ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত ও সহীহ বুখারী হাদিস
আমরা প্রত্যেক মুসলমান ভাগ্যে বিশ্বাসী। ভাগ্যে বিশ্বাস করা ছাড়া প্রকৃত মুমিন হওয়া যায় না। আমাদের ভাগ্যে যতটুকু রিজিক আছে ততটুকুই আমরা পাব এটাই আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন মানুষ চাইলে দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। আমাদের কুরআন শরীফে ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে অনেক দোয়া এবং আয়াত রয়েছে।
যে দোয়া এবং আয়াতগুলো নিয়মিত পাঠ করলে আপনি আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই মন থেকে বিশ্বাস করে এই দোয়াগুলো পাঠ করতে হবে। আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত গুলো জানাবো। আশা করি এগুলো আপনাদের জীবনে অনেক উপকারে আসবে। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত।
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত পোস্টটি পড়ে আমরা যা যা জানতে পারবোঃ
- ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত
- ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কুরআনের সকল আয়াত
- ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরানের বিশেষ সূরার আয়াত
- লেখকের মন্তব্যঃ ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত
আমাদের রিজিক, মৃত্যু, জীবনসঙ্গী, সম্পদ, জীবনের সকল ভালো মন্দ সবকিছুই ভাগ্য নির্ধারিত। তবে যে কোন মানুষ দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। আমাদের মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে অশেষ নেয়ামতের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছেন। তার দয়ার শেষ নেই। তাই মানুষ আল্লাহর কাছে যত চায় আল্লাহ ততই মানুষকে দেয়।
আল্লাহ কখনো মানুষকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয় না। আপনি যদি মন থেকে আল্লাহকে ডাকেন তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবে। আর এই ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কুরআনের বিশেষ কিছু আয়াত রয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। আজ আপনাদের কে সেই বিশেষ আয়াতগুলো জানাবো। তাই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে এই আর্টিকেল পড়ুন।
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কুরআনের সকল আয়াত
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কুরআনের বিশেষ কিছু আয়াত রয়েছে। এই আয়াতগুলো পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন আমাদের আল্লাহ কত মহান। চলুন তবে সে আয়াতগুলো জেনে নেওয়া যাকঃ
১. আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিতঃ মানুষের ভাগ্যের ভালো ও মন্দ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আল্লাহ বলেন, ‘আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে, আমার আদেশ তো একটি কথায় নিষ্পন্ন, চোখের পলকের মতো।’ (সুরা : কামার, আয়াত : ৪৯-৫০)
২. ভাগ্য অনিবার্যঃ আল্লাহ মানুষের জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই; আল্লাহ সব কিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩)
৩. ভাগ্য পূর্বনির্ধারিতঃ মানুষের ভাগ্যে যা ঘটে তা পূর্ব থেকেই আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের ওপর যে বিপর্যয় আসে আমি তা সংঘটিত করার আগেই তা লিপিবদ্ধ থাকে। আল্লাহর পক্ষে এটা খুবই সহজ। ’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২২)
৪. ভাগ্য জীবনে সংযম আনেঃ ভাগ্য মানুষের জীবনকে সংযত করে। আল্লাহ বলেন, ‘এটা (ভাগ্য নির্ধারণ) এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছো তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার জন্য হর্ষোত্ফুল্ল না হও। আল্লাহ পছন্দ করেন না উদ্ধত ও অহংকারীদের। ’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৩)
৫. ভাগ্য অনুসারেই সব হয়ঃ আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব কিছু সংঘটিত হয়। আর আল্লাহ তা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে (ভূগর্ভের অন্ধকার স্তরে) এমন কোনো শস্যকণাও অংকুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোনো বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নাই। ’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
৬. মুমিনের ভাগ্যে বিশ্বাস যেমন হবেঃ আবু আবদুল্লাহ ইবনে দায়লামি (রহ.) বলেন, আমি উবাই বিন কাব (রা.)-এর কাছে এসে তাকে বললাম, তাকদির সম্পর্কে আমার মনে একটা দ্বিধার উদ্রেক হয়েছে। তাই আপনি আমাকে এমন কিছু বলুন যাতে মহান আল্লাহ আমার মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করবেন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তাঁর আসমান ও পৃথিবীবাসী সবাইকে শাস্তি দিতে পারেন। তার পরও তিনি তাদের প্রতি অন্যায়কারী হবেন না।
পক্ষান্তরে তিনি যদি তাদের সবাইকে দয়া করেন তাহলে তাঁর এই দয়া তাদের জন্য তাদের নেক আমল হতে উত্তম হবে। সুতরাং যদি তুমি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান করো আর তাকদিরে বিশ্বাস না রাখো, তবে তা গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না তুমি পুনরায় তাকদিরে বিশ্বাস করবে এবং উপলব্ধি করবে যে, যা তোমার ঘটেছে তা ভুলেও তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছিল না। আর যা এড়িয়ে গেছে তা কখনো ভুলেও তোমার বেলায় ঘটার ছিল না। আর এ বিশ্বাস ছাড়া তুমি মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৬৯৯)
৭. মুমিন ভাগ্যে সন্তুষ্ট থাকেঃ ভাগ্যের ভালো ও মন্দের ব্যাপারে মুমিন সন্তুষ্ট থাকে। কখনো তাকে অপছন্দের কোনো বিষয় স্পর্শ করলেও সে তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে না। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তিনি (আল্লাহ) যা করেন সে বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা যাবে না, বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৩)
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রশ্ন: ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেন তখনই, যখন তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা করে। সূরা আর-রাদ (১৩:১১)-এ বলা হয়েছে, "নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।"
২. প্রশ্ন: ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোরআনের কোন দোয়া উল্লেখযোগ্য?
উত্তর: ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিশেষ কোনো দোয়া হলো, "রব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির" (সূরা কাসাস: ২৪)। এটি একটি বিনীত আবেদন, যা আল্লাহর দয়া ও সাহায্য প্রার্থনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩. প্রশ্ন: ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোরআনের নির্দেশ অনুসারে কী করা উচিত?
উত্তর: ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কোরআন অনুসারে ইমান, ধৈর্য, আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল, নিয়মিত নামাজ, এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা উচিত।
৪. প্রশ্ন: ভাগ্য পরিবর্তন কি মানুষের নিয়ন্ত্রণে?
উত্তর: কোরআন বলছে, মানুষের চেষ্টা ও পরিশ্রম ভাগ্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আল্লাহর হাতে। সূরা আনফাল (৮:৫৩)-এ বলা হয়েছে, "আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করে।
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরানের বিশেষ সূরার আয়াত
এখানে ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কুরআনের আরো কিছু বিশেষ আয়াত তুলে ধরা হলো। এই আয়াতগুলো পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। চলুন আয়াত গুলো জেনে নিন। নিচে ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের ২০টি আয়াত দেওয়া হলো। প্রতিটি আয়াতে আল্লাহর উপর বিশ্বাস, ধৈর্য ধারণ, এবং নিজেদের চেষ্টা-প্রচেষ্টার গুরুত্ব ফুটে উঠেছে।
১. সূরা আর-রাদ (১৩:১১):
“আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজ অবস্থার পরিবর্তন করে।”
এ আয়াত আমাদের শেখায়, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে।
২. সূরা আশ-শুরা (৪২:৩০)
“তোমাদের যেসব বিপদ আসে, তা তোমাদের নিজেদের কর্মের ফল এবং তিনি অনেক কিছু ক্ষমা করে দেন।”
এখানে বোঝানো হয়েছে যে, আমাদের কাজের ওপর ভিত্তি করে ভাগ্য পরিবর্তিত হয়।
৩. সূরা আল-ইমরান (৩:১৯৫)
“আর আমি তাদের কর্ম বৃথা করি না যারা সৎকর্ম করে।”
আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন, সৎকর্মে সবসময় উত্তম ফল পাওয়া যায়।
৪. সূরা আন-নাজম (৫৩:৩৯)
“মানুষ তাই পাবে যা সে চেষ্টা করবে।”
আমাদের কঠোর পরিশ্রমই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে।
৫. সূরা আত-তাওবা (৯:১০৫)
“আর তোমরা কাজ করো, আল্লাহ তোমাদের কাজ দেখবেন।”
আয়াতটি আমাদের কর্মের গুরুত্ব বোঝায় এবং ভাগ্যের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
৬. সূরা আল-ইমরান (৩:১৪৫)
“আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে না।”
ভাগ্য আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে, তবে আমাদের চেষ্টা অপরিহার্য।
৭. সূরা আল-বাকারা (২:২১৬)
“তোমাদের জন্য যা কল্যাণকর, তা তোমরা সবসময় জানো না।”
ভাগ্য পরিবর্তনের সময় আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখতে হবে।
৮. সূরা আন-নাহল (১৬:৯৭)
“যে সৎকর্ম করবে, পুরুষ বা নারী, আমি তাদের জীবন সুন্দর করে দেব।”
এ আয়াতে সৎকর্মের মাধ্যমে ভাগ্য সুন্দর হওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
৯. সূরা আল-ইমরান (৩:১৩৩)
“তোমরা তোমাদের প্রভুর ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাও।”
নিজেদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব।
১০. সূরা আশ-শারহ (৯৪:৫-৬)
“নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে স্বস্তি। অবশ্যই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে স্বস্তি।”
যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।
১১. সূরা আল-আনকাবুত (২৯:৬৯)
“যারা আমার পথে চেষ্টা করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করব।”
প্রচেষ্টা এবং আল্লাহর উপর আস্থা ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক।
১২. সূরা আল-হাদিদ (৫৭:২২)
“পৃথিবীতে ও তোমাদের জীবনে কোনো বিপদ আসে না যা আমি পূর্বে নির্ধারণ করিনি।”
এ আয়াতে বোঝানো হয়েছে যে, সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।
১৩. সূরা ইউসুফ (১২:৮৭)
“আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।”
ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ধৈর্য অপরিহার্য।
১৪. সূরা আন-নাহল (১৬:১২৮)
“আল্লাহ তার প্রতি-ভক্তদের সাথে আছেন।”
নিষ্ঠা এবং ইমান ভাগ্য পরিবর্তনের চাবিকাঠি।
১৫. সূরা আন-নূর (২৪:৫৫)
“আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করবেন যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে।”
সৎকর্ম এবং ঈমান ভাগ্যের উন্নতি ঘটায়।
১৬. সূরা আল-বাকারা (২:১৮৬)
“আমার বান্দারা যদি আমার কাছে প্রার্থনা করে, তবে আমি তাদের ডাকে সাড়া দিই।”
প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়।
১৭. সূরা আশ-শুরা (৪২:৪৩)
“যারা ধৈর্য ধরে এবং অন্যদের ক্ষমা করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।”
ধৈর্য এবং ক্ষমা ভাগ্যের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
১৮. সূরা আল-কাহফ (১৮:১০)
“আমাদের প্রভুর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো।”
ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
১৯. সূরা আস-সাফ (৬১:১৩)
“আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য এবং নিকটবর্তী বিজয় আসবে।”
আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ করলে বিজয় অর্জিত হয়।
২০. সূরা আদ-দুহা (৯৩:৫-৬)
“তোমার প্রভু অবশ্যই তোমাকে এমন কিছু দান করবেন যা তুমি সন্তুষ্ট হবে।”
আল্লাহর উপর আস্থা রাখলে ভাগ্য সুন্দর হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত
ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত আমাদের শেখায় যে আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির বা সম্প্রদায়ের ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এটি আমাদের ইমান, পরিশ্রম, এবং ধৈর্যের মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনার প্রতি উৎসাহিত করে। আল্লাহর রহমত ও সাহায্য পাওয়ার জন্য নিজের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে।