দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি - ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি

দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি সহ, দরখাস্ত লেখার নিয়ম, কোন কোন বিষয়ে দরখাস্ত লেখা হয় এ সকল কিছু জানা এই শিক্ষিত সমাজের মানুষের জন্য জরুরী। কারণ দৈনন্দিন জীবনে দরখাস্ত লেখার অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 
দরখাস্ত-লেখার-নিয়ম-ছবিস্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে চাকরির জন্য, সরকারি কর্মচারীদের কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। দরখাস্ত দুইভাবে লেখা যায় এক ফোনে মেইলের মাধ্যমে এবং হাতে লিখে। চলুন আজকে দরখাস্ত লেখার সকল নিয়মগুলো আলোচনা করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দরখাস্ত লেখার নিয়ম 

দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি

দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি ও দরখাস্ত লেখার সময় কিছু কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। দরখাস্ত বলতে আসলে কি বুঝায় এ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারনা না থাকলে আপনি দরখাস্ত লিখতে সফল হবেন না। চলুন দরখাস্ত কি কাজে ব্যবহৃত হয় এবং কেন এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এ সকল কিছু নিয়ে আলোচনা করা যাক।

দরখাস্ত বলতে কোন কিছুর জন্য আবেদন প্রার্থনা জানিয়ে যে চিঠিপত্র গুলো লেখা হয় সেগুলোকে বাংলায় দরখাস্ত বা আবেদন পত্র বলা হয়। ইংরেজিতে এ ধরনের পত্র কে বলা হয় অফিশিয়াল লেটার/ ফরমাল লেটার/অ্যাপ্লিকেশন। দরখাস্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা হয় তবে প্রথমত চলুন দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো জানা যাক। 

দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে সবচাইতে যে বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হল তারিখ। আবেদন পত্র লেখার ক্ষেত্রে তারিখ অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। তবে  তারিখ কোন জায়গাতে লিখতে হয় এ ব্যাপারে অনেকের মধ্যে কনফিউশন রয়েছে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে বলতে চাচ্ছি দরখাস্ত বা আবেদন পত্রে বাম দিক থেকে লেখা শুরু করতে হবে। সে হিসেবে বাম পাশে তারিখ উল্লেখ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

দ্বিতীয় যে বিষয়টা রয়েছে সেটি হল তারিখের পরে পত্র প্রাপকের নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে। অর্থাৎ যার কাছে পত্র পাঠাবেন তার পদবী এবং ঠিকানা। 

এর পরের বিষয়টি হল সম্ভাষণ। আপনি যাকে লিখছেন তাকে সম্ভাষণ জানাতে হবে অর্থাৎ জনাব উল্লেখ করতে হবে। 

সম্ভাষণের পর আসছে মূল পত্রাংশ। অর্থাৎ এই পত্রাংশে আপনাকে সকল মূল বিষয়বস্তু উল্লেখ করতে হবে কেন আপনি পত্র লিখছেন, কিসের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন ইত্যাদি।

পত্র শেষ হলে আপনাকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতে হবে অর্থাৎ মূল বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে হবে।

এর পরের অংশে থাকছে নাম অথবা স্বাক্ষর অর্থাৎ যিনি আবেদন পত্রটি লিখছেন তার সম্পূর্ণ নাম এবং স্বাক্ষর দিতে হবে।

দরখাস্ত লেখার সকল নিয়ম কানুন গুলো উল্লেখ করা হলো। এখন পর্যন্ত যারা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা উপরোক্ত এই সকল বিষয়গুলো মেনে দরখাস্ত বা আবেদন লিখলে আপনার আবেদন পত্রটি পরিপূর্ণ হবে। 

দরখাস্ত লেখার সাধারণ বৈশিষ্ট্য 

দরখাস্ত লেখার সাধারণ বৈশিষ্ট্য গুলো লক্ষ্য রেখে দরখাস্ত লিখলে এর যথাযথ মর্যাদা লাভ হবে। কারণ দরখাস্ত লেখার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য জানা থাকলে দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা বা  ঝামেলায় পড়তে হবে না। দরখাস্ত লেখার বৈশিষ্ট্য গুলো আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো। 

  • দরখাস্তের ভাষা সহজ সরল ও প্রাঞ্জল যা সকলের বোঝার সুবিধা হয়। জটিল ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। 
  • বিনয়ী এবং শ্রদ্ধা সূচক ভাষা ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। যেমন আপনার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনার সদাই আকর্ষণ করছি ইত্যাদি। 
  • ব্যাকরণগত এবং বানানগত ভুল করা থেকে বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ এ ধরনের ভুল অবশ্যই পরিহার করতে হবে। 
  • দরখাস্তে খুব বেশি লেখার প্রয়োজনীয়তা নেই। মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরলেই যথেষ্ট। 
  • দরখাস্ত সাধারণত এক পৃষ্ঠা এবং সংক্ষিপ্ত করে লিখলে যথাযথ হবে। বিশেষ কোনো প্রয়োজনে বিস্তারিত ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। তবে এক পৃষ্ঠা হলেই বেশি ভালো হয়। 

 দরখাস্ত লেখার বিষয় সমূহ 

দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন বিষয় রয়েছে এর মধ্যে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে পারেন। স্টুডেন্ট চাকরিজীবী এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এই দরখাস্ত তাদের চাহিদা অনুযায়ী এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দেখে থাকেন । চলুন কোন কোন বিষয়ে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখা যায় নিজে উল্লেখ করা যাক।

আরো পড়ুনঃ

  • ভর্তি অনুমতির জন্য দরখাস্ত 
  • অনুপস্থিতির/ছুটির অনুমতির জন্য দরখাস্ত
  • পরীক্ষার ফি মওকুফের জন্য দরখাস্ত 
  • রেজাল্ট পুনঃমূল্যায়নের জন্য দরখাস্ত 
  • কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষণের জন্য দরখাস্ত 
  • বৃত্তির জন্য দরখাস্ত 
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদপত্র নেওয়ার জন্য দরখাস্ত
  • প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার সময় বাড়ানোর জন্য দরখাস্ত 
  •  চাকরির আবেদনের সংক্রান্ত দরখাস্ত
  • বদলির জন্য দরখাস্ত 
  • বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত দরখাস্ত 
  • অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য দরখাস্ত 
  • অবসরের জন্য দরখাস্ত 
  • বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য দরখাস্ত
  • রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য দরখাস্ত 
  • মশা নিধনের জন্য দরখাস্ত 
  • পানির সংকট নিরসনের জন্য দরখাস্ত 
  • বন্যা দুর্গতদের জন্য দরখাস্ত 
  • বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দরখাস্ত 
  • গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য দরখাস্ত 
  • খেলাধুলার মাঠ সংরক্ষণের জন্য দরখাস্ত 
  • বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য দরখাস্ত 
  • ঔষধ সংকট নিরসনের জন্য দরখাস্ত 
  • হাসপাতালের চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য দরখাস্ত 
  • পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য দরখাস্ত 
  • ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নের জন্য দরখাস্ত 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র হারানোর জন্য নতুন আবেদন 
  • জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য দরখাস্ত 

সঠিক দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি সহ নমুনা

সঠিক দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি সহ নমুনা আপনাদের সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করা হলো। আশা করি আজকের পর থেকে এই নমুনা অনুযায়ী দরখাস্ত বা আবেদন লিখলে কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

তারিখ: ০২-০১-২০২৫/২ জানুয়ারি, ২০২৫ 

বরাবর, 

অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক, 

............ সরকারি কলেজ/বিদ্যালয়, 

ঠিকানা 

বিষয়: 

জনাব, 

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি (আবেদনকারীর নাম)...........…............................................................……......................................................................................।

বিনীত নিবেদক 

আবেদনকারীর নাম/স্বাক্ষর

আবেদনকারীর পরিচয় ও রোল নাম্বার

প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত 

প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার অনেক বিষয় রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখ যায়। সাধারণত যে সকল বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখা যায় তারমধ্যে স্কুলে অনুপস্থিত অথবা অসুস্থতার জন্য ছুটি চেয়ে আবেদন পত্র লিখার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো।

তারিখ: ০৯-০১-২০২৫

বরাবর, 

প্রধান শিক্ষক, 

আইডিয়াল হাই স্কুল, রংপুর 

বিষয়: অনুপস্থিতির জন্য আবেদন পত্র।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আব্দুর রহমান আইডিয়াল হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী। আমি নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকি এবং সকল ক্লাস মনোযোগ সহকারে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন করি। কখনো কোন সমস্যা ছাড়া অথবা অসুস্থতা ছাড়া স্কুলে অনুপস্থিত থাকিনা। গতকাল আমার দাদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ফলে তার চিকিৎসার জন্য তার সাথে শহরে মেডিকেলে জরুরী ভাবে যেতে হয়েছিল।

