কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় - কবুতরের দাম ও জাত

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় যারা কবুতর পালতে ভালোবাসেন এবং কবুতরের ব্যবসা শুরু করতে চান তারা এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। কোন জাতের কবুতর পালন করে অল্প সময়ে লাভবান হওয়া যায় আজ এই পোস্টে আলোচনা করব।
কোন-জাতের-কবুতর-বেশি-বাচ্চা-দেয়আগের যুগে মানুষ বেশি কবুতর পালন করতো কারণ তারা কবুতরকে বার্তাবাহক হিসেবে ব্যবহার করতেন। তবে বর্তমানে মানুষ বিভিন্নভাবে কবুতর পালন করার জন্য আগ্রহ হয়ে উঠেছে। কবুতর পালন খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সূচিপত্রঃ কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় 

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় 

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় এটি আজকের পোস্টে র মূল বিষয়বস্তু। তবে আপনারা যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাহলে কবুতর বিষয়ক সকল তথ্য এখান থেকে পাবেন। তবে অন্যান্য পশু পাখি পালনের চাইতে কবুতর পালন করা তুলনামূলক সহজ। কবুতরের বিভিন্ন জাত রয়েছে।  যদি ব্যবসার জন্য কবুতর পালন করতে চান তাহলে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে কোন ধরনের কবুতর পালন করলে আপনি অল্প সময়ে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।

কিং কবুতর 

কবুতরের জাতের মধ্যে কিং কবুতর খুব ভালো একটি জাত। এই জাতের কবুতর পালন করে খুব সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যায়। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এ কবুতরের ওজন ৭০০-৯০০ গ্রাম হয়ে থাকে। এ ধরনের কবুতর খুব বেশি উড়াল দিতে পারে না তাই খাঁচায় পালন করা যথোপযুক্ত। ভালোভাবে পরিচর্যা করলে এ কবুতর খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। 

আরো পড়ুনঃ

কিং কবুতর জন্মের পর স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সময় লাগে প্রায় ২৮ থেকে ৩২ দিন। এ কবুতর বছরে ৮-১০ জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ ১৬ থেকে ২০ টি বাচ্চা দিয়ে থাকে যদি ভালো পরিচর্যা পায়। যারা কবুতর ব্যবসার জন্য পালন করতে চান তারা এই কিং কবুতর নিয়ে পালন করতে পারেন। একটা প্রাপ্তবয়স্ক কবুতরের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হয়ে থাকে। 

হোমার কবুতর 

হোমার কবুতর বেশি বাচ্চা দিতে সক্ষম। কারণ অন্যান্য কবুতরের চাইতে এ কবুতরের জাত একটু ভিন্ন। এ ধরনের কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব ভালো। এবং আকাশে অনেকক্ষণ ওড়ার সক্ষমতা রাখে। এ ধরনের কবুতরগুলো খুব সহজেই পোষ মানে। এ ধরনের কবুতর ৩২ থেকে ৩৬ দিনের মধ্যেই স্বাবলম্বী হয়ে যায়। তিন চার মাস বয়সে বাচ্চা প্রদানের সক্ষম হয়। 

এ ধরনের কবুতর বছরে ১৭ থেকে ২২ টি বাচ্চা প্রদান করে থাকে। তবে ভালোভাবে পরিচর্যা নিলে এর চাইতে বেশি বাচ্চা প্রদান করতে পারে। তবে কবুতর পালনের সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে কম সংখ্যক কবিতা রাখা। ভালো মানের জোড়া যাচাই করে ক্ষমার কবুতর পালন করলে বংশ বৃদ্ধি দ্রুত বাড়ে। এ ধরনের কবুতরের মাংস খুব সুস্বাদু। 

কোন জাতের কবুতর বেশি লাভজনক 

কোন জাতের কবুতর বেশি লাভজনক, কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় ব্যবসা আরম্ভ করার আগে অবশ্যই এটি জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ যারা কবুতর পালন কর আগে নিজের ব্যবসা হিসেবে নির্বাচন করতে চান তাদের অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কবিতার পালন করা উচিত। ভাল জাতের কবুতর র না পালন করলে ব্যবসায় উন্নতি সম্ভব নয়। চলুন কোন ধরনের কবুতর পালন বেশি লাভজনক আলোচনা করা যাক। 

গিরিবাজ কবুতর 

গিরিবাজ কবুতর, কবুতর জাতের মধ্যে এক ধরনের জাত। এ\ ধরনের কবুতর উড়ন্ত অবস্থায় পালন করতে পারলে খুব ভালো। কারণ এ ধরনের কবুতর খুব সুন্দর ভাবে করতে পারে। এছাড়া এ ধরনের কবুতর খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো।৬-৭ বার ডিম দিয়ে থাকে গিরিবাজ কবুতর। একটি কবিতার ২০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। 

সিরাজ কবুতর 

বাংলাদেশে ১৭-১৮ ধরনের দাঁতের কবুতর দেখা যায়। তবে সব কবুতর দেখে চেনা সম্ভব নয়। যারা ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্যে কবুতর পালন করতে চান তারা অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে কবুতর ক্রয় করতে যাবেন। সিরাজ কবুতর ব্যবসার জন্য খুবই লাভজনক। খুব কম সময়ে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম। এবং খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। সিরাজ কবুতর বছরে ৭-৮ বার ডিম দিয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ

এছাড়া এ ধরনের কবুতরের দাম প্রতি জোড়া ৫-৬ হাজার টাকা হয়ে থাকে। খুব অল্প সময়ে কবুতরের বাচ্চা বিক্রয়ের উপযুক্ত হয়। এবং খুব স্বাস্থ্যবান বাচ্চা জন্ম দিয়ে থাকে সিরাজ কবুতর। সিরাজ কবুতর খাঁচায় খুব সহজেই পোষ মানাতে সক্ষম হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং ভালো পরিচর্যা করলে এ ধরনের কবুতর থেকে অনেক লাভবান হওয়া যায়। 
কোন-জাতের-কবুতর-বেশি-বাচ্চা-দেয়

কার্ণ কবুতর

কার্ণ কবুতর খুব ভালো জাতের কবুতর। কার্ণ কবুতরের চাহিদা অনেক বেশি। কারণ এ ধরনের কবুতর ব্যবসার জন্য খুবই লাভজনক। বছরের ৭-৮ বার ডিম দিয়ে থাকে। দুটো করে বাচ্চা এবং ডিম দেয়ার ক্ষমতা রাখে। খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। ছেড়ে রেখে পালন করা যায়। এ ধরনের কবিতার খাঁচায় ও পালন করা যায়। এ ধরনের কবুতরের ওজন ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম হয়ে থাকে। 

মডেন কবুতর 

মডেন কবুতর মাংসের জন্য খুবই বিখ্যাত। কারণ এ ধরনের কবুতর প্রায় ৬-৮ গ্রাম ওজন হয়ে থাকে। এর গায়ের রং অনেক সুন্দর হয় এবং পালকগুলো বড় হয়। এরা খাবার খুব দ্রুত খায়  এবং রুচি অনেক ভালো। খাবার খাওয়ার জন্য খুব দ্রুত বড় হয়। বংশবৃদ্ধির জন্য এই কবুতর খুব ভালো। প্রতি জোড়া কবুতর ৮ হাজার টাকায় বিক্রয় করা যায়।

কবুতর পালনে সফল হতে করণীয় কি 

কবুতর পালনে সফল হতে চাইলে অবশ্যই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এবং অবশ্যই কবুতর পালনের আগে আপনাকে কবুতরের সম্পর্কে সকল ধরনের বিষয়বস্তু জেনে নিতে হবে। কবুতর পালনে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম জাত নির্বাচন করতে হবে। এবং সুস্থ স্বাভাবিক ভালো কবুতর যাচাই করতে হবে। 

কবুতর পালনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভালো পরিবেশে কবুতর পালন করলে কবুতর বিভিন্ন রোগ বালাই থাকে মুক্তি থাকে সঠিক খাদ্য এবং পুষ্টি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। খাঁচায় পালন করতে চাইলে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বেশি খাঁচা নিতে হবে। কারণ কবুতরের পালনের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে। বছরে ৬-৭ বার ডিম দেই এ ধরনের কবুতর বাছাই করতে হবে।

ময়ূরপঙ্খী কবুতরের দাম 

ময়ূরপঙ্খী কবুতরের দাম জানতে  অনেকেই আগ্রহী প্রকাশ করেন। যারা পশু, পাখি পালন পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকে ময়ূরপঙ্খী কবুতর নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। ময়ূরপঙ্খী এক ধরনের কবুতর যা দেখতে খুবই সুন্দর। সাদা কালারের ময়ূরপঙ্খী কবুতর দেখতে খুবই সুন্দর।ময়ূরপঙ্খী কবুতরের আরও দুইটি নাম আছে একটি হচ্ছে "লক্ষা" এবং আরেকটা যে "ফ্যান্টেল"। যারা বিশেষ করে শখ করে কবুতর পালন করেন তারা এ ধরনের কবুতর গুলা ক্রয় করে থাকেন।

এগুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয় তাই মানুষের নজর কাড়ে। এ ধরনের কবুতরগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের দামে পাওয়া যায়। সাধারণত এই কবুতরগুলো ৪০০-৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যতার কারণে এর দাম কম বেশি হতে পারে। সাদা কালার গুলা দেখতে বেশ পছন্দ তাই এর দাম অন্যান্য তুলনায় একটু বেশি ধরে। তবে দামাদামি করে নিলে ৩০০-৪০০ এর মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।

কবুতর কতদিন পর পর ডিম দেয় 

কবুতর কতদিন পর পর ডিম দেয় এটি নির্ভর করবে কবুতরের জাত, পরিচর্যা, বয়স ও স্বাস্থ্যের উপর। একটি কবুতর জন্মের পর ৫-৬ মাসের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে অনেক জাতের কবুতর আছে যারা পাঁচ মাস পূরণ হওয়ার আগেই ডিম দেওয়া শুরু করে। স্ত্রী কবুতরের প্রথম ডিম তুলনামূলক স্বাভাবিক কবুতরের ডিমের চেয়ে ছোট হয়। 

৩-৪ বার ডিম দেওয়ার পরে এর ডিমের আকার বড় হয়। তবে প্রথমবার ডিম দেওয়ার পর ৩৫-৪০ দিন পর আবার ডিম পাড়ে। তবে কবুতর দুইটি করে ডিম দেয়। তবে অনেক কবুতর একটি করেও ডিম পাড়ে এটি তাদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। প্রথম ডিম দেওয়ার পর ৪৮ ঘন্টার ভেতরে দ্বিতীয় ডিম পাড়ে। যদি কবুতরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে তাহলে বছরে ৭-৮ বার ডিম দিয়ে থাকে।

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে খাওয়ার উপযোগী হয় 

কবুতরের বাচ্চা কত দিনে খাওয়ার উপযোগী হয় যারা কবুতর পালন করে থাকেন তাদের এটা জানা অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই আছেন যারা ব্যবসার জন্য কবিতার পালন করে থাকেন। ভালো মানের ব্যবসায়ী হতে হলে আপনাকে কবুতরের সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে হবে। কবুতরের বাচ্চা ডিম থেকে বের হওয়ার পর এটি খাওয়ার উপযোগী হয়ে থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫,৪০ দিনের মধ্যে। 

স্ত্রী কবুতর ডিম পাড়ার পরে স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর উভয়েই ডিমে তা দিয়ে থাকে। প্রথম বাচ্চা ফোটার পরে স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর বাচ্চাদের নিজের মুখ দিয়ে তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করে। তারপর ২০ থেকে ২৫ দিনের মাথায় বাচ্চারা নিজে নিজে খাবার চেষ্টা করে। এরপর একটি বাচ্চা যখন নিজে খাওয়া শুরু করে তখন ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে সেই বাচ্চা খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে।

কবুতরের বাচ্চা ফোটার পরে কবুতর ফসলের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে বাচ্চাকে প্রথম জিরো থেকে সাত দিন। সাত থেকে পনেরো দিনের মধ্যে বাচ্চার চোখ ফোটে। ১৫ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাচ্চার ছোট ছোট ডানা গজানো বা পালক গজানো শুরু করে। স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর বাচ্চাদের নরম নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে। 

কবুতরের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত 

কবুতরের খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। কারণ অনেকে আছেন যারা শখ করে কবুতর পালন করতে চান এবং অনেকেই ব্যবসার জন্য কবুতর পালন করেন। তাই উভয়কে কবুতরের সঠিক খাদ্য তালিকা জানা অত্যন্ত জরুরী। কবুতরের খাদ্য অবশ্যই পুষ্টিকর হওয়া প্রয়োজন। কবুতরের প্রধান খাদ্য গুলো হল গম, ভুট্টা, সরিষা,ধান, চাল ইত্যাদি।

এ ধরনের খাবার কবুতরের দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ওর জন্য বৃদ্ধি পায়। সকল খাবারে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা কবুতরের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নত। আরো অন্যান্য খাবার আছে যেগুলো কবুতরের জন্য উপযুক্ত সেগুলো হলো ছোল্‌ সয়াবিনের গুড়া, মটরশুটি, মসুর ডা্‌ খেসারি ডাল, ভুষি, খুদ ইত্যাদি। 
কোন-জাতের-কবুতর-বেশি-বাচ্চা-দেয়এ সকল খাবার বাচ্চা দ্রুত উৎপাদন এবং বৃদ্ধির জন্য খুবই উপযোগী। পুরুষ এবং স্ত্রী কবুতরের জন্য এ ধরনের খাবার খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কারণ এ ধরনের খাবার কবুতরের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কবুতরকে মাঝে মাঝে ডিমের খোসা খাবারের সাথে যুক্ত করে খাওয়ানো যায়। 

