আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে

যদি আপনি কাজের ভিসায় বিদেশ যেতে চান, তাহলে আপনার বিএমইটি (BMET) কার্ড থাকা খুবই জরুরি। যদি আপনার বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করা থাকে, তাহলে আপনি সহজেই সেটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না কিভাবে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে হয়, তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের জন্য সেটা নিয়ে আলোচনা করব।

আমি-প্রবাসী-বিএমইটি-কার্ড-ডাউনলোড

বিদেশে কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার বিএমইটি কার্ড প্রয়োজন হবে। বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার পর, সেটির ক্লিয়ারেন্স কার্ডের জন্য আবেদন করে BMET ID Card পেতে হয়। আজকের পোস্টে আমি দেখাবো, কীভাবে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করবেন। পুরো পোস্টটি মন দিয়ে পড়লে আশা করি, আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড পোস্টটি পড়ে আজ আমরা যা যা জানতে পারবঃ

আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

এখন আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেট থেকে বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে amiprobashi.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর হোম পেইজের মেনুবার থেকে Clearance Card অপশনটিতে ক্লিক করুন। এরপর আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে এবং ক্যাপচা কোড পূর্ণ করে সার্চ করুন। এইভাবে আপনি আপনার বিএমইটি কার্ড দেখতে পাবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।

BMET কার্ড কি?

BMET এর পূর্ণরূপ হলো Bureau Of Manpower, Employment and Training (বাংলায়- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো)। এটি ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান, যার মূল লক্ষ্য হলো বিদেশগামী কর্মীদের কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা। এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে।

BMET কার্ড করতে কি কি লাগে?

যদি আপনার এখনো বিএমইটি কার্ডের রেজিস্ট্রেশন না থাকে, তাহলে প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এবং BMET কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। নিচে সেগুলোর তালিকা দেয়া হলোঃ

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন।
  • শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

BMET কার্ডের প্রয়োজনীয়তা

যেসব নাগরিক বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে যেতে চান, তাদের জন্য BMET কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। বিশেষ করে যারা বিদেশে কাজের জন্য যাবেন, তাদের এই কার্ডটি প্রয়োজন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে BMET কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে, যেমনঃ

  • সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য, যেমন বিদেশে যাওয়ার পর যদি কোনো সমস্যা হয়, চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন হয়, বা মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে আনা লাগে।
  • বিদেশগামী শ্রমিকদের তথ্য হালনাগাদ করার জন্য।
  • নিজেকে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য প্রশিক্ষণের সনদ।
  • টিটিসি (TTC) গ্রহণ করার জন্য এটি প্রয়োজন।
  • ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড পাওয়ার জন্য।

এই কার্ডটি আপনার বিদেশে কাজের যাত্রায় সহায়ক হবে এবং প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ করবে।

BMET Card কিভাবে পাবো বা BMET Smart Card আবেদন

BMET (বাংলাদেশ ম্যানপাওয়ার Export and Training) কার্ড পেতে, আপনাকে প্রথমে 'আমি প্রবাসী' অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে BMET রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। এরপর, আপনাকে OTP, নমিনির তথ্য ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা জমা দিয়ে BMET কার্ড পেতে পারবেন।

প্রত্যেক প্রবাসী নাগরিকের জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার আগে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে BMET রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। তবে অনেকেরই জানেন না, কিভাবে BMET রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, তাই চলুন দেখি কিভাবে সহজে আবেদন করবেন।

আবেদন পদ্ধতিঃ

  • অ্যাপ ডাউনলোড করুনঃ প্রথমে আপনার ফোনে Google Play Store খুলুন এবং ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন। অ্যাপটি ইনস্টল করে ওপেন করুন।
  • মোবাইল নম্বর যাচাইঃ অ্যাপে সাইন ইন করার পর, একটি সচল মোবাইল নম্বর দিন। এরপর একটি OTP (চার ডিজিটের কোড) আপনার ফোনে আসবে, সেটি দিয়ে কনফার্ম করুন।
  • পাসওয়ার্ড তৈরিঃ একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করুন (যা কমপক্ষে ৬ ডিজিট হবে এবং একটি চিহ্ন অথবা নম্বর থাকতে হবে)। এই পাসওয়ার্ডটি ভবিষ্যতে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে লগইন করার জন্য ব্যবহার হবে।
  • দেশ নির্বাচনঃ এরপর, আপনি যে দেশে যেতে চান, সেই দেশটি সিলেক্ট করুন। মনে রাখবেন, আপনাকে কমপক্ষে তিনটি দেশ নির্বাচন করতে হবে।
  • কাজের দক্ষতা নির্বাচনঃ আপনার দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত কাজগুলো নির্বাচন করুন। এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।
  • ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানঃ এখানে আপনার লিঙ্গ, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অবস্থা, বিদেশে কর্মরত কি না, এমন তথ্য পূর্ণ করতে হবে।
  • পাসপোর্ট আপলোডঃ আপনার পাসপোর্টের একটি স্পষ্ট ছবি তুলুন এবং তা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে আপলোড করুন।
  • যোগাযোগের তথ্যঃ আপনার মোবাইল নম্বর, ইমেইল, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি যোগাযোগের তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  • নমিনির তথ্যঃ আপনার নমিনির নাম, সম্পর্ক, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিন।
  • জরুরী যোগাযোগের তথ্যঃ জরুরি যোগাযোগের জন্য আপনি পিতা-মাতা, ভাই-বোন, বা স্বামী-স্ত্রীর নাম ও মোবাইল নম্বর দিন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পাসের সাল, প্রতিষ্ঠান, বোর্ড, বিষয়, গ্রেড সঠিকভাবে পূরণ করুন।
  • ভাষার দক্ষতাঃ আপনি যেসব ভাষায় পারদর্শী, তা সিলেক্ট করুন এবং সেই ভাষাগুলোর মৌখিক এবং লিখিত দক্ষতা নির্বাচন করুন।
  • বিএমইটি তথ্য যাচাই প্রক্রিয়াঃ আপনি যখন ভাষা দক্ষতা সিলেক্ট করবেন, তখন আপনার সামনে তথ্য যাচাই নামে একটি অপশন আসবে। সেখানে দুইটা অপশন থাকবেঃ

    •  পরবর্তী
    •   রিভিউ

যদি আপনি দেখতে চান, আপনার তথ্যগুলো সঠিক কি না, তাহলে ‘রিভিউ’ অপশনে ক্লিক করুন। আর যদি আপনার তথ্য সঠিক থাকে, তাহলে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে Verification পেইজ চলে আসবে এবং আপনার পাসপোর্ট যাচাই করতে যাবে। পাসপোর্ট যাচাই হতে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা সময় নিতে পারে। এরপর আপনি নিচে ঠিক আছে অপশনে ক্লিক করুন।

এখন আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাটাস ভেরিফিকেশন Pending দেখাবে। এখানে অনেকের ভুল হতে পারে যদি আপনার পাসপোর্টের তথ্যের সাথে কোনো গড়মিল থাকে। তখন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস রিজেক্টড/পেইন্ডিং দেখাতে পারে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। এজন্য আপনি পরিষ্কার বা স্পষ্ট পাসপোর্ট ছবি আপলোড করবেন এবং সব তথ্য সঠিকভাবে পূর্ণ করবেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সাধারণত ৪/৫ মিনিটের মধ্যে বা সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের মধ্যে হয়ে যায়। এরপর আপনি অ্যাপ্লিকেশন থেকে বের হয়ে আবার ১০ মিনিট পর অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করুন। তখন হয়তো দেখতে পারবেন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস Verified। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে, তাই ধৈর্য্য ধরুন।

বিএমইটি কার্ড পেমেন্ট পরিশোধ

এখন আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে, যেটা আপনি মোবাইল ব্যাংকিং/কার্ডের মাধ্যমে করতে পারবেন। পেমেন্ট করতে পেমেন্ট করুন অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে পেমেন্টের অপশন আসবে। আপনি বিভিন্ন গেটওয়ে দেখতে পাবেন, যেমনঃ

  • বিকাশ
  • রকেট
  • নগদ

আপনি পছন্দমতো পেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করুন। ধরুন, আপনি বিকাশ সিলেক্ট করেছেন। এরপর নিচে I have read and agree অপশনে চেক মার্ক দিয়ে Pay 300.00 অপশনে ক্লিক করুন। তারপর বিকাশ গেটওয়ে চলে আসবে। সেখানে আপনি যেই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে চান, সেটি বসিয়ে Confirm অপশনে ক্লিক করুন।

আপনার নম্বরে একটি OTP কোড যাবে, সেটি বসিয়ে Confirm অপশনে ক্লিক করুন। তারপর বিকাশ একাউন্ট পিন দিয়ে আবার Confirm অপশনে ক্লিক করুন। এতে আপনার পেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এবং বিএমইটি নম্বর স্ট্যাটাস চলে আসবে। এখানে স্ট্যাটাস আসতে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা সময় লাগতে পারে, তবে সাধারণত ২-৩ মিনিটের মধ্যে পেমেন্ট ভেরিফিকেশন হয়ে যায়।

২-৩ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর ঠিক আছে অপশনে ক্লিক করুন। এবার আপনি আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং কার্ডটি দেখতে পারবেন। এখন উপরের ডানপাশে ডাউনলোড আইকনে ক্লিক করে আপনার বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ বিএমইটি কার্ড কী এবং কেন এটি প্রয়োজন? 

উত্তরঃ বিএমইটি (Bureau Of Manpower, Employment and Training) কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যা বিদেশে কাজের জন্য যাওয়ার সময় প্রযোজ্য। এটি বিদেশে কাজের জন্য সরকারের অনুমোদন এবং প্রশিক্ষণের সনদ প্রদান করে, এবং বিদেশে কাজের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।

প্রশ্নঃ কিভাবে বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হয়? 

উত্তরঃ বিএমইটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হলে, আপনাকে প্রথমে 'আমি প্রবাসী' অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট তথ্য ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর, রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করে বিএমইটি কার্ড পেতে পারবেন।

প্রশ্নঃ বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতি কী? 

উত্তরঃ বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে, আপনাকে amiprobashi.com ওয়েবসাইটে গিয়ে Clearance Card অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে সার্চ করে আপনার বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ বিএমইটি কার্ড চেক করার পদ্ধতি কী? 

উত্তরঃ বিএমইটি কার্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে amiprobashi.com ওয়েবসাইটে গিয়ে 'Track Application' অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে সার্চ করুন। এতে আপনি আপনার বিএমইটি কার্ডের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন।

কিভাবে বিএমইটি কার্ড চেক করবেন (bmet smart card check)

অনেকে বিএমইটি কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন এবং মোবাইলে মেসেজও পেয়েছেন। এখন তারা তাদের বিএমইটি কার্ডের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান। যদি আপনিও এমন একজন হন, তবে এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই স্মার্টফোন দিয়ে বিএমইটি কার্ড চেক (bmet card check) করতে পারবেন।

বিএমইটি কার্ড চেক করার পদ্ধতিঃ

  • প্রথমে আপনার ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ চালু করুন।
  • এরপর যেকোন ব্রাউজারের এড্রেস বারে amiprobashi.com লিখে সার্চ করুন।
  • তাহলে আপনি ‘আমি প্রবাসী’ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।
  • সাইটে প্রবেশ করার পর উপরের ৩টি ডট (মেনু) তে ক্লিক করুন এবং Clearance Card নির্বাচন করুন।
  • এখন একটু নিচে স্ক্রোল করে ‘Track Application’ অপশনে ক্লিক করুন।
  • পরবর্তী পেইজে আবার নিচে স্ক্রোল করে Passport number বা Clearance application ID দিয়ে Search অপশনে ক্লিক করুন।

এখন আপনি আপনার bmet smart card এর বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন, যেমনঃ

  • Name
  • Passport number
  • Visa number
  • Country

এছাড়া, আপনি আপনার বিএমইটি কার্ডের Tracking status ও দেখতে পারবেন। যেমনঃ

  • Recruiting Agency
  • Translator
  • AD
  • DD
  • Director

বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড (bmet smart card download)

আপনি যদি আপনার বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করতে চান বা bmet card download by passport number এর সম্পর্কে জানতে চান, তবে এই অংশটি আপনার জন্য।বিএমইটি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার পদ্ধতিঃ

  1.  প্রথমে আপনার ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ চালু করুন।
  2. যেকোন ব্রাউজারের এড্রেস বারে ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন এবং প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  3. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর উপরের ৩টি ডট (মেনু) তে ক্লিক করে Clearance Card অপশনে ক্লিক করুন।
  4. এরপর তিনটি অপশন দেখতে পাবেনঃ
  5. Apply for clearance
  6. Get smart clearance card
  7. Track application
  8. bmet smart card download
  9. Download clearance card অপশনে ক্লিক করুন।
  10. তারপর আপনার Passport number ও ক্যাপচা দিয়ে Search অপশনে ক্লিক করুন।
  11. আপনার বিএমইটি স্মার্টকার্ডটি দেখতে পাবেন এবং Download অপশনে ক্লিক করে খুব সহজেই পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে bmet card download করে নিতে পারবেন।

এভাবেই খুব সহজে বিএমইটি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিএমইটি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে

আপনি চাইলে ওয়েবসাইট ছাড়াও Mobile apps ব্যবহার করে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ফোনে Google Play Store অ্যাপটি ওপেন করতে হবে। তারপর সার্চবারে ‘আমি প্রবাসী’ লিখে সার্চ করুন এবং amiprobashi অ্যাপটি ইন্সটল করুন। amiprobashi অ্যাপ ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া, অ্যাপটি ইন্সটল হয়ে গেলে সেটি ওপেন করুন। 

এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বর এবং OTP দিয়ে ভেরিফাই করুন। এরপর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। পাসওয়ার্ড বসিয়ে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। এখন আপনাকে কমপক্ষে ৩টি দেশ সিলেক্ট করতে হবে, যেগুলোর জন্য আপনি বিএমইটি করাতে চান। ৩টি দেশ সিলেক্ট করে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে একটি পেশা সিলেক্ট করতে বলা হবে, যা আপনার কারিগরি দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত। 

আপনি একাধিক পেশাও সিলেক্ট করতে পারবেন। পেশা সিলেক্ট করার পর আবারও ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন। এখন একটি শর্টফর্ম দেওয়া হবে, যেখানে আপনাকে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করতে হবে, যেমনঃ

  • আপনি পুরুষ নাকি মহিলা?
  • আপনার বয়স
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • চাকরির অবস্থা
  • আপনি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত কিনা?
  • আপনার কি বিএমইটি স্মার্ট কার্ড আছে?

সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে ‘পরবর্তী’ অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে আমি প্রবাসী অ্যাপে নিয়ে যাবে। এখানে শুধু বিএমইটি কার্ড চেক করাই নয়, আপনি আরও অনেক সেবা পাবেন, যেমনঃ

  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন
  • চাকরি খোঁজা
  • অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংগ্রহ
  • কার্ড ও সার্টিফিকেট ডাউনলোড
  • ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন
  • পাসপোর্ট অফিস
  • রিক্রুটিং এজেন্সি অফিস
  • বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন
  • মেডিকেল সেন্টার
  • ট্রেনিং সেন্টার
  • ডকুমেন্ট যাচাই
  • দূতাবাস/মিশন ইত্যাদি।

এখন কার্ড এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করুন। এখানে অনেক ধরনের সার্টিফিকেট ডাউনলোডের অপশন দেখতে পাবেন, যেমনঃ

  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড
  • পিডিও এনরোলমেন্ট কার্ড
  • পিডিও সার্টিফিকেট
  • ট্রেনিং সার্টিফিকেট
  • পিডিও সার্টিফিকেট (হাউজকিপিং)
  • বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড

এখন আপনি যেই ডকুমেন্টটি ডাউনলোড করতে চান, সেটি ক্লিক করুন। এরপর আপনাকে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ‘খোঁজ করুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার কাঙ্খিত ডকুমেন্ট আপনার সামনে চলে আসবে। এবার ‘ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করে আপনার ডকুমেন্টটি ডাউনলোড করে নিন। এই সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড (bmet smart card download) ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিএমইটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করার উপায়

বিএমইটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করতে, মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রেখে যেকোনো ব্রাউজারে bmet fingerprint check লিখে সার্চ করুন। সার্চ রেজাল্টে প্রথম যে ওয়েবসাইটটি আসবে, সেটা হলো Bio-Finger Enrollment। সেখানে ক্লিক করলে আপনি একটি পেইজ দেখতে পাবেন। এখন পেইজটি একটু জুম করে নিন, যাতে দেখতে সুবিধা হয়। এরপর Employee Registration Number এর জায়গায় আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি লিখুন। 

আপনি যারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছেন, তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর যে স্লিপটি পেয়েছেন, সেখানে ১৫ ডিজিটের একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকবে। সেটি সঠিকভাবে লিখে নিচের সাদা জায়গায় টাচ করুন।এখন আপনি দেখতে পাবেন আপনার Fingerprint status। যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে Success দেখাবে। তবে যদি কোনো কারণে ফিঙ্গারপ্রিন্টে ভুল থাকে, তাহলে Failed আসতে পারে। এভাবে খুব সহজেই আপনি বিএমইটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট চেক করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ আমি প্রবাসী বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড

আশা করি উপরের লেখাগুলো থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে বিএমইটি কার্ড কী, বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে, বিএমইটি কার্ড কিভাবে করবেন, এবং বিএমইটি কার্ডের সুবিধাগুলি কী। যদি অনলাইনে কার্ড ডাউনলোড করতে সমস্যা হয়, তাহলে আপনি আপনার কাছের বিএমইটি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রো কেয়ার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url