ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন - ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ ২০২৫

সূচিপত্রঃ ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন
- ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন
- ফ্যাশন ডিজাইন বলতে কি বুঝায়
- ফ্যাশন ডিজাইনার ক্যারিয়ার
- ফ্যাশন ডিজাইন এর বিভিন্ন সেক্টরে বেতনের পার্থক্য
- ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বেশি আয় করার উপায়
- ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা
- ফ্যাশন ডিজাইনের চাকরির বাজার
- ফ্যাশন ডিজাইনারদের সম্ভাব্য বেতন
- ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ
- শেষ কথাঃ ফ্যাশন ডিজাইনারদের বেতন
ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন
ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন নিয়ে আলোচনা করতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে ফ্যাশন ডিজাইনার কি? তবে ডিগ্রী অর্জন করা ফ্যাশন ডিজাইনার হলে অবশ্যই তার বেতন বেশি হবে। বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইনারদের ডিমান্ড অনেক বেশি। কারণ মানুষ অন্যান্য সকল বিষয়ের চাইতে পোশাকের ক্ষেত্রে খুবই রুচিশীল তাই দেশ বিদেশ থেকেও ফ্যাশন ডিজাইনারদের হায়ার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
নতুন ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন
নতুন ফ্যাশন ডিজাইনারদের বেতন সরাসরি বলা সম্ভব নয়। কারণ যিনি ফ্যাশন ডিজাইনার তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন বা কোন কোম্পানির হয়ে কাজ করেন তাদের যাবতীয় কার্যকলাপের উপরে এবং নিজের কাজের দক্ষতার উপরে বেতন নির্ভর করবে। তবে যারা ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে ইন্টার্নশিপ করেছেন তাদের বেতন আনুমানিক প্রতিমাসে ১০-২০ হাজার টাকা।
জুনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনারদের বেতন প্রতি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ফ্যাশন ডিজাইন কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে কোর্স করতে হবে। এবং এ নিয়ে ডিপ্লোমা বা অন্যান্য ডিগ্রী নিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। ফ্যাশন ডিজাইনারদের মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে। যেমন অনেকেই নতুন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং পুরাতন ফ্যাশন ডিজাইনার।
অভিজ্ঞ ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন
অভিজ্ঞ ফ্যাশন ডিজাইনারদের বেতন নতুনদের চাইতে তুলনামূলক বেশি হবে। কারণ তাদের কাজের দক্ষতা অনেক বেশি নতুনদের চাইতে তাদের চিন্তাশক্তি এবং অভিজ্ঞতা বেশি। যারা মিড লেভেল ফ্যাশন ডিজাইনার তাদের বেতন প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে অনেকেই আছেন যারা সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনার তাদের বেতন ১ লাখের বেশি।
ফ্যাশন ডিজাইন বলতে কি বুঝায়
ফ্যাশন ডিজাইন বলতে কি বুঝায়? ফ্যাশন ডিজাইন বলতে বেশিরভাগ মানুষই মনে করে পোশাকের ডিজাইনকে। ফ্যাশন ডিজাইন মূলত এক ধরনের প্রক্রিয়া যেখানে পোশাক, গয়না, জুতা, ব্যাগ, ও অন্যান্য পণ্যের ডিজাইন তৈরি করাকে বুঝায়। ফ্যাশন ডিজাইন পোশাকেই সীমাবদ্ধ নয় এটি বিভিন্ন উপকরণের উৎপাদন, স্টাইল নির্ধারিত। যেমন
- শাড়ি
- পাঞ্জাবি
- টি শার্ট
- সুট
- ব্লেজার
- শার্ট
- হ্যান্ড ব্যাগ
- পার্টস
- জার্সি
- ট্রাকসুট
- চশমা
- হরি
- বেল্ট
- হ্যাট
- গহনা
- কাপড়ের ডিজাইন
- কাপড়ের প্রিন্ট
- কাপড়ের রং ও প্যাটার্ন ইত্যাদি।
ফ্যাশন ডিজাইনের ক্যারিয়ার
ফ্যাশন ডিজাইনের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন যদি ডিজাইন বিষয়ে আপনার আগ্রহ থাকে। কারণ যারা ফ্যাশন ডিজাইনার তাদের নিত্যনতুন চিন্তা ভাবনা, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন নতুন আর্ট, শিল্প এ সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করতে পারলে ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন অনেক উন্নত করা যায়।
ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে চলতে হবে। যেমন ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে একাডেমিক শিক্ষা অর্জন, ইন্টার্নশিপ, নিজস্ব কাজের পোর্টফোলিও তৈরি, এছাড়াও প্রোফাইল তৈরি করা যায় ডিজাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে। ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে ও ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার একটা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্র্যান্ড থাকতে হবে।
ফ্যাশন ডিজাইনের বিভিন্ন সেক্টরে বেতনের পার্থক্য
ফ্যাশন ডিজাইনের বিভিন্ন সেক্টর বেতনের পার্থক্য রয়েছে। কারণ ফ্যাশন ডিজাইনের মধ্যে নতুন ফ্যাশন ডিজাইনার কেউ মিড লেভেল ফ্যাশন ডিজাইনার এবং কেউ সিনিয়ার লেভেল ফ্যাশন ডিজাইনার। অর্থাৎ যে যত বেশি ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করেছে এবং যিনি অধিক পুরাতন ডিজাইনার তার বেতন অবশ্যই নতুনদের চাইতে বেশি হবে।
বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনারদের বেতন তুলনা করা হলো
সেক্টর | শুরুর পর্যায় (মাসিক) | মিড-লেভেল (মাসিক) | সিনিয়র লেভেল (মাসিক) |
---|---|---|---|
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল | ২০,০০০ - ৪০,০০০ | ৫০,০০০ - ৮০,০০০ | ১,০০,০০০ - ২,০০,০০০+ |
ব্র্যান্ডেড ফ্যাশন হাউস | ৩০,০০০ - ৫০,০০০ | ৬০,০০০ - ১,২০,০০০ | ১,৫০,০০০ - ৩,০০,০০০+ |
বুটিক বিজনেস | ২৫,০০০ - ৫০,০০০ | ৭০,০০০ - ১,৫০,০০০ | ২,০০,০০০+ |
টেক্সটাইল ডিজাইন | ২০,০০০ - ৪০,০০০ | ৫০,০০০ - ৮০,০০০ | ১,০০,০০০+ |
ফ্যাশন স্টাইলিস্ট | ৩০,০০০ - ৬০,০০০ | ৮০,০০০ - ১,৫০,০০০ | ২,০০,০০০+ |
সাসটেইনেবল ফ্যাশন | ২৫,০০০ - ৫০,০০০ | ৬০,০০০ - ১,২০,০০০ | ২,০০,০০০+ |
ফ্রিল্যান্স ডিজাইনিং | প্রতি ডিজাইন $২০ - $১০০ | প্রতি ডিজাইন $২০০ - $৫০০ | প্রতি প্রকল্প $১০০০ - $৫০০০+ |
ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে বেশি আয় করার উপায়
আরো পড়ুনঃ দুবাই লটারি কিভাবে কিনবো ও এমিরেটস সাপ্তাহিক ড্র টিকেট
নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন বেশি আয় করার জন্য। প্রথমত ইনকাম কম হবে, কিন্তু যখন আপনার নিজের তৈরি করা ব্র্যান্ড নিয়ে আপনি কাজ করবেন তখন আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ বেশি হবে। আপনার নিজের তৈরি করা ব্র্যান্ড আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকলকে জানানোর চেষ্টা করুন।
আন্তর্জাতিক মার্কেটে এবং লোকাল মার্কেটে আপনার ব্র্যান্ডের প্রচারণা করুন। ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার চেষ্টা করুন। কোন ডিজাইন তৈরি করার আগে প্রথমে এর একটা স্কেচ তৈরি করুন। এবং আপনার তৈরি করার ডিজাইন আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। যদি অন্যান্যদের চাইতে আপনার ডিজাইন আনকমন এবং ডিমান্ডেবল হয় তাহলে আয় বৃদ্ধি পাবে।
এক্সক্লুসিভ ডিজাইন তৈরি করে সেগুলো সেলিব্রেটিদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। সাধারণ কোম্পানিগুলোর চাইতে উচ্চ মানের ক্লায়েন্টদের জন্য ডিজাইন তৈরি করার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে।
ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার যোগ্যতা
ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার ন্যূনতম এসএসসি এবং এইচএসসি পাশের যোগ্যতা থাকলেই হবে। তবে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে ডিপ্লোমা করতে চাইলে এসএসসি পাশ করেই বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি হওয়া যায়। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার আরো যে সকল যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন সেগুলো হলো।
- সৃজনশীল ডিজাইন সেন্স থাকতে হবে।
- খুব ভালো আকার দক্ষতা এবং স্কেচিং করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ এবং দক্ষতা থাকতে হবে।
- বিভিন্ন রং ফেব্রিক এবং ট্রেন্ড বিষয়ে খুব ভালো ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
- টেকনিক্যাল এবং সফটওয়্যার স্কিল অর্জন করতে হবে।
- Photoshop, illustrator, photocad, CLO 3D ইত্যাদি সফটওয়্যার বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ডিজিটাল স্কেচিং করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- সেলাই এবং পেটান তৈরীর ধারণা থাকতে হবে।
- বিভিন্ন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ট্রেন্ড বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- গ্রাহকের ফ্যাশন চাহিদা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
- ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিত্যনতুন ডিজাইন এবং প্রেজেন্টেশন ভালোভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা থাকতে হবে।
- নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করার ক্যাপিলিটি থাকতে হবে।
- বাইরের দেশের ক্লাইন্টের সাথে কথা বলার জন্য ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
- আনকমন ফ্যাশন ডিজাইন উদ্ভাবন করতে হবে যেটা একান্তই আপনি ডিজাইন করবেন।
- ডিজাইনে মাধুর্যতা তৈরি করতে হবে যেটা মানুষ দেখলেই খুব দ্রুত পছন্দ করতে পারে।
ফ্যাশন ডিজাইনের চাকরির বাজার
ফ্যাশন ডিজাইনের চাকরির বাজার ও বেতন সম্পর্কে জানতে হলে বাংলাদেশে বড় বড় বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইন কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা লাভ করতে হবে। বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের জন্য বিখ্যাত এটা প্রায় সকলের জানা। কারণ বাংলাদেশের বড় বড় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে যেগুলোতে অনেক ফ্যাশন ডিজাইনার কাজ করে।
তাই বাংলাদেশের বাজারে ফ্যাশন ডিজাইনারের চাহিদা রয়েছে। ভালো ব্র্যান্ডের ফ্যাশন ডিজাইন কোম্পানিগুলোতে চাকরির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। তবে দেশের বাইরে এর মূল্যায়ন বেশি হয়। কারণ ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে আপনি আয় করতে চাইলে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আপনি দেশের বাইরে গিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনারের আরো অন্যান্য যে ডিগ্রী গুলো আছে সেগুলো অর্জন করতে পারেন।
বিদেশে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে যেতে চাইলে আপনাকে অনেক দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং আপনার কাজের পোর্টফোলিও তৈরি করে সেটি মার্কেটপ্লেসে পাবলিস্ট করতে হবে। দেশের বাইরে কয়েকটি বিখ্যাত ব্র্যান্ড Nike,Zara,Prada, Gucci এবং H@M ইত্যাদি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ড কে বাংলাদেশ সহ পুরা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করাতে পারেন তাহলে বাইরের দেশের ব্রান্ডগুলোর সাথে খুব সহজে আপনি কমিউনিকেশন তৈরি করতে পারবেন।
ফ্যাশন ডিজাইনারদের সম্ভাব্য বেতন
ফ্যাশন ডিজাইনারদের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা থাকতে হয়। তাদের নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করার পসিবিলিটি থাকতে হয়। তারা যদি নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করে তাহলে তাদের বেতনের মান ভালো হয়। চলুন কিছু ফ্যাশান ডিজাইনারদের সম্ভাব্য আলোচনা করা যাক।
প্রথমত কোন ফ্যাশন হাউসে বা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ডিজাইনার হিসেবে কাজে জয়েন করলে বেতন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হয়। কিন্তু যখন কাজ করার অভিজ্ঞতা দুই বছর বা তার বেশি হবে তখন বেতন প্রায় ৩০ হাজার এরও বেশি হয়। তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং ডিজাইনার তাদের বেতন ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। অনেকটাই দক্ষতা এবং ক্লাইন্টের ওপর ডিপেন্ড করে।
আরো পড়ুনঃ ২০টি উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া ২০২৫
তবে যারা সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনার অর্থাৎ যাদের কাজের অভিজ্ঞতা প্রায়ই দুই থেকে পাঁচ বছর তাদের বেতন ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মত। যারা যারা মার্চেন্ডাইজার এবং ব্র্যান্ড ডিজাইন করে থাকে তাদের বেতন মাসিক ৬০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা। এছাড়া এক্সপার্ট লেভেল অর্থাৎ পাঁচ বছর অভিজ্ঞ তাদের বেতন প্রায় এক থেকে দুই লক্ষ টাকা।
ফ্যাশন ডিজাইন পড়ার খরচ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ফ্যাশন ডিজাইনারের দুই ধরনের কোষ রয়েছে একটি ছয় মাস মেয়াদী এবং আরেকটি এক বছর। ছয় মাস মেয়াদী ফ্যাশন ডিজাইন শিখতে খরচ খরচ ৫০০০ টাকা। এক বছর মেয়াদী কোর্স করতে করা যায় ২০-২৫ হাজার টাকা। শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইন এর ব্যাচেলর ডিগ্রি খরচ হয় ৪-৭ লক্ষ টাকা। চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রী কোর্স।
এছাড়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনের ব্যাচেলার ডিগ্রির মোট খরচ এক লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। বেসরকারি গুলোর চাইতে সরকারি তে খরচ কম হয়। প্রতিযোগিতা অনেক বেশি থাকে। আরো আরো অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যেখান থেকে ফ্যাশন ডিজাইনের ব্যাচেলার ডিগ্রী অর্জন করতে খরচ প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা।
শেষ কথাঃফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন
অবশেষে বলা যায় যে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়লে ডিজাইন সম্পর্কে অনেক ক্রিয়েটিভ ধারণা লাভ করা যায়। এবং ফ্যাশন ডিজাইনার এর বেতন অনেক উচ্চমানের হবে যদি আপনি ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন। যাদের ডিজাইন এর প্রতি খুব বেশি আগ্রহ এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত অর্জন করতে চান তারা স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন।
তবে ফ্যাশন ডিজাইন সবার জন্য নয়। একমাত্র যাদের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা এবং বিভিন্ন নতুন নতুন আইডিয়া এবং নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করার প্রতিভা, ডিজাইন ,স্কেচ, কালার ইত্যাদি বেশি ভালো বাসে তারা এই ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করলে অনেক ভালো ডিজাইনার হতে পারবে। ফ্যাশন ডিজাইন আসলে এক ধরনের শৈল্পিক চিন্তাভাবনা সবার মধ্যেই থাকে না। 202511