কবুতরের খুব ভালোভাবে যত্ন নিতে হলে মাঝে মাঝে কবুতরকে ছোট ছোট করে রসুন, কালোজিরা, মেথি ইত্যাদি খাবারের সাথে মিশে খাওয়ানো উচিত। এ ধরনের খাবার কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কবুতরের বাসস্থানের আশেপাশে ছোট ছোট পাত্রে পরিষ্কার পানি রাখতে হবে যেন তারা খাবার পর পানি পান করতে পারে, খাবার দ্রুত হজমের জন্য। 

কবুতরের বাসস্থান কেমন হওয়া উচিত 

কবুতর পালন করতে চাইলে কবুতরের বাসস্থান অবশ্যই কবি মজবুত এবং আলো, বাতাস এর সুব্যবস্থা থাকতে হবে। কবুতরের বাসস্থান মাটি থেকে ৭-৮ ফুট উঁচু হতে হবে। এর বেশি উঁচু হলেও কোন সমস্যা নাই। কবুতরের মল সপ্তাহে ২ দিন পরিষ্কার করার সুব্যবস্থা রাখতে হবে। রোগবালাই থেকে মুক্তির জন্য কবুতরের বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কবুতরের ঘর কাঠের অথবা বাঁশের তৈরি হলে বেশি ভালো হয়। এবং শীতকালে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।  

কবুতর পালনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে কবুতরের খাবার, বাসস্থান, ঔষধ, জীবাণুনাশক সকল কিছু সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা? পশু পাখিদের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকে তাই কবুতরের বাসায় সপ্তাহে এক থেকে দুইবার জীবনের নাটক স্প্রে দিতে হবে। কবুতরের ঘরে খড় কিংবা বাঁশের মাচা তৈরি করে রাখতে হবে তাদের বিশ্রামের জন্য।

মাংসের জন্য কবুতরের জাত

মাংসের জন্য কবুতরের জাত বাছাই করে যারা কবুতরের ব্যবসা করতে চায়। অনেকে আছে যারা শখ করে কবুতর বসে চিত্ত বিনোদনের জন্য। কিন্তু অনেকে আছে যারা নিজের কর্ম জীবনকে উন্নত করার জন্য এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য। কারণ বর্তমানে কবুতর পাওয়া খুবই কঠিন। কবুতর বিশেষ করে মানুষ খায় শরীরের রক্ত হওয়ার জন্য।

অসুস্থ রোগীদের জন্য কবুতর মানুষ দাম বেশি হলেও ক্রয় করে। কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় সে সকল কবুতর পালন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই যারা বিক্রেতারা আছেন তাদের উচিত যে সকল কবুতরের ওজন ও মাংস বেশি সেগুলো পালন করা ভালো হবে। চলুন কয়েকটি মাংস বেশি হওয়া কবুতরের নাম উল্লেখ করা যাক। 

  • হোমার 
  • ডাউকা 
  • হোয়াইটকিং 
  • সিলভার কিং 
  • গোলা 
  • টেক্সোনা
  • হাম কাচ্ছা 
  • রান্ট 
  • কারনে

শেষ মন্তব্যঃ কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

কবুতর পালন করা এক ধরনের শখের মতো। কবুতর গৃহপালিত এক ধরনের পাখি। তবে যারা ব্যবসা করতে চান তারা অবশ্যই কবুতর কেনার সময়, সুস্থ ভালো জাতের কবুতর ক্রয় করবেন। কারণ গোটা বিশ্বে প্রায় ৬০০ জাতের কবুতর আছে। তবে বাংলাদেশে সচরাচর এতগুলো জাত দেখা যায় না। খুব স্বল্প পরিমাণ দেখা যায় প্রায় ১৫-২০ জাতের মত।

সৌন্দর্যের জন্য এবং শখের বসে যদি কবুতর পালতে চান তাহলে ময়ূরপঙ্খী অথবা লাক্ষা কবুতর পালন করতে পারেন। কারণ এ কবুতরগুলো দেখতে অনেক সুন্দর কারণ এদের পালকগুলো মেলানো থাকে যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আজকের পোস্টে কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়, কোন কবুতর পালন করলে ব্যবসায় লাভবান হওয়া যাবে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। 202511

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন