ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে
সূচিপত্রঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করছে
- ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে
- প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে
- ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনে কিভাবে পরিবর্তন এনেছে
- ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
- ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা
- ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক
- ডিজিটাল প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক
- ডিজিটাল প্রযুক্তির উপকরণ গুলো কি কি
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এই ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ
- শেষ কথাঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে
ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে
ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চারপাশে দেখলে সেটা অনুধাবন করা যায়। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন কাজ এখন হাতের মুঠোয়। দৈনন্দিন জীবনে এমন কোন কাজ নাই যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োজন নেই। চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
বর্তমানে ১ মিনিট ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া চলা সম্ভব নয়। বিশেষ করে আমরা বিদ্যুৎ শক্তির দিকে দেখলেই বুঝতে পারি। কারণ বিদ্যুৎ হীনতায় আমরা এক সেকেন্ডও কল্পনা করতে পারি না। ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ খুব সহজ করে দিয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কিছু খারাপ দিক ও রয়েছে।
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করেছে চারিদিকে তাকালেই আমরা অনুমান করতে পারি। বিশেষ করে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদির ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ থেকে সহজতর করেছে। এছাড়া ২০২২ সাল থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার দিন দিন আরো বেড়েই চলছে।
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে সেটা আপনাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দেখলেই বুঝতে পারবেন। হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির বেশিরভাগ কাজ করা সম্ভব হয়েছে। মোবাইল ফোন দ্বারা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে এবং দৈনন্দিন কাজে সফলতা অর্জন করতে সম্ভব করে দিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
ডিজিটাল প্রযুক্তি মোবাইল অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। কারণ কর্ম ক্ষেত্রে অফিস আদালতে কম্পিউটারের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে যা অন্য কোন প্রযুক্তি দ্বারা সম্ভব নয়। শুধু কম্পিউটার নয় হাতে থাকা ঘড়ি থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিক লাইট থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনে কিভাবে পরিবর্তন এনেছে
ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনে কিভাবে পরিবর্তন এনেছে এটি বলার আগে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যাবতীয় বিভিন্ন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মানুষ তার জীবনকে কতটা উন্নত এবং সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবনে যে সকল যন্ত্রপাতি বেশি প্রয়োজন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
স্মার্ট ফোন
স্মার্টফোন ব্যবহার করে মানুষ তার জীবন যাত্রার মানকে শীর্ষ চূড়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিনোদন থেকে শুরু করে কেনাকাটা, সেবা, শিক্ষা, ব্যাংকিং, ব্যবসা, সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে আজ আমরা দেশ-বিদেশে আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হয়েছি।
ইন্টারনেট
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়াই যাবে না। ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত কল্পনা করা যায় না। যত সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সব ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। এমন কিছু অজানা তথ্য আছে যেগুলো আমরা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারি। ইন্টারনেট থাকার ফলে আমরা আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ, ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
কম্পিউটার
মুঠোফোন
মুঠোফোন বলতে আসলে মোবাইল ফোন কে বলা হয়। মোবাইল ফোন অথবা স্মার্ট ফোন ছাড়া একটা মুহূর্ত কল্পনা করা সম্ভব নয়। মোবাইল ফোন আমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি। মোবাইল ফোন শুধু কথা বলার জন্য ব্যবহার করা হয় না, কথা বলা ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক ই-কমার্স বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস গুলো দিয়ে থাকে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকজন সকলেই জানে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে আদান প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। কোথায় নেই ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার? চারপাশের লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ডিজিটাল প্রযুক্তি কি পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান কে কত উন্নত করেছে।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি অকল্পনীয় ভাবে সাহায্য করে চলেছে। বিশেষ করে ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, facebook, instagram, twitter,imo, whatsapp, messenger সকল কিছু ব্যবহার করে দেশ বিদেশে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস এবং ভার্চুয়াল লার্নিং, কি লাইব্রেরি এর মাঝে অনেক উন্নত শিক্ষার সুযোগ হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
এছাড়া স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে দেশ বিদেশ থেকে অনেক ভালো চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রপাতি দিয়ে শরীরের অভ্যন্তরীণ অনেক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে এ সকল কিছু ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন করা।
ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা
ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়া থেকে শুরু করে সকালে ঘুম থেকে উঠা পর্যন্ত সর্ব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রাস করে ফেলেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহারের ফলে মানুষের অনেক কঠিন কাজ নিমিষেই এবং খুব অল্প সময়ে করা সম্ভব হয়েছে। দেশ-বিদেশে দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে একমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে।
নিজের মেধা কে আরো উন্নত করতে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি অকল্পনীয় সহযোগিতা করে চলেছে। এছাড়াও ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনেক বেকার যুবকেরা নিজেদের কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে এবং মরণব্যাধি অনেক রোগের চিকিৎসা সহজ করে দিয়েছে।
ঘরে বসে ই-কমার্স ব্যবসা এবং অর্থনীতিতে অনেক উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে। ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কৃষির ক্ষেত্রে পানি সেচ থেকে শুরু করে ফসলের অনেক উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাস, ট্রেনের টিকিট দ্রুত অনলাইনে মোবাইল দ্বারা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক
ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক অনেক দিক রয়েছে যেগুলো কম বেশি সকলেই জানে। যেকোনো জিনিসের যেমন ভাল দিক থাকে তেমনি খারাপ দিকে রয়েছে তেমনি ডিজিটাল প্রযুক্তির অবশ্যই ভালো দিক এবং খারাপ দিক উভয় রয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে আমাদের চারপাশে দেখলেই বুঝা যায়।
- ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক দিকের সবচাইতে যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি।
- পড়াশোনার অনেক অজানা তথ্য খুঁজে না পেলে সেটি সার্চ করে ইন্টারনেট থেকে খুব সহজে পাওয়া যায়।
- আগে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য হাতে লিখে চিঠি পাঠাতে হতো বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
- তথ্য আদান-প্রদানের সময় এবং খরচ কমিয়ে দিয়েছে।
- আগের যুগে একটি তথ্য সঠিক জায়গায় পৌঁছানোর জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতো কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতি উন্নতির ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তথ্য খুব সহজেই এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাঠানো যায় ডিজিটাল ডিভাইস দ্বারা।
- এছাড়া ব্যাংকিং এর জন্য অনেক মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করা হয় এবং খুব সহজে টাকা লেনদেন করা সহজ হয়েছে।
- আগে পায়ে চালিত রিক্সায় যাতায়াত হত কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবে চার্জার ব্যাটারি তারা চালিত রিক্সা ব্যবহার করা হয় ফলে মানুষের শারীরিক শ্রম অনেকটাই কমেছে।
- এছাড়া ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন উপভোগ করা যায় গেম থেকে শুরু করে সিনেমা, গান ইত্যাদি।
ডিজিটাল প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক
ডিজিটাল প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক এর দিকে গুরুত্ব দেয়া প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ডিজিটাল প্রজেক্ট এর সাধ্য ব্যবহার হলে অবশ্যই সেটার সুফল বয়ে আনবে কিন্তু এর নেতিবাচক দিক বিবেচনা করলে অনেক ক্ষেত্রে এটি যুব সমাজের জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলা যায়, চলুন ডিজিটাল প্রযুক্তির নেতিবাচক দিক গুলো কি কি দেখা যাক।
- ডিজিটাল প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারে যুবসমাজের অনেক ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়। কারণ তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে যায় ফলে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়।
- এছাড়া অনলাইন পদ্ধতির ব্যবহার করে অনেক ছেলেমেয়েরা সাইবার প্রেমের সাথে জড়িত হয়ে যাচ্ছে ফলে তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পিছিয়ে যাচ্ছে।
- ছেলেমেয়েরা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ফোন দেখে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এবং একে অপরের অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হয়ে বিপদে পড়ছে।
- অনেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে না শিখেই ব্যবহার করছে ফলে তারা জীবনে সফলতা হারাচ্ছে।
- সোশ্যাল মিডিয়া অনেক অনেক তথ্য পাওয়া যায় যেগুলো যাচাই-বাছাই না করে মানুষ বিশ্বাস করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত হচ্ছে।
- ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ফলে মানুষ-মানুষের সাথে, বন্ধু-বান্ধবের সাথে, পরিবারের সাথে কথা বার্তা না বলে অবসর সময়ে নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ঘরে বসে ব্যস্ত থাকে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির উপকরণ গুলো কি কি

মহাকাশ অভিযান এবং আবহাওয়া পূর্বাভাস বিদ্যুৎ হীনতায় জেনারেটর ইত্যাদি সকল কিছু ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলাফল। বর্তমানে কাল কি হবে ভবিষ্যতে সকল কিছু ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুমান করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও মানুষ চুলাতে রান্না করার পরিবর্তে ডিজিটাল কারেন্টের চুলা ব্যবহার করে খাবার তৈরি করছে। এছাড়া মানুষ কাপড়-চোপড় ধুয়ার জন্য ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে থাকে যা ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যতম একটি আবিষ্কার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা AI ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা AI ব্যবহার করে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ লাভ করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের চিন্তাভাবনার সকল সঠিক সমাধান সংগ্রহ করে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে অনেক অসাধ্য কাজের সমাধান খুঁজে পেয়েছে। আগামী ১০ বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের ব্রেন ক্রাশ করে ফেলবে এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
রোগ নির্ণয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার কর্মসংস্থানের উন্নত করার চেষ্টা করছে। বিশাল পরিমাণ ডাটা সংরক্ষণের সকল সিদ্ধান্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে থাকে। এছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা এবং অনলাইনের বিভিন্ন সেবায় মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের সমস্যার সমাধান করছে।
ডাটা এনালাইসিস এর এবং প্রোগ্রামিং বিভিন্ন ভাষা এ আই দিয়ে করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ইউটিউবার এবং মিডিয়ার লোকজন এ আইকে ব্যবহার করে তাদের কনটেন্ট তৈরির ভিডিও এডিটিং এবং ছবি এডিটিং এর কাজ করে থাকে এছাড়াও তারা এ আইকে ব্যবহার করে তাদের ব্যবসার অনেক প্রয়োজনীয় কাজের সমাধান করে থাকে।
শেষ কথাঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছেন
উপরোক্ত সকল আলোচনা থেকে বলা যেতে পারে যে ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কিভাবে পরিবর্তন করেছে এ বিষয়ে কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন। এছাড়া বর্তমান যুগ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার ফলে মানুষ অনেকটাই কর্ম ক্ষেত্রে অলস অনুভব করছে এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের কর্মজীবনে যেমন সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে তেমনি মানুষকে অনেক অনৈতিক কার্যকলাপে ও জড়িত করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন মানুষকে খারাপ কিছু করতে বাধা দেয় না তেমনি ভালো কিছু গ্রহণ করতেও উৎসাহ দেয় না। তাই আপনি ডিজিটাল প্রযুক্তি ভালো দিক গ্রহণ করলে আপনার ভালো হবে এবং খারাপ গ্রহণ করলে খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। 202511