মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স - বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট

সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার কৌশল
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার গুরুত্ব
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেক্টর
- মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়
- ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা মোবাইল অ্যাপস
- মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সতর্কতা
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স (FAQ) প্রশ্নোত্তর
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগে
- শেষ মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার কৌশল
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করার কৌশল জানা থাকলে খুব সহজেই টাকা পয়সা খরচ ছাড়া অথবা অল্প খরচে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যা মানুষকে স্বাবলম্বী হতে শেখায়। এছাড়া বর্তমানে চাকরির পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে পড়ালেখা শেষ করে হাজার চেষ্টা করেও চাকরি পাওয়া সম্ভব হয় না।
এমতাবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে নিজের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার হিসেবে পছন্দ করছেন। কোটি কোটি মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছে। তাই আপনি যদি চান আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। প্রশ্ন হচ্ছে স্টুডেন্ট অবস্থায় কিভাবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনবেন এর জন্য তাই না? তবে এর উত্তর হল ল্যাপটপ কম্পিউটার ছাড়াও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব।
এ ধরনের প্রশ্ন আপনারা করে থাকেন, টাকা নাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিভাবে? তবে এই প্রশ্নের উত্তর হবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক কৌশল রয়েছে যেগুলো আপনি একটু বুদ্ধি করে কাজে লাগালেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। যেহেতু বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে ফ্রি কোর্স রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
সেই কোর্সগুলো করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। আর এই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন যথেষ্ট। আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না কি বিষয় নিয়ে বা কি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করবেন তাই না?। এর জন্য আপনাকে প্রথমত ইউটিউবে যেতে হবে সেখানে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে।
সেই ভিডিও গুলা দেখে আপনার যে বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী হবেন এবং যে সেক্টর আপনার কাছে সহজ বা পছন্দ হবে সেটি শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। আর বর্তমানে youtube সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে অনেক বড় একটি মিডিয়া যেখানে আপনি যা চান যেভাবে চান সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। আর ইউটিউবে অনেক ফ্রী কোর্স আছে যেগুলো করে আপনি খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার গুরুত্ব
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার গুরুত্ব ফ্রিল্যান্সিং শেখার একটি বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং শেখা খুবই সহজ হয়ে গেছে। কারণ মোবাইল খুব কম অর্থে কেনা যায় এবং প্রায় সকলেই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাই সহজে শেখা ও অনুশীলন করার সুযোগ রয়েছে। কম খরচে ক্যারিয়ার শুরু করার সুযোগ থাকে।
কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ কেনার জন্য বড় অংকের টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু মোবাইল কিনতে অত বেশি টাকা প্রয়োজন হয় না। ভালো একটি স্মার্ট ফোন থাকলেই খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব হয়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় বাধ্যবাধকতা নেই। বিশ্বের যে কোন জায়গায় থেকেই মোবাইল দিয়ে যেকোনো সময় ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং শিখে দ্রুত উপার্জনের জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলোতে মোবাইল দিয়ে একাউন্ট খুলে কাজ করা যায়। মোবাইল দিয়ে অনেক সেক্টরে রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং। গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি কাজ মোবাইল দিয়ে শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়। ভবিষ্যতের দক্ষতা তৈরি করার জন্য এবং বিভিন্ন কোম্পানি বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং সাপোর্ট করে থাকে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই কিছু স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। সেক্টর অনেক স্কিল আছে যেগুলো আপনি শিখে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে কিভাবে কাজ শিখে টাকা ইনকাম করা যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য অনেক জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপস আছে সেগুলো দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে আপনি মোবাইল আপলোড দিয়ে শিখতে পারবেন লোগো ও থাম্বনেল ডিজাইন, সহজ ভাবে পোস্টার ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টার, ব্যানার ডিজাইন, প্রোডাক্ট ইমেজ ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ ইমেজ এডিটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব এবং মোবাইল দিয়ে সেই কাজগুলো শিখে আপনি খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ই-কমার্স মার্কেটিং, এসইও ,সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, করতে পারবেন। কোর্সগুলো ফ্রি শেখার জন্য আপনি ইউটিউব, গুগল ডিজিটাল গ্যারেজ, ফেসবুক ব্লু প্রিন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং
ভিডিও এডিটিং করে এবং প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। মোবাইল ফ্রেন্ডলি অনেক ভিডিও এডিটিং অ্যাপস আছে সেই অ্যাপস গুলো ব্যবহার জানতে হবে। মোবাইল দিয়ে অনেক ধরনের ভিডিও করা যায় যেমন টিউটোরিয়াল গেমিং ভিডিও, মার্কেটিং এর ভিডিও, কোম্পানির মার্কেটিং ভিডিও, এছাড়া tiktok এবং shorts ভিডিও বানিয়ে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করা যায়। যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল ও ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্রোডাক্ট রিভিউ, কপিরাইটিং স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ই-বুক রাইটিং ইত্যাদি করে ইনকাম করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে গুগল ডক্স দিয়ে খুব সহজেই কনটেন্ট লিখতে পারবেন, বানান ঠিক রাখার জন্য গ্রামার স্পেলিং চেকার ব্যবহার, কন্টেন্ট রিরাইট ও টোন সঠিক করতে Quillbot ব্যবহার করতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ মোবাইল দিয়ে করা যায়। যদি দ্রুত টাইপ করার অভিজ্ঞতা ও এমএস এক্সেল এবং গুগল সিটে ডাটা ইনপুট এর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন এভাবে আপনি অনেক ক্লায়েন্টের কাজ পেতে পারেন। ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং, কাস্টমার সার্ভিস, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং ইত্যাদির কাজে ব্যবহৃত হয়।
ফটো এডিটিং অফ ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ
ফটো এডিটিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ এ সকল কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে ই-কমার্স প্রোডাক্ট ফটো এডিটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন, বিবাহ ইভেন্টে ফটো, এডিটিং পাসপোর্ট অফিসিয়াল ফটো এডিটিং ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, পোস্টার তৈরি, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের জন্য স্টিকার বানানো।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেক্টর
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার নির্দিষ্ট স্কিল আছে যেগুলো যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায়। সেই স্কিল গুলো ভালোভাবে চর্চা করলে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব চলুন মোবাইল দিয়ে কি কি করা যায় সেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের তালিকা গুলো নিজে তুলে ধরা হলো। স্কিল ডেভেলপ করে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- ব্লগ আর্টিকেল লিখে এসিও করা
- এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোডাক্ট প্রমোট করা
- ওয়েবসাইটের জন্য এসিও করা
- ভিডিও এসিও মার্কেটিং
- ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লেখা
- ই-বুক মার্কেটিং করা
- ই-কমার্স প্রোডাক্ট রিভিউ বা এফিলিয়েট
- Youtube, tiktok, reels এর জন্য স্ক্রিপ্ট তৈরি করা
- অডিও থেকে টেক্সট এ রূপান্তর করা অর্থাৎ ভয়েস ট্রান্সক্রিপশন
- কোম্পানির জন্য লোগো ডিজাইন
- ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব থাম্বনেল ডিজাইন
- ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ ও ফটো এডিটিং
- Infographic ডিজাইন অর্থাৎ তথ্যভিত্তিক গ্রাফিক্স তৈরি
- গ্রাফিক্স অ্যানিমেশন
- ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও তৈরি
- ডাটা এন্ট্রি অর টাইপিং জব
- এক্সেল ও গুগল শিট ম্যানেজমেন্ট
- ট্রান্সলেশন ভাষা সম্পর্কিত।
- ভয়েস ট্রান্সক্রিপশন ও সাবটাইটেল লেখা
- পোস্ট ও কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি
- সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন সেট করা
কিভাবে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়
কিভাবে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায় এ নিয়ে অনেকেই চিন্তা করে থাকেন। কারণ মোবাইলের ব্যবহার সবাই জানে কিন্তু এর সুষ্ঠু ব্যবহার দ্বারা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকাম এবং মার্কেটিং করা সম্ভব। চলুন কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স শুরু করা যায় আলোচনা করা যাক।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এবং একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কোন একটা নির্দিষ্ট স্কিল ডেভেলপ করতে হবে এবং সেই স্ক্রিল সম্পর্কে অনেক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ও শিখতে পারেন, আবার YouTube, Udemy, 10 minute School, skill share এ সকল সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের ফ্রি এবং পেড কোর্স রয়েছে সেগুলো করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
নিজের মোবাইল দিয়ে কোন একটা স্কিল ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে প্র্যাকটিস করতে থাকুন। এবং নিজের কাজের একটি সুন্দর পোর্টফলিও তৈরি করে গুগল ড্রাইভ অথবা বিহান্স এ রাখুন। এরপর আপনি ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করার পরে ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, পিপুল পার আওয়ার এই সেক্টর গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করুন। নিজের সার্ভিস সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে মার্কেটিং করুন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা মোবাইল অ্যাপস
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সেরা মোবাইল অ্যাপস গুলো জানা থাকলে খুব সহজেই আপনার মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। নিজের একটি আয়ের উৎস করে তুলতে পারবেন। মোবাইলে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার মোবাইল অ্যাপস গুলো কি কি জেনে নেয়া যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অ্যাপস
- Canva
- Adobe Express
- PicsArt
- Snapseed
- Remove.bg
ভিডিও এডিটিং শেখার অ্যাপস
- Kinemaster
- Capcut
- VN video editor
- Inshot
- Alight Motion
কনটেন্ট রাইটিং ও ট্রান্সলেশন অ্যাপস
- Google dogs
- Grammarly keyboard
- Hemingway editor
- Microsoft word
- Google translate
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অ্যাপস
- Google digital garage
- Facebook ads manager
- Google ads
- SEMrush
- Hootsuite
ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট শেখার অ্যাপস
- Google sheets
- Microsoft Excel
- Notion
- Trello
- Evernote
উপরে উল্লেখিত সকল এপ্স গুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি। এই অ্যাপসগুলো মোবাইলে প্লে স্টোর থেকে নামিয়ে ইন্সটল করে নিলে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ প্র্যাকটিস এবং শেখা সম্ভব।
মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সর্তকতা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা এবং কাজ করা সহজ হলেও কিছু বিষয় জেনে থাকলে মোবাইল দিয়ে কাজ করার সময় বা শেখার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কিছু পদ্ধতি বা ধাপ অনুসরণ করতে হবে। চলুন সেগুলো তুলে ধরা যাক।
- ভুয়া কোর্স বা গ্রুপের ফাঁদে না পড়া। থাক বিশ্বাস তো এবং 100% ইনকামের দেই এ সকল জায়গায় ফ্রিল্যান্সিং শেখা।
- ফ্রী কোর্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে youtube এবং বিভিন্ন পেইড ভিডিও বা কোর্স করার চেষ্টা করুন।
- নিজের লক্ষ্য স্থির রাখা এবং সঠিক স্কিল শেখা। একসাথে অনেকগুলো স্কেল শেখার চেষ্টা না করা।
- শুধুমাত্র মোবাইলের উপর নির্ভর করে থাকা উচিত নয়। আস্তে আস্তে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার কেনার চেষ্টা করা।
- ইনকামের জন্য তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ধারণ করে শেখা। ভালো অভিজ্ঞতা ছাড়া কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ নেওয়া উচিত নয়।
- অনলাইনে প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
- মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে মোবাইল ব্যাটারির কিংবা ইন্টারনেটের সমস্যা হতে পারে তাই পাওয়ার ব্যাংক এবং ভালো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট রাখার চেষ্টা করুন।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেয়া উচিত নয় মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং শরীর ও চোখের বিশ্রাম দিন।
- নিয়মিত শিখতে থাকুন এবং আপডেট থাকার চেষ্টা করুন নতুন কিছু জানার চেষ্টা করুন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স (FAQ) প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে কি ধরনের কাজ করা যায়?
উত্তর: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি কাজ করা যায়।
প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগে?
উত্তর: মোবাইল দিয়ে কোন একটা স্কিল শিখতে তিন মাসের মত সময় লাগে তবে ভালোভাবে প্র্যাকটিস করলে এর চাইতে দ্রুত শেখা যায়।
প্রশ্ন: কি ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করলে ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: Payoneer, PayPal, wise, Bank Transfer, Cryptocurrency. Did get
প্রশ্ন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে কতদিন আয় করা যাবে?
উত্তর: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে কত দিনে আয় হবে এটি বলা কঠিন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত আয় করা যায় আবার অনেক ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে। আপনার কাজের এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগে
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগে অনেকে এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স আছে যেগুলো নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করে থাকে। কিছু কোর্স দেখা যায় তিন মাস মেয়াদী, আবার কিছু কোর্স আছে ছয় মাস মেয়াদী। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে এটি সম্পূর্ণই আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে।
আপনি যদি আপনার লক্ষ্যকে স্থির রাখেন যে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে এবং ইনকাম করতে হবে তাহলে খুব দ্রুত এক থেকে তিন মাসের মধ্যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন। তবে যারা অতিরিক্ত বেশি পরিশ্রম করে বা আগ্রহ থাকে তারা এর চাইতে কম সময়ও শিখতে পারে।
শেষ মন্তব্যঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে নিয়েছে। মোবাইল খুবই সহজলভ্য একটি ডিভাইস তাড়াতাড়ি ম্যানেজ করা যায়। আরে মোবাইল দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং এর স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন। এই স্কিল ডেভেলপ ও শেখার জন্য আপনি youtube বা google এ সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক ফ্রি কোর্স আছে এবং অনেক পেড কোর্স আছে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনারা পরামর্শ অনুযায়ী ফ্রি ভিডিও গুলো বা ফ্রী কোর্সগুলো করবেন। এরপরে কিছু পরিমাণ অভিজ্ঞতা অর্জন করার পরে পেড কোর্স করতে পারেন। অবশেষে বলতে পারি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ফ্রি কোর্স করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব।
202511