বিনীত নিবেদন এই যে, আগামী কাল থেকে অন্তত ৭ দিন ছুটি প্রদান করে জন্য অনুমতি দিয়ে বাধিত করবেন। 

বিনীত নিবেদক, 

আব্দুর রহমান 

অষ্টম শ্রেণি, রোল নং: ০৬

চাকরিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য 

চাকরিতে কর্মকর্তা পর্যায়ে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য কিভাবে আবেদন লিখতে হয় এ ব্যাপারে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন আপনাদের নিয়োগ করতে পারি কিভাবে আবেদন দেখতে হয় সে নিয়ে একটি আবেদন পত্রের নমুনা দেওয়া হলো। 

১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ 

বরাবর, 

প্রকল্প পরিচালক 

অ্যাকশন এইড 

হাউজিং নং-১০, রোড নং-১৩৭, গুলশান-১, ঢাকা। 

বিষয়: প্রকল্প কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দানের জন্য আবেদন। 

জনাব, 

সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ০২-০৮-২০২৪ তারিখে 'দৈনিক ইত্তেফাক'পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানতে পেরেছি, আপনার অধীনে কিছু সংখ্যক 'প্রকল্প কর্মকর্তা'নিয়োগ করা হবে। উক্ত পদের জন্য আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে আমি আমার জীবন বৃত্তান্ত আপনার সদয় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করছি। 

১। প্রার্থীর নাম (বাংলায়): মো: আরিফ হোসেন 

(ইংরেজিতে): Md.Arif Hosen 

২। পিতার নাম: মো: জাফর আলী 

(ইংরেজিতে): Md. Zafor Ali 

২। মাতার নাম: রেহানা আক্তার 

(ইংরেজিতে): Rehana Akhter 

৪। বর্তমান ঠিকানা: ৫২৩, মহসিন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০

৫। স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম:......., ডাক:.........., উপজেলা:........, জেলা: শেরপুর। 

৬। জন্ম তারিখ: ১২/০৮/১৯৯৮

৭। নাগরিকত্ব: বাংলাদেশী 

৮। ধর্ম: ইসলাম 

৯। জাতীয় পরিচয় পত্র নং: ০৯৮৬৩৫৫২২৩

১০। মোবাইল নাম্বার: ০১৭...............

১১। কোটা: নাই

১২। শিক্ষাগত যোগ্যতা: 

পরীক্ষার নাম বিভাগ বোর্ড/ বিশ্ববিদ্যালয় পাশের সাল ফলাফল
এসএসসি মানবিক ঢাকা বোর্ড ২০১৩ জিপিএ ৪.৬৯
এইচএসসি মানবিক ঢাকা বোর্ড ২০১৫ জিপিএ ৫.০০
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ জিপিএ ৩. ৫০
এম এ সমাজবিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ জিপিএ ৩. ৭০

১৩। কম্পিউটার শিক্ষা: এমএস ওয়ার্ড, এম এস এক্সেল, এমএস পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারনেট ও ইমেইল।

১৪। অভিজ্ঞতা: ইউনিসেফের মা ও শিশু বিষয়ক স্বাস্থ্য প্রকল্পে সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে তিন বছর যাবত কর্মরত।

অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আগ্রহ বিবেচনা করে আমাকে একশন এইডের প্রকল্প কর্মকর্তা পদে নিয়োগ লাভের সুযোগ দান করে বাধিত করবেন।

বিনীত নিবেদক 

মো: আরিফ হোসেন 

 ৫২৩, মহসিন হল, ঢাকা-১০০০

সংযুক্তিঃ সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা আমাদের সত্যায়িত কপি 

সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত তিন কপি ছবি 

চারিত্রিক সনদপত্র 

নাগরিকত্ব সনদপত্র 

জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি 

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদের সত্যায়িত কপি 

অভিজ্ঞতার সনদপত্র। 

রেফারেন্স: থাকলে দিতে পারেন 

নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন

নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন করা যায় অধ্যক্ষের কাছে অথবা মাননীয় উপাচার্যের কাছে। নৈমিত্তিক ছুটি সাধারণত ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রয়োজনে যেমন অসুস্থতার কারণে, পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণে, ভ্রমণের জন্য, এছাড়া ধর্মীয় কোন কারণে, আদালতে উপস্থিতির প্রয়োজন হলে অনিবার্য ব্যক্তিগত কোনো কারণে নেওয়া যায়। 

১২-০৭-২০২৪

বরাবর, 

অধ্যক্ষ, 

প্রেসিডেন্সি কলেজ, ঢাকা 

বিষয়: নৈমিত্তিক ছুটির জন্য আবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে আমি আপনার কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রভাষক। পারিবারিক কারণে আগামী ১৫-৭-২০২৪ তারিখে সোমবার মহাবিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এজন্য উক্ত তারিখে আমার ছুটি প্রয়োজন। 

 অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে ১২-৭-২০২৪ তারিখে আমার একদিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন। 

আপনার বিশ্বস্ত 

আব্দুল লতিফ 

প্রভাষক, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ 

প্রেসিডেন্সি কলেজ, ঢাকা 

জেলা প্রশাসকের কাছে সাহায্যের আবেদন 

জেলা প্রশাসকের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আবেদন করা যায়। তবে আজকের পোস্টে আপনাকে জেলা প্রশাসকের কাছে বন্যা দুর্গতদের জন্য কিভাবে আবেদন লিখতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব। 

৩০-০৬-২০২৪

বরাবর, 

জেলা প্রশাসক, 

সিলেট 

বিষয়: বন্যার্তদের সাহায্যে প্রদানের জন্য আবেদন। 

জনাব, 

বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের (এলাকার নাম) এলাকা ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। টানা বন্যার ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মানুষ এবং পশু পাখি ভয়াবহ দুর্গতির পাল্লায় পড়েছে। অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং খাদ্য সংকট বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং চিকিৎসার হবে লোকজন বিপর্যস্ত জীবন যাপন করছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন যেমন চাল ডাল বিশুদ্ধ পানি শুকনা খাবার ঔষধ ইত্যাদির একান্তভাবে প্রয়োজন। 

অতএব জনাবের নিকট বিনীত অনুরোধ এই যে, অনুগ্রহপূর্বক সিলেট জেলার সাধারণ জনগোষ্ঠীর খাদ্য বাসস্থান ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে দূর্গতদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ আপনার একান্ত মর্জি হয়। 

বিনীত নিবেদন, 

মোস্তাফিজুর রহমান 

সিলেট জেলা বাসীদের পক্ষে

দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কিত (FAQ) প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন: দরখাস্ত লেখার উদ্দেশ্য কি? 

উত্তর: কোন অনুরোধ দাবি করে যথাযথভাবে পেশ করা এবং অনুমোদন লাভ করা। 

প্রশ্ন: দরখাস্ত লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য কি? 

উত্তর: দরখাস্ত লেখার পরদিন বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে হল সরল ভাষা, স্পষ্টতা, মূল কথা তুলে ধরা ও শুদ্ধ ব্যাকরণ।

প্রশ্ন: দরখাস্ত লেখার প্রধান অংশ কয়টি? 

উত্তর: সাধারণত দরখাস্ত লেখার প্রধান অংশ ৫ টি। যেমন প্রাপক, বিষয়, সম্বোধন, মূল বক্তব্য, উপসংহার ও স্বাক্ষর।

প্রশ্ন: দরখাস্তের সাথে কাগজপত্র সংযুক্ত করা কেন প্রয়োজন? 

উত্তর: দরখাস্তের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করা হয়। 

প্রশ্ন: দরখাস্তের স্বাক্ষর কেন গুরুত্বপূর্ণ? 

উত্তর: একটি দরখাস্তের সত্যতা ও প্রেরক এর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য। 

প্রশ্ন: দরখাস্ত কয় পৃষ্ঠায় লিখতে হবে? 

উত্তর: দরখাস্ত মূলত এক পৃষ্ঠায় লিখলে সবচাইতে ভালো। প্রয়োজন ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠা হতে পারে তবে এক পৃষ্ঠায় রাখলে যথাযথ হবে। 

শেষ মন্তব্যঃ দরখাস্ত লেখার নিয়ম 

দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি সহ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। কারণ দরখাস্ত দৈনন্দিন জীবনে কোন না কোন কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। তাই সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে এ দরখাস্ত লেখা অনেক কঠিন মনে হয়। দরখাস্ত লেখা বিষয়ে উপরে সকল আলোচনার শেষে যদি আপনাদের কোন কনফিউশন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন। 

ব্যবহারিক নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজকর্ম সংক্রান্তে অথবা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পত্র লেখার প্রয়োজন হয়। আর নির্দিষ্ট বিষয়ে অনুমতি দাবি এবং অনুরোধ জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন লিখতে হয়। দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে সমস্ত কিছু এই পোস্টে আলোচনা করা হলো।

202511

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন