীতল হাওয়া 
  • শিরিন (Shirin)--মিষ্টি, মনোরম 
  • রুকাইয়া (rukaiya)--উচ্চ মর্যাদার, উন্নতির প্রতি 
  • রাইসা (Raisa)--নেতা, প্রধান, সম্মানিত 
  • রুবাইয়া (rubaiya)--বসন্ত, সুন্দরী মেয়ে 
  • মারিয়া (Maria)--পবিত্র, উজ্জল 
  • মুসকান (muskan)--হাসি, মিষ্টি হাসি 
  • সাফিয়া (Sophia)--খাঁটি, নির্দোষ 
  • হান্না (Hanna)--দয়া, অনুগ্রহ, ভালোবাসা 
  • তামান্না (tamanna)--আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা 
  • ফারিন (Farin)--আনন্দিত, সুখী 
  • আরিশা--শক্তিশালী, মহিমন্বিত, সুরক্ষা প্রদানকারী।

বাংলাদেশী বিড়ালের নাম 

বাংলাদেশী বিড়ালের নাম অনেকেই জানতে চাই। কারণ বাংলাদেশের প্রায় অনেকেই এখন বিড়াল লালন পালন করার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। কারণ বাংলাদেশে এখন অনেকে বিড়াল পোষে সেগুলোর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে পাবলিস্ট করছেন। এভাবে তাদের ভিউজ বেড়ে ইনকাম করার পথ খুঁজে নিয়েছে। বাংলাদেশী বিড়ালের নাম উল্লেখ করা যাক। 

  • টুনটুন (tuntun) 
  • রুনু (runu) 
  • মিঠু (methu) 
  • পুচকি (puchki) 
  • চাঁদ (Chand) 
  • পুচি (poochhi)
  • সোনা (Sona) 
  • লালু (lalu)
  • রাঙ্গা (ranga)
  • গুড্ডি (guddi) 
  • হাবলু (bablu) 
  • মালো (mallu) 
  • পিয়া (piya) 
  • মিষ্টি (misty) 
  • ফুলকি (fulki) 
  • ঝুমুর (jhumur) 
  • পুটলি (putli) 
  • পানু  (panu) 
  • রুপা (rupa)
  • তিতলি (titli) 
  • সিনু (sinu) 
  • ভুতু (bhutu) 
  • ফুলকুলি(phulkari) 
  • পূর্ণিমা (Purnima) 
  • টিয়া (Tia) 
  • ঝুমা (jumma) 
  • পুষ্প (Pushpa) 
  • বেলি (belly) 
  • তুলসী (Tulsi) 
  • রাশি (Rashi)

বিড়ালের আনকমন কিছু নাম 

বিড়ালের আনকমন কিছু নাম জানার আগ্রহ থাকলে আপনারা আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। কারণ যারা বিড়াল পালন করতে ভালোবাসেন তারা অনেক আনকমন নাম রাখতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই উপকারী হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক কিছু আনকমন নাম। 

  • স্কাইলার (skylark)--আকাশের শুভ্রতা 
  • স্নোবেল (snowbell)--বরফের ঘন্টার মত 
  • মিষ্টি (misty)--ধোঁয়াশাচ্ছন্ন 
  • হোয়াইটি (whitey)--সম্পূর্ণ সাদা 
  • কোকো (coco)--কোমল ও মিষ্টি 
  • সুগার (sugar)--মিষ্টি ও সাদা 
  • ডায়মন্ড (diamond)--হীরার মত উজ্জ্বল 
  • গ্লেসি (glassi)--বরফের মত 
  • লুনা (Luna)--চাঁদ 
  • পার্ল (pearl)--মুক্তার মত শুভ্র 
  • এঞ্জেল (Angel)--দেবদূত 
  • স্টেলা (Stella)--তারকা 
  • মুন (moon)--চাঁদের মতো উজ্জ্বল 
  • ব্ল্যানকা (Blanca)--সাদা 
  • স্নোই (snowy)--তুষারের মতো শুভ্র 
  • ফ্লেকি (flaky)--তুষার কনা 
  • ক্রিস্টাল (crystal)--স্বচ্ছ  ও উজ্জ্বল 
  • ডেইজি (Daisy)--একটি সাদা ফুল 
  • আইভরি (Ivory)--হাতির দাঁতের মতো সাদা
  • লিলি(Lily) --শাপলা ফুল 
  • ক্লাউড (cloud)--মেঘলা আকাশ 
  • ভ্যানিলা (vanilla)--মিষ্টি ও ক্রিমের মতো সাদা
  • সান্টা (Santa)--শান্ত, সুব্রত, ক্রিসমাসের প্রতিক 
  • স্নোফ্লেক (snowflake) --তুষারের নরম স্পটিক
  • পোলার (polar)--উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর বরফের শুভলতা
  • মিল্কি (milky)--দুধের মত সাদা 
  • ফ্রোস্টি (frosty)--বরফচ্ছাদিত, ঠান্ডা ও শুভ্র
  • কটন (cotton)--তুলোর মতো সফট ও সাদা

কোন কোন সাহাবী বিড়াল পুষতেন

কোন কোন সাহাবী বিড়াল পুষতেন এ ব্যাপারে মানুষের অজানা। কারণ বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী তাই থেকে পালন করা যায় কারণ আমাদের নবীজি ও পালন করতেন। নবীজির কোন কোন সাহাবী বিড়াল পুষতেন চলুন সে ব্যাপারে একটু জানা যাক। 
নবীজির-বিড়ালের-নামপ্রথমত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বিড়াল পালতেন। তিনি খুব ছোট ছোট বিড়াল পালতে ভালবাসতেন। এবং কখনো তিনি বিড়াল পালনে বিরক্তবোধ হননি এবং খুব যত্ন সহকারে তাদের পালন করতেন। এজন্য নবীজি তাকে বিড়ালের বাবা বলে ডাকতেন তার এই বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা দেখে।

এছাড়া হযরত ওমর রাঃ তার জীবন দশায় বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা দেখেছেন আমাদের নবীজি। তিনি বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর সাথে সদয় আচরণ করার ঘটনা পাওয়া গেছে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ কেও বিড়াল সহ অন্যান্য প্রাণী দের প্রতি দয়া ও মহানুভবতা পাওয়া যায়। তাই ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন পশু পাখির প্রতি সদয় আচরণ করা নবীজির আদর্শ হিসেবে ধরা যায়। 

নবীজি (সা.) এর প্রিয় পশু কোনটি 

নবীজি (সা.) প্রিয় পশু কোনটি এ ব্যাপারে জানা অবশ্যই জরুরী। কারণ নবীজির আদর্শ মেনে আমাদের চলতে হবে এসো তো জানা দরকার। নবীজির কয়েকটি পশু বা প্রাণী পালতেন সেগুলোর মধ্যে বিড়াল হচ্ছে অন্যতম। নবীজির বিড়ালের নাম মুয়েজ্জা। খুব শান্ত একটি পশু তাই নবীজি খুব ভালোবাসতেন এবং নিজের বিছানায় শুইয়াতেন।

এছাড়া নবীজি প্রিয় প্রাণীর মধ্যে ছিল আরেকটি হলো ঘোড়া। নবীজি ঘোড়া পালন করতেন এবং তার ঘোড়াগুলোর নাম হল "লাহিক", "মুরজাক ", "সাকব"ইত্যাদি। নবীজির পালিত পশুর মধ্যে ছিল  উট। নবীজির সবচাইতে প্রিয় উট এর নাম ছিল "কাসওয়া"। এছাড়া নবীজি গৃহপালিত পশুর মধ্যে ছাগল ও মেশ পালতেন। 

নবীজির খুব নরম মনের মানুষ ছিলেন তিনি আল্লাহর সৃষ্টি কোন পশুপা প্রাণীকেই কখনো হেয় প্রতিপন্ন করেননি। সকল পশু প্রাণীকে তিনি ভালবাসতেন কারণ তিনি জানতেন আল্লাহর সৃষ্টি সকল কিছুই আল্লাহর পছন্দ এবং আল্লাহ ইচ্ছা করেই সৃষ্টি করেছেন। তাই কোন কিছুকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই।

কথা মন্তব্যঃ নবীজির বিড়ালের নাম 

উপরের সকল আলোচনা থেকে আপনারা হয়তো এতটুকু ধারণা লাভ করেছেন নবীজি বিড়াল পালতেন এবং নবীজির বিড়ালের নাম ও রেখেছিলেন। বিড়ালকে তিনি পবিত্র বলে প্রমাণ করেছেন। কারণ তার জীবন দশায় বিড়াল তার পোশাকের উপরে ও শুয়ে থাকত। এছাড়াও পবিত্র মক্কা মদিনায় বিভিন্ন জায়গায় বিড়াল ঘোরাফেরা করে। 

মদিনার মসজিদের ভেতরে বিড়াল চলাফেরা করে। কেউ কিছু বলে না বরংচ তাদেরকে পবিত্রতার সাথেই দেখে। তাই বিড়াল পালন করা হারাম নয়। যারা নবীজি বিড়ালের লালাতে কোন ক্ষতি নাই উল্লেখ করেছেন। বিড়ালের এঠো খাওয়া জায়েজ। অবশেষে আপনারা জানতে পেরেছেন নবীজির বিড়ালের নাম কি।

202511

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন