বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত - বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন ২০২৫

বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত, বিকাশ এজেন্ট অফার, বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা কি কি আরো সকল বিকাশ এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করব। বিকাশ সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। 
বিকাশ-এজেন্ট-কমিশন-কতবর্তমানে বিকাশ এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা খুবই লাভজনক একটা ব্যবসা। এ ব্যবসার বিভিন্ন উপায়ে লাভজনক হওয়া যায়। যত বেশি ইনভেস্ট করতে পারবেন তত বেশি লাভ পাবেন। তবে সবার পক্ষে এ ধরনের ব্যবসা করা সম্ভব নয়। 

সূচিপত্রঃ বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত 

    বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত 

    বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত, ব্যবসায় লাভ কি পরিমান করা যায়, ব্যবসা করে কতটুকু সফলতা অর্জন করা যাবে এ বিষয়ে জানার জন্য আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পড়ুন। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা এখন অনেক লাভজনক হয়েছে এছাড়া এ ব্যবসা করে অনেক যুবক নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করে নিয়েছে। 

    বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা যত বেশি লেনদেন করতে পারবেন তত বেশি কমিশন পাবেন। মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে সবচাইতে বেশি লেনদেন হয় বিকাশে। ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে বিকাশ সবার চাইতে বেশি জনপ্রিয়। দেশ বিদেশ সব ধরনের লেনদেন এখন বিকাশে করা সম্ভব। 

    বিকাশে যদি আপনি এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করেন তাহলে প্রত্যেক মাসে ১৫ ০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন, অনেক ক্ষেত্রে লেনদেনের উপরে নির্ভর করে, এর চাইতে বেশিও হতে পারেন। বিকাশ এজেন্ট কমিশন দুইভাবে করা যায় প্রথমত USSD code *147#, আরেকটি বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে।

    আরো পড়ুনঃ

    ইউএসএসডি কোড ব্যবহারের চাইতে তুলনামূলক বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে কমিশন কয়েক পয়সা বেশি পাওয়া যায়। USSD কোড ব্যবহার করে লেনদেন করলে পতি হাজরে কমিশনের হার ৪.১০ টাকা। আর বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে কমিশনের হার ৪.৩০ টাকা টাকা। ট্রানজেকশন সহ বাড়তি কমিশন মোট ৪.৫০ টাকা।

    বিকাশ এজেন্টের কমিশন রেট 

    বিকাশ এজেন্টের কমিশন রেট প্রতি হাজার টাকা ক্যাশ ইন করলে ৪.১০ টাকা কমিশন পাওয়া যায়। তাহলে এক মাসে এক লক্ষ টাকা ক্যাশ ইন করা হলে ৪১০ টাকা কমিশন পাওয়া যায়। বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট অ্যাপস এর মত বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট অ্যাপস রয়েছে যেটা ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু বিকাশ এজেন্ট অ্যাপস ব্যবহার করে ক্যাশ ইন করলে প্রতি হাজারে ৪.৩০ টাকা। 

    ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে ক্যাশ ইন করলে কমিশন রেট প্রতি ১০ হাজারে ৪১ টাকা কিন্তু যদি বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে ক্যাশ ইন করে তাহলে কমিশন রেট প্রতি ১০ হাজারে ৪৩ টাকা অর্থাৎ ২ টাকা বেশি। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা ব্যবসা করে প্রতিমাসে এক লক্ষের বেশি লেনদেন করতে পারলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। 

    বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম

    বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম বলতে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আপনার ব্যবসার ধরন এবং ব্যবসা সম্পর্কিত সকল তথ্য জমা দিয়ে সংগ্রহ করা বোঝায়। বিকাশ এজেন্ট সিম ব্যবহার করার সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এটা শুধু ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত হবে ব্যক্তিগত কোনো কাজে সিমটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে। 
    বিকাশ-এজেন্ট-কমিশন-কতবিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমত আপনাকে একটি দোকান ভাড়া নিতে হবে অথবা নিজস্ব জায়গায় দোকান দিতে হবে। এরপর আপনার নিজস্ব পৌরসভা, উপজেলা কিংবা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা অবৈধ বলে প্রমাণিত হবে তাই অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স করে নেবেন।

    আরো পড়ুনঃ

    নিজস্ব এন আইডি কার্ডের ফটোকপি, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, আয়কর অফিস থেকে TIN সার্টিফিকেট। বিকাশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিকাশ এজেন্ট আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। সকল কাগজপত্র নিকটস্থ কোনো বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে জমা দিন। তবে যিনি ব্যবসা শুরু করবেন তিনি সশরীরে নিজে অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিয়ে আসবেন। 

    অফিস কর্তৃপক্ষ আপনার সকল কাগজপত্র যাচাই করার পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। নির্দিষ্ট একটি সময়ে আপনি গিয়ে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার জন্য আপনার এনআইডি কার্ড দ্বারা নিবন্ধন করে একটি সিম প্রদান করা হবে যেটি আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি। তারপর সেই সিমটি দিয়ে আপনি বিকাশ এজেন্ট হিসেবে সকল সার্ভিস প্রদান করতে পারবে।

    বিকাশ এজেন্ট কমিশন হিসাব করার নিয়ম 

    বিকাশ এজেন্ট কমিশন হিসাব করার নিয়ম মূলত দুই ভাবে হয় টাকা ক্যাশ ইন করে কমিশনের হিসাব এবং ক্যাশ আউট করে কমিশনের হিসাব দুইভাবেই কমিশন পাওয়া যায়। বিকাশ এজেন্ট কমিশন অনেক পাওয়া যাবে যদি ব্যবসার ধরন এবং লেনদেন সম্পর্কে ধারণা ভালো থাকে বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত নিচে সম্পূর্ণ ছক আকারে প্রকাশ করা হলো।

    দৈনিক লেনদেন প্রতি ১০০০ টাকায় কমিশন এর হার ৪.১০-৪.৩০ মাসিক আয়
    ৫০,০০০ ২০৫ – ২১৫ ৬,১৫০ – ৬,৪৫০
    ১,০০,০০০ ৪১০ – ৪৩০ ১২,৩০০ – ১২,৯০০
    ২,০০,০০০ ৮২০ – ৮৬০ ২৪,৬০০ – ২৫,৮০০
    ৫,০০,০০০ ২,০৫০ – ২,১৫০ ৬১,৫০০ – ৬৪,৫০০

    বেশি কমিশন পাওয়ার নিয়ম

    বেশি কমিশন পাওয়ার নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব দ্রুত আপনার ব্যবসায়ী উন্নতি লাভ করতে পারবেন। প্রতিদিন যত আপনার দোকানে গ্রাহক হবে এবং যত লেনদেন করবেন বিকাশের মাধ্যমে ততই আপনি বিকাশ এজেন্টে হিসেবে লাভ করতে পারবেন। চলুন বিকাশ এজেন্ট কমিশন বাড়ানোর জন্য কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

    • বিকাশ লেনদেনের জন্য সঠিক স্থান নির্ধারণ করতে হবে। বেশি জনবহুল জায়গাতে বিকাশ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা আরম্ভ করতে হবে। 
    • দোকানের ডেকোরেশন অনেক আকর্ষণীয়ভাবে করতে হবে যেন গ্রাহক দেখলে বুঝতে পারে আপনি একজন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী। 
    • দোকানে অবশ্যই বিকাশের ব্যানার অথবা পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 
    • গ্রাহকদের সাথে সুন্দর আচরণ এবং ধৈর্যশীল ভাবে কথা বার্তা এবং লেনদেন করতে হবে। 
    • মার্কেটে কিংবা বাজারে বিকাশ লেনদেনের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করতে হবে। কারণ যেখানে বেশি লোকজন সেখানে বেশি লেনদেনের সম্ভাবনা থাকে। 
    • ডাক্তারের সাথে লেনদেন করার সময় ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করার চাইতে বিকাশ অ্যাপ দ্বারা লেনদেন করার ব্যবস্থা করবেন কারণ এতে কমিশন বেশি পাওয়া যায়। 
    • প্রতিদিন বেশি লেনদেন করার ব্যবস্থা করবেন যেন আপনার ইনকাম এবং কমিশনের পরিমাণ বেড়ে যায় কারণ যত বেশি লেনদেন করবেন তত বেশি কমিশন পাবেন।
    • গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সার্ভিস দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
    • গ্রাহকদের অনেকক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করাবেন না তাহলে তারা বিরক্ত হয়ে অন্যত্র চলে যাবে। 
    • প্রতিদিন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব সকাল সকাল এবং অনেক রাত পর্যন্ত সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ যত বেশি আপনি সময় দেবেন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তত বেশি লেনদেন হবে।
    • আপনার দোকানে অতিরিক্ত গ্রাহক নিয়ে আসার জন্য আরও অন্যান্য ব্যবস্থা রাখতে পারেন যেমন বিভিন্ন ধরনের মোবাইল রিচার্জিং কার্ড, এমবি কার্ড, বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, নগদ সার্ভিস, রকেট ইত্যাদি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

    বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি 

    বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার পদ্ধতি খুবই সহজ। বিকাশের অফিসের ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন এছাড়া নিকটস্থ কোন বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার ব্যবসার সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। 

    সকল অনুসন্ধান ঠিকঠাক ভাবে যাচাই করার পরে বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার ব্যবসার জন্য অনুমোদন দিবেন। এরপর আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে একটি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার জন্য সিম প্রদান করা হবে সেই সিম দ্বারা আপনি বিকাশ এজেন্ট হিসেবে সকল ধরনের লেনদেন করতে পারবেন। মোবাইল রিচার্জ থেকে ক্যাশ অন এবং ক্যাশ আউট ও বিল পেমেন্ট সহ যাবতীয়।

    • বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে সর্বপ্রথম জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা স্মার্ট কার্ডের কপি। 
    • ব্যবসা শুরু করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এর বৈধ কপি। 
    • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন দুই কপি ছবি।
    • টি আই এন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। 
    • নিজ নামের রেজিস্ট্রেশন করা একটি মোবাইল নাম্বার যেটিতে পড়বে কখনো বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়নি। 
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর তথ্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বিকাশ কতৃপক্ষ চাইলে দেখাবেন। 
    • আপনি যেই মার্কেটে কিংবা বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন সেখানকার ঠিকানা।

    বিকাশ এজেন্টের সুবিধা 

    বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা গুলো জানা থাকলে আপনি বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত এ বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারবেন। বিকাশ একটি লাভজনক সুবিধা হচ্ছে ক্যাশ ইন করেও কমিশন পাওয়া যায় এবং ক্যাশ আউট করেও কমিশন পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিদিন আপনি আনলিমিটেড কমিশন পাবেন যদি আপনি লেনদেন খুব বেশি করতে পারেন।

    বিকাশ এজেন্টের নগদ লেনদেন বেশি হওয়ার ফলে ক্যাশ ফ্লো ভালো হয়। এবং অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা আরম্ভ করার সুযোগ থাকে। খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। প্রতিদিনের লেনদেনে ক্যাশ অন কমিশন পাওয়া যায়। এছাড়া বিকাশ কর্তৃপক্ষ এর কাছে থেকে ট্রেনিং যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যায়। আনলিমিটেড লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
    বিকাশ-এজেন্ট-কমিশন-কত
    বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না অল্প বিনিয়োগে ব্যবসা আরম্ভ করা যায়। বিকাশ ট্রানজেকশন খুব সহজেই এবং দ্রুত করা যায় এজন্য গ্রাহক বেশি বিকাশে লেনদেন করে থাকে ফলে কমিশনের হার বৃদ্ধি পায়। নতুন এজেন্ট দের জন্য অতিরিক্ত বোনাস এবং কমিশনের অফার থাকে। 

    মাসে যদি এক নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেনের টার্গেট পূরণ করতে পারেন তাহলে অতিরিক্ত বোনাস এবং রিওয়ার্ড পাওয়া যায় কমিশন পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন উৎসব যেমন ঈদ, পূজা ইত্যাদিতে প্রমোশনাল কিছু ক্যাম্পেইন থাকে যেগুলোতে বোনাসের অফার থাকে। অর্থাৎ ইভেন্ট অনুযায়ী অনেক বিকাশ কোম্পানিগুলো বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের কমিশন দিয়ে থাকে।

    বিকাশ এজেন্ট কমিশন ও ব্যবসা লাভজনক করার উপায় 

    বিকাশ এজেন্ট কমিশন ও ব্যবসার লাভজনক করার উপায় নির্ভর করবে আপনার ব্যবসার ধরন, গ্রাহকের সংখ্যা এবং লেনদেনের উপর। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে অতিরিক্ত কমিশন পাওয়ার জন্য আপনাকে বিকাশ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ প্রত্যেকটি গ্রাহকের পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট যদি আপনার বিকাশ এজেন্ট দ্বারা খুলে দেন তাহলে আপনি ২০ টাকা কমিশন পাবেন। 

    এছাড়া বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে দৈনিক ২০০০ টাকা বা এর চাইতে বেশি ইনকাম করতে পারেন। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা খুবই লাভজনক। অনেক গ্রাহক আছে যারা প্রতিদিন ব্যবসার ক্ষেত্রে লেনদেন করে থাকেন, সে ধরনের গ্রাহক দের পরিচিতি লাভ করে তাদের সাথে লেনদেনের সুব্যবস্থা রাখতে পারেন। তাহলে আপনি ব্যবসায় লাভ করতে পারবেন।

    নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু পরামর্শ 

    নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে কারণ তাদের হয়তো ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নাও থাকতে পারে ফলে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়। যারা নতুন বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা শুরু করতে চান তারা বিকাশ এজেন্ট ব্যাংকিং এর পাশাপাশি আরো কিছু ব্যবসার আইডিয়া করতে পারেন। বিকাশ এজেন্ট নাম্বার দিয়ে মোবাইল রিচার্জ ফলে আপনি কমিশন পাবেন। 

    • মোবাইল রিচার্জিং এর ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসা উন্নতি হবে। 
    • এছাড়া যদি আপনি কম্পিউটারের কিছু কাজ জানেন তাহলে কম্পিউটারে অনলাইনে অনেক কাজ আছে যেগুলো করে দিয়ে আপনি ব্যবসার উন্নতি করতে পারেন। 
    • ফটোস্ট্যাট মেশিন রাখতে পারেন, যার ফলে অনেক লোকজন আছে অফিশিয়াল কাগজপত্র ফটোকপি কিংবা স্কুলে কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ফটোকপি প্রয়োজন থাকে।
    • বিকাশ এজেন্ট এর পাশাপাশি অন্যান্য এজেন্টিং লেনদেনের ব্যবস্থা রাখবেন যেমন নগদ, রকেট, ইউ ক্যাশ, ইত্যাদি।
    • এজেন্ট ব্যবসার পাশাপাশি ছোটখাটো মোদির দোকান দিতে পারেন। 
    • বিকাশ এজেন্টের পাশাপাশি অনলাইনে বিল পেমেন্ট যেমন পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখতে পারেন।
    • এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স এর কিছু সাময়িক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখতে পারেন যেমন মোবাইলের চার্জার, হেডফোন, ব্লুটুথ, মোবাইল কভার ইত্যাদি। 
    • বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অপারেটরের সিম বিক্রয়ের সুব্যবস্থা রাখতে পারেন। বর্তমানে মানুষ বিকাশের দোকান থেকেই সিম ক্রয়ের চেষ্টা করে কাস্টমার কেয়ারে খুব কম ক্রয় করা হয়। এছাড়া আপনি মোবাইল সিম বিক্রয়ের মাধ্যমে কমিশন পাবেন।

     শেষ মন্তব্যঃ বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত 

    উপরোক্ত সকল আলোচনা থেকে বিকাশ এজেন্ট কমিশন বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা, বিকাশ এজেন্ট শুরু করার প্রস্তুতি সকল কিছু বিস্তারিত জানানো হলো। তাই যারা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে চান তারা উপরের সকল বিষয় ভালোভাবে পড়ে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

    তবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা খুবই লাভজনক যদি মেধা এবং দক্ষতার সাথে ব্যবসা করেন তাহলে খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করতে পারবেন। তবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কমিশন বেশি পেতে হলে প্রতিদিনে আপনাকে লেনদেন বেশি করতে হবে এবং যত বেশি গ্রাহকের সাথে লেনদেন করবেন তত আপনার কমিশনের হার বৃদ্ধি পাবে। 202511

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন