বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে, কোন ধরনের ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়া যায়, মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ কেমন এবং বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট আছে কিনা এ সকল তথ্য জানার জন্য কষ্টের সম্পন্ন পড়ুন।
বাংলাদেশ-থেকে-মালয়েশিয়া-যেতে-কত-সময়-লাগেতাইতো আজকের পোস্টে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দূরত্ব বিভিন্ন ভিসার ধরন এবং বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালয়েশিয়া যাওয়া যায় নাকি যাত্রাপথে বিরতি নিয়ে যেতে হয় এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে অবশ্যই এ ধরনের প্রশ্ন আপনাদের মনে সাড়া জাগে তাই না? হ্যাঁ যারা প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক এছাড়াও জীবনের তাগিদে দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। আপনারা আসলে অনেকেই জানতে চান মালয়েশিয়া যাওয়ার সরাসরি কোন ফ্লাইট আছে কিনা বাংলাদেশ থেকে। 

তবে এ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলা যায় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট নাই। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর যাওয়ার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাজা তাদের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কুয়ালালামপুর দুইভাবে যাওয়া যায়। প্রথমত ননস্টপ বাংলাদেশ টু কুয়ালালামপুর এবং আর একটি হচ্ছে ওয়ান স্টপ বাংলাদেশ টু কুয়ালালামপুর।

সকাল ৮:২৫ মিনিটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স BS-315 ফ্লাইটটি আনুমানিক ১২:৫০ মিনিটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিটের মতো অর্থাৎ প্রায় চার ঘন্টা সময় লাগে।

আরো পড়ুন

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের MH-197 ফ্লাইটটি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রাত ১০:৫৫ মিনিটে ছেড়ে কুয়ালালামপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়, এবং রাত দুইটা ৫০ মিনিটের দিকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়। এ ধারণা অনুযায়ী বলা যায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া অর্থাৎ কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে প্রায় চার ঘন্টা। অনেক ক্ষেত্রে ফ্লাইটের সময়সূচী এয়ারলাইন্স ভেদে পরিবর্তন হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ননস্টপ কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা কিন্তু ওয়ান স্টপ গেলে সময় এর থেকে দ্বিগুণ লাগতে পারে। কারণ বাংলাদেশ থেকে কুয়ালালামপুর যাওয়ার সময় দুবাই কিংবা ব্যাংককে যাত্রা বিরতি দিয়ে থাকে ফলে সময় বেশি লাগে। তবে ওয়ান স্টপ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে আনুমানিক সময় ৯ থেকে ১০ ঘন্টা লাগে। 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ফ্লাইট ভাড়া কত

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ফ্লাইট ভাড়া কত এ ব্যাপারে জানা অবশ্যই জরুরী। মালয়েশিয়া ফ্লাইট এর ভাড়া, এয়ারলাইন্স বুকিং সময় ক্লাস এবং ভ্রমণের সময়ের উপর নির্ভর করে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা হয়। মালয়েশিয়া ফ্লাইট এর বিভিন্ন ধরনের ক্লাস রয়েছে এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস, ইকনোমি ক্লাস, ফার্স্ট ক্লাস। প্রত্যেকটি ক্লাসের সুবিধা এবং ভাড়া ভিন্ন ভিন্ন।
বাংলাদেশ-থেকে-মালয়েশিয়া-যেতে-কত-সময়-লাগে

ইকোনমিক ক্লাসের ভাড়া

  1. বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার এয়ার এশিয়া ফ্লাইটে গেলে ৪২ থেকে ৫০ হাজার টাকার। 
  2. মালেশিয়া এয়ার লাইসেন্স ফ্লাইটের ভাড়া ৩০০০০ থেকে ৫০০০০। 
  3. এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এর ভাড়া ৩৬০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা। 
  4. ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এর ভাড়া ৩৮০০০-৪৫০০০ টাকা।
  5. মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এর ভাড়া ৬৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা। 
  6. ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ভাড়া ৩৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

বিজনেস ক্লাসের ভাড়া

  1. বিমান বাংলার এয়ারলাইন্সের ভাড়া ৯০০০০ থেকে ৯৮০০০ টাকা।
  2. মালেশিয়া এয়ারলাইন্সের ভাড়া ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।

ফাস্ট ক্লাসের ভাড়া 

ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার ভাড়া ৮ লক্ষ ৩১ হাজার থেকে ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসা 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসা আছে তবে এটি পুরোটাই আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে আপনি কোন বিষের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে চান। কোন কোন ধরনের ভিসা পাওয়া যায় মালয়েশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে। 

  • টুরিস্ট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা 
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 
  • ফ্যামিলি ভিসা 
  • বিজনেস ভিসা 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দূরত্ব কত কিলোমিটার 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া দূরত্ব কত কিলোমিটার সারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া জীবিকা নির্বাহের জন্য যেতে চান তারা জানতে চেয়েছেন চলুন এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক। 

ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর এর বিমান দূরত্ব প্রায় ২৬৪০ কিলোমিটার এবং ১৬৪০ মাইল। তবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার মোট দূরত্ব ৩৭৩৮ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যেতে চান তাদের চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর এর দূরত্ব ২৫৭০ কিলোমিটার এবং যেতে প্রায় সময় লাগে ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট। এছাড়া সিলেট থেকে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে সিলেট থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর এর দূরত্ব ২৭০০ কিলোমিটার সময় লাগে ৪:২০ মিনিট।

আরো পড়ুন 

স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে দূরত্ব প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার। স্থলপথে আকাশ পথের চাইতে দূরত্ব অবশ্যই বেশি হবে কারণ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোন রুট বা রাস্তা নাই যেভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়। অনেক দেশ সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তারপরে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়। মালয়েশিয়া যেতে আনুমানিক সময় লাগে ৭-১০ দিন তবে বিভিন্ন জটিলতার কারণে সময় বেশি লাগতে পারে। ঢাকা-কলকাতা-মায়ানমার-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া।

জলপথে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দূরত্ব আনুমানিক ৩২০০ থেকে ৩৫০০ কিমি। সমুদ্র বা জলপথে জাহাজে যেতে তাই সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ দিন তবে এর চাইতে বেশি লাগতে পারে। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করতে হয় বাংলাদেশের চিটাগাং থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোন জাহাজ মালয়েশিয়া যায় না

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসা ফি কত 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসা ফি কত জানা থাকলে খুব সহজেই আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য ভিসা ফি ৫০০০-৮০০০ টাকা। এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়ার ভিসা ফি সরকারিভাবে খরচ হয়ে থাকে ৭৮৯০০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য খরচ বাবদ মোট খরচ হয়ে থাকে এক লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

মালয়েশিয়া টুরিস্ট পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে এ বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকজন মালয়েশিয়ায় নিজের জীবিকা নির্বাহ ও নিজেকে বেকারত্ব থেকে বের করার জন্য মালয়েশিয়া গিয়ে থাকেন। রুমাল এসে যাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজন।

টুরিস্ট ভিসার জন্য কাগজপত্র 

  • বৈধ একটি পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী হতে হবে। 
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের ফটোকপি। 
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট ৬ মাসের, কমপক্ষে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংকে থাকতে হবে।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট। 
  • মেডিকেল রিপোর্টের সার্টিফিকেট। 
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য উল্লেখ করে আবেদন পত্র। 
  • ফিরে আসার বিমানের টিকিটের কপি। 
  • হোটেল বুকিং এর যাবতীয় প্রমাণ। 
  • পাসপোর্ট সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি। 

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কাগজপত্র 

  • বাংলাদেশের বৈধ একটি পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ থাকা জরুরী। 
  • মালয়েশিয়া কাজের জন্য নিয়োগকর্তা কর্তৃক নিয়োগ পত্র।
  • ভিসার জন্য পূরণকৃত আবেদন পত্র।
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ। 
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট। 
  • মেডিকেল রিপোর্টের সার্টিফিকেট। 
  • করোনা টিকার সার্টিফিকেট।
  • সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। 
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে 

থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীরা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। থাইল্যান্ড থেকে সরাসরি মালয়েশিয়া যাওয়া যায় না। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর যাওয়া যায়। ব্যাংকক থেকে কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে দুই ঘন্টা তবে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সময় বুকিং উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। 

থাইল্যান্ড এয়ার ওয়েজে ব্যাংকক থেকে কুয়ালালামপুর এর দূরত্ব আনুমানিক ১২৪০ কিলোমিটার। এবং সময় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা লাগে। এছাড়া সমুদ্রপথে ব্যাংকক থেকে কুয়ালালামপুর এর দূরত্ব ১৪৭০ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার। এবং যেতে সময় লাগে ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। এছাড়া ট্রাফিক এবং রাস্তার অবস্থার উপর নির্ভর করে সময় কম-বেশি হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া বিমান টিকিট বুকিং করার নিয়ম 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া বিমান টিকেট বুকিং করার নিয়ম জানা থাকলে খুব সহজে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। এবং কিভাবে টিকিট বুকিং করা যায় জানা যাক। 

আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ওয়েবসাইট www. biman-airlines.com, www.malaysiaairlines.com এ গিয়ে ফ্লাইট রুট এবং তারিখ নির্বাচন করতে হবে ফ্রম ঢাকা টু কুয়ালালামপুর। ভ্রমণের তারিখ নির্বাচন করুন one way অথবা round trip যাত্রীর সংখ্যা নির্বাচন করুন। এরপর ফ্লাইট অনুসন্ধানের জন্য search কিংবা find flight বাটনে ক্লিক করতে হবে। 
বাংলাদেশ-থেকে-মালয়েশিয়া-যেতে-কত-সময়-লাগেঅনেকগুলো ফ্লাইটের সময়সূচী আসবে আপনার পছন্দ মত ইয়ার ফ্লাইট আপনি পছন্দ করুন। তারপরে পছন্দমত ফ্লাইট নির্বাচন করে book now বা continue বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রী যাবতীয় তথ্য যেমন নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, জন্ম তারিখ, যোগাযোগের নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি দিতে হবে। এছাড়া টিকিটের অনেকগুলো ক্লাস আছে ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস, ইকনোমি ক্লাস ইচ্ছামত বুকিং করতে পারবেন।

এরপর আসবে পেমেন্ট মেথড। পেমেন্টের জন্য আপনার পছন্দমত পেমেন্ট অপশন যেমন visa/MasterCard, bkash, Nagod, ইত্যাদি যেকোনো একটি অপারেটর পছন্দ করুন। পেমেন্ট সফল হলে আপনার ইমেইলে একটি এসএমএস আসবে কনফার্ম টিকিটের। টিকিট বুক করার সময় ২-৩ মাস আগে কাটলে ছাড় বা ডিস্কাউন্ট পাওয়া যায়। 

বিভিন্ন দেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে সময় কত

বিভিন্ন দেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে সময় ভিন্ন ভিন্ন লাগে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার যে সকল দেশগুলো আছে সেগুলো থেকে মানুষের যেতে তাই কম বেশি একই সময় লাগে। যারা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা আজকের এ পোস্ট থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় সম্পর্কে নিতে পারেন।

ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, ফ্লাইটে করে কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে আনুমানিক ৪ ঘন্টা।

ভারত, কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা।

নেপাল, কাঠমান্ডু থেকে নেপাল এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে ৪:৫০ মিনিট। 

শ্রীলংকা কলম্বো থেকে শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর যেতে সময় লাগে ৩:৫০ মিনিট।

মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় যেতে বয়স কত লাগে 

মানুষের কাজের পেশায় যেতে বয়স কত লাগে এটি অবশ্যই নির্ধারিত আছে। কারণ নির্দিষ্ট একটি বয়স নির্ধারণ করা থাকে যে বয়সের মধ্যে মালয়েশিয়ায় গিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। মালয়েশিয়া যেতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে। এবং সর্বোচ্চ বয়স ৫৫। ১৮ বছরের কম বয়সে কেউ মালয়েশিয়ার যেতে অনুমতি পাবেন না। 

মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় গেলে কর্মী, শ্রমিক, টেকনিশিয়ান ইত্যাদি পদে যেতে পারবেন। তবে কিছু নির্দিষ্টতার ক্ষেত্রে ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। ১৮ কম বয়সী কেউ কর্মী পদে আবেদন করতে পারবেন না। কাজের ভিসা প্রসেসিং হতে সময় প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগে এছাড়াও সময় আরো দীর্ঘ হতে পারে দুই থেকে তিন মাস লাগতে পারে। 

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় বেতন কত 

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় বেতন কত অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেটা আগ্রহ। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ কর্মী মালয়েশিয়া কাজের জন্য গিয়ে থাকে। মালয়েশিয়া কাজের বেতন নির্ভর করে কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপরে। যদি আপনি খুব দক্ষ এবং দুই তিন বছরের অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে বেতন বেশি হবে। 

নতুন কর্মীদের বেতন ১২০০ থেকে ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে হয় ৩৩০০ থেকে ৪২০০০ টাকার মতো। মালয়েশিয়ান ১ রিঙ্গিত=২৭.৪৭ টাকা। কিন্তু যারা দক্ষ কর্মী তাদের বেশি হয়। বিশেষ করে যারা মেশিন অপারেটর টেকনিশিয়ান এ সকল কাজে দক্ষ তাদের বেতন ২৫০০ থেকে ৪০০০ রিঙ্গিত। হঠাৎ আনুমানিক ৬৯০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা। তবে বেতন অনেক ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে।

তবে ওভার টাইমের সুযোগ রয়েছে যারা নির্দিষ্ট টাইম পর্যন্ত কাজ করার পর ওভার টাইম করেন তাহলে বেতন এক থেকে দুই গুণ বৃদ্ধি পায়। ওভারটাইম করলে ৫০০-১০০০ রিঙ্গিত বেশি ইনকাম করা যায়। যেটা ফ্যাক্টরি বিষয় গেলে সেখানে থাকা খাওয়ার সুবিধা থাকে। এবং অনেক কোম্পানি আছে যারা মেডিকেল খরচ বহন করে থাকেন।

শেষ মন্তব্যঃ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে 

পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা অনেকের থাকে কিন্তু বিভিন্ন জটিলতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে বুঝে উঠতে পারে পারেন না। তাদের জন্য আজকের পোস্টে ফ্লাইট এর সময়, ভিসা প্রক্রিয়া, খরচ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক বিষয় তুলে ধরা হলো যারা মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক তারা উপযুক্ত সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।

202511

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন