টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নগদ গ্রহণের চুক্তিপত্র

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এই পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেরা টাকা লেনদেনের চুক্তি সম্পন্ন করতে পারবেন। আমাদের অনেক সময় ব্যবসা বা অন্যান্য প্রয়োজনে নগদ টাকার দরকার হয়। তখন আমরা পরিচিত কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।

টাকা-লেনদেনের-চুক্তিপত্র-লেখার-নিয়ম

এক্ষেত্রে টাকা গ্রহণের সময় চুক্তিপত্র তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আপনি যদি ব্যবসার জন্য কারো কাছ থেকে টাকা নেন, তাহলে আপনাকে সেই ব্যবসা থেকে লাভের একটি নির্দিষ্ট অংশ দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি করতে হবে। তাহলে চলুন, নগদ টাকা গ্রহণের সময় অঙ্গিকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখার নমুনা এবং এর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। এটি আপনার লেনদেনকে সহজ ও নিরাপদ করতে সাহায্য করবে।

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম পোস্টটি পড়ে আজ আমরা যা যা জানতে পারবঃ

টাকা ধার দেওয়া এবং কর্জ সম্পর্কে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা

মানুষ নানা কারণে টাকা ধার করে বা কর্জ নেয়। এটি হতে পারে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, পরিচিতজন বা কাছের মানুষের কাছ থেকে। নিচে সহজ ভাষায় কর্জ ও টাকা ধার দেওয়া সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো:

কর্জ কী?

কর্জ মানে হলো কারও কাছ থেকে অর্থ বা সম্পদ উধার নেওয়া। এটি ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের জন্য হতে পারে।

  • ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেঃ পরিবারের প্রয়োজনে টাকা ধার নেওয়া।
  • ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেঃ লাভজনক কাজে ব্যবহার করার জন্য ঋণ নেওয়া।

কর্জ সাধারণত অস্থায়ী হয় এবং সময়মতো পরিশোধ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে এর জন্য সুদ পরিশোধের শর্ত থাকে।

টাকা ধার দেওয়ার সময় যা মনে রাখা জরুরি

  • বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করুনঃ অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিকে টাকা ধার দেওয়া উচিত নয়।
  • ক্রেডিট চেক করুনঃ ধার নেওয়া ব্যক্তির ঋণ সম্পর্কিত হিসাব-নিকাশ ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
  • সম্পর্ক এবং শর্ত বিবেচনা করুনঃ যার সঙ্গে কোনো পূর্বপরিচিতি বা সম্পর্ক নেই, তাকে টাকা ধার দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
  • অস্বাভাবিক প্রস্তাবে সাড়া দেবেন নাঃ আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন বা অস্পষ্ট শর্তের ভিত্তিতে টাকা ধার দেবেন না।

ইসলামিক নীতিতে কর্জে হাসানা

কর্জে হাসানা মানে হলো এমন একটি ঋণ যা সময়মতো ফেরত দেওয়া হবে, কিন্তু দাতা এর জন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ বা বেনিফিট নেবেন না।

  • উদ্দেশ্যঃ প্রয়োজনমতো মানুষকে সহযোগিতা করা।
  • এটি সমাজের ঋণগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়ক একটি উদ্যোগ।

কখনো টাকা ধার দেওয়ার আগে বা কর্জ নেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন এবং সঠিকভাবে যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন। আপনার সঠিক পদক্ষেপ আপনাকে আর্থিকভাবে নিরাপদ রাখবে।

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র তৈরিতে কী কী তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি?

উত্তর: চুক্তিপত্রে দুই পক্ষের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, লেনদেনের পরিমাণ, মেয়াদ, শর্তাবলী এবং উভয় পক্ষের স্বাক্ষরসহ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

প্রশ্ন ২: টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র কি আইনত বৈধ?

উত্তর: হ্যাঁ, একটি সঠিকভাবে তৈরি ও স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র আইনত বৈধ। এটি কোনো সমস্যা হলে আদালতে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রশ্ন ৩: চুক্তিপত্রে সুদের হার কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

উত্তর: সুদের হার উভয় পক্ষের সম্মতিতে নির্ধারণ করা হয়। এটি চুক্তিপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

প্রশ্ন ৪: টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র কীভাবে প্রিন্ট করবেন?

উত্তর: Microsoft Word-এ চুক্তিপত্র টাইপ করার পর Page Setup-এ Legal Size পেপার নির্বাচন করে প্রিন্ট করুন। আইনি বৈধতার জন্য ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।

ধার বা কর্জ দেওয়ার সহজ নিয়ম

ধার বা কর্জ দেওয়ার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে সহজ ভাষায় নিয়মগুলো তুলে ধরা হলোঃ

সঠিক চুক্তি করুনঃ 

  • চুক্তিতে ধারদার এবং ঋণদাতার নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
  • টাকার পরিমাণ এবং শর্তগুলো সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।
  • চুক্তিতে সুদের হার, মেয়াদ, এবং টাকা পরিশোধের সময়সীমা লিখুন।

সুদের হার নির্ধারণ করুনঃ

  • সুদের হার টাকার পরিমাণের উপর নির্ভর করে ঠিক করুন।
  • কোনো সন্দেহ থাকলে উপযুক্ত পরামর্শ নিন।

মেয়াদ নির্ধারণ করুনঃ

  • ধার বা ঋণের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ দিন।
  • মেয়াদ শেষে ঋণদাতার টাকা ফেরত পাওয়ার অধিকার থাকবে।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে ধার বা কর্জ দেওয়া আরও সহজ এবং ঝামেলামুক্ত হবে। সঠিক নিয়ম মেনে চলুন এবং নিশ্চিত থাকুন!

চুক্তিনামা তৈরির নিয়ম 

টাকা ধার দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিপত্র তৈরি করতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ

  • টাকার পরিমাণ ও কারণ উল্লেখ করুনঃ চুক্তিপত্রে সবার আগে স্পষ্টভাবে লিখুন, ধার দেওয়া টাকার পরিমাণ কত এবং সেই টাকা ধার দেওয়ার কারণ কী।
  • মেয়াদ নির্ধারণ করুনঃ চুক্তিপত্রে উল্লেখ করুন, টাকা ধার দেওয়ার মেয়াদ কতদিন হবে এবং মেয়াদ শেষে টাকা পরিশোধ না করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • শর্তাবলী উল্লেখ করুনঃ যদি ধার শোধ করার জন্য কোনও শর্ত থাকে, যেমন—বাধ্যতামূলক জমা বা বিকল্প ব্যবস্থা, তা স্পষ্টভাবে চুক্তিপত্রে লিখুন।
  • পরিশোধের নির্দেশনাঃ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি বা সময় নির্ধারণ করা থাকলে তা চুক্তিতে উল্লেখ করুন।
  • সমস্যার সমাধানের দায়িত্বঃ যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে তা সমাধানের জন্য কে দায়ী থাকবে এবং কীভাবে সমাধান হবে, তা চুক্তিপত্রে উল্লেখ করুন।

চুক্তিপত্রে এই পয়েন্টগুলো স্পষ্টভাবে লিখলে ভবিষ্যতে যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যাবে এবং আইনগত নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

নগদ টাকা গ্রহণের চুক্তিপত্র

মোঃ খালিদ হাসান, পিতা-মোঃ কবির আহম্মেদ বিশ্বাস, মাতা- মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগম, ঠিকানা- গ্রামঃ ফকরাবাদ, পোষ্টঃ বড়দল, থানাঃ আশাশুনি, জেলাঃ সাতক্ষীরা, ধর্মঃ ইসলাম, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশ, জাতীয় পরিচয়পত্র নংঃ ৯১৩২৯৭০৮৬৪।

                                           —-  প্রথম পক্ষ/দাতা।

মোঃ খলিলুর রহমান, পিতা-মোঃ আক্তার গাজি, মাতা-মোছাঃ রেজিনা বেগম, ঠিকানা-গ্রামঃ দক্ষিণ  চাপড়া, পোষ্টঃ দক্ষিণ চাপড়া, থানাঃ আশাশুনি, জেলাঃ সাতক্ষীরা, ধর্মঃ ইসলাম, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশ, জাতীয় পরিচয়পত্র নংঃ ৮৬৩৯৭৩০৩৬২।

                                        —- দ্বিতীয় পক্ষ/গ্রহীতা।

পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নাম স্বরণ করিয়া নগদ টাকা ঋণ গ্রহণের চুক্তিপত্রের বয়ান আরম্ভ করিতেছি যে, আমি দ্বিতীয় পক্ষ আমার ব্যবসায়িক পারপাসে দোকানে মাল কেনার জন্য নগদ ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা প্রয়োজনে প্রথম পক্ষের নিকট হতে লিখিত শর্তাবলীর সাপেক্ষে নগদ টাকা গ্রহণ করিলাম।

                                                  চলমান পাতা-০২

                         পাতা নং -০২

                            শর্তাবলী

১। আমি দ্বিতীয় পক্ষ নগদ ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা ২৭ (সাতাশ) মাসের মেয়াদে দোকানের মাল কেনার জন্য প্রথম পক্ষ হইতে নেয়া হল। যার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ০৭/০১/২০২২ইং তারিখ হইতে ০৮/০৯/২০২৪ইং তারিখ দোকানের লভ্যাংশ ৪২,৬২৮/ (বিয়াল্লিশ হাজার ছয়শত আটাশ) টাকা, আসল ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা সহ মোট ২,৪৭,৬২৮/- (দুই লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার ছয়শত আটাশ) টাকা প্রথম পক্ষে বুঝাইয়া দিবো।

২। ২৭ (সাতাশ) মাস পর ২,৪৭,৬২৮/- (দুই লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার ছয়শত আটাশ) টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমি (দ্বিতীয় পক্ষ) কোনো ধরনের তালবাহানা করিলে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারবেন। এতে দ্বিতীয় পক্ষের কোনো আপত্তি থাকিবে না।

৩। চুক্তির মেয়াদে আমি দ্বিতীয় পক্ষ ০৮/০৯/২০২৪ইং তারিখের মধ্যে প্রথম পক্ষের নিকট ২,৪৭,৬২৮/- (দুই লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার ছয়শত আটাশ) ফেরত প্রদান করিবো। যদি উক্ত তারিখের মধ্যে প্রথম পক্ষের নিকট উক্ত টাকা ফেরত দিতে ব্যার্থ হয় তাহলে নিদিষ্ট মেয়াদ শেষে প্রতি মাসের জন্য মূল টাকার ৫% লভ্যাংশ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবো।

৪। চুক্তিপত্রের বলে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনের মাধ্যমে প্রদত্ত টাকা ক্ষতিপূরণসহ  দ্বিতীয় পক্ষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হয়তে আদায় করিয়া নিতে পারবেন। এতে দ্বিতীয় পক্ষের কোনো ওয়ারিশদের কোনো প্রকার আপত্তি থাকিবে না।

                                                 চলমান পাতা-০৩

                        পাতা নং -০৩

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থ শরীরে সুস্থ মস্তিস্কে, স্থির বুদ্ধিতে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ঋষ গ্রহণের চুক্তিপত্র আমি দ্বিতীয় পক্ষ নিজে নিজে পাঠ করিয়া এবং অন্যের দ্বারা পাঠ করিয়া ইহার মর্মার্থ ও ফলাফল ভালভাবে অবগত হইয়া নিজ স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় সহি সম্পাদন করিলাম। 

                                       তারিখ০৭/০১/২০২২ ইং

প্রথম পক্ষের স্বাক্ষর

দ্বিতীয় পক্ষের স্বাক্ষর

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর

১।

২।

৩।

৪।

কিভাবে টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র প্রিন্ট করবেন

নগদ টাকা লেনদেনের জন্য চুক্তিপত্র প্রিন্ট করতে হলে Microsoft Word-এ চুক্তিপত্রটি টাইপ করার পর পেইজ সেটআপ করতে হবে। পদ্ধতিটি নিচে দেওয়া হলোঃ

ধাপ ১: পেইজ সেটআপ

১. Microsoft Word খুলুন।

২. File মেনু থেকে Page Setup-এ যান অথবা Page Layout থেকে Margins-এর Customs অপশন সিলেক্ট করুন।

ধাপ ২: পেপার সাইজ ঠিক করা

১. Paper অপশন থেকে Legal Size নির্বাচন করুন।

২. Margins অপশনে:

উপরে: ৪.৫ ইঞ্চি

বাম ও ডান পাশে: ১ ইঞ্চি

নিচে: ১.৫ ইঞ্চি

ধাপ ৩: প্রিন্ট প্রস্তুতি

১. পেইজ সেটআপ হয়ে গেলে OK চাপুন।

২. বাংলাদেশ আইনের নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য ১০০ টাকার ৩টি স্ট্যাম্প ব্যবহার করুন।

৩. চুক্তিপত্রটি ৩টি পেজে ভাগ করে প্রিন্ট করুন।

এভাবেই আপনি চুক্তিপত্রটি প্রস্তুত করে প্রিন্ট করতে পারবেন। এই নিয়ম অনুসরণ করলে লেনদেনের জন্য সঠিকভাবে বৈধ কাগজ তৈরি হবে।

টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম pdf

টাকা-লেনদেনের-চুক্তিপত্র-লেখার-নিয়ম-pdf

পাওনা টাকা যদি কেউ দিতে না চায়, তাহলে কী করবেন?

পাওনা টাকা ফেরত পেতে হলে আপনাকে প্রথমে পরিচিত জনদের নিয়ে বিষয়টি নিয়ে বসে মিমাংসার চেষ্টা করতে হবে। যদি তাতেও সমাধান না হয়, তাহলে দেওয়ানী আদালতে মানি স্যুট বা অর্থের মামলা করতে হবে। একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী আপনাকে এই বিষয়ে সাহায্য করবেন।

যদি টাকা আত্মসাৎ বা প্রতারণার ঘটনা ঘটে, তাহলে ফৌজদারী আদালতে মামলা করতে হবে। তবে মামলা করার আগে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার মিমাংসার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললে আপনার পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

শেষ কথাঃ টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

আজ আমরা জানলাম কীভাবে নগদ টাকা লেনদেনের জন্য চুক্তিপত্র বা অঙ্গিকারনামা লিখতে হয়। যদি এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। চুক্তিপত্র লেখার সময় যেগুলো খেয়াল রাখতে হবে: ১ম পক্ষ এবং ২য় পক্ষের নাম ও ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। টাকার সঠিক পরিমাণ এবং শর্তাবলী লিখুন। চুক্তির বৈধতার জন্য স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর অবশ্যই নিন। উপরে একটি নমুনা চুক্তিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেটি দেখে আপনি নিজের মতো করে তৈরি করতে পারেন। সঠিকভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করে নিশ্চিতভাবে টাকা লেনদেন করